v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-27 14:16:21    
সোলানার মধ্যপ্রাচ্য সফর সহজে ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনার সূচনা করবে না

cri
    ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র ও নিরাপত্তা নীতি বিষয়ক উর্ধতন প্রতিনিধি জ্যাভিয়ের সোলানা এখন ফিলিস্তিন ও ইসরাইল সফর করছেন । সোলানা আশা করেন যে, তাঁর এ সফরের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ায় ইইউ'র প্রভাব বেড়ে যাবে এবং অচল ফিলিস্তিন -ইসরাইল শান্তি আলোচনাকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে যাবে । এ মাসের গোড়ার দিকে ফিলিস্তিন ও ইসরাইলে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিত্সা রাইসের সফরের পর ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি আলোচনা আবার শুরু করার লক্ষ্যে এটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আরেক দফা উদ্যোগ ।

    সোলানা গত বুধবার জেরুজালেমে পৌছেছেন। গত দু দিন তিনি ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের উর্ধতন কর্মকর্তদের সংগে ব্যাপক পর্যায়ে মেলামেশা করেছেন । গত বৃহষ্পতিবার ইসরাইলী পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিপি রিভনি ও ফিলিস্তিন জাতীয় ক্ষমতা সংস্থার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্বাসের সংগে সাক্ষাত্কালে উভয় পক্ষের কাছে একই তথ্য জানিয়েছেন যে , আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উত্থাপিত মধ্যপ্রাচ্যের রোড ম্যাপ শান্তি পরিকল্পনা এখনো কার্যকর রয়েছে । ইসরাইল ও ফিলিস্তিনকে রোড ম্যাপে লিপিবদ্ধ সংশ্লিষ্ট দায়িত্ব মেনে নিতে হবে এবং রোড ম্যাপে ফিরে আসতে হবে ।

    সোলানা বলেছেন , ইইউ আগের যে কোনো সময়ের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়ার ওপর আরো বেশি নজর দিচ্ছে । ইইউ আশা করছে যে, উভয় পক্ষ কিছু পদক্ষেপ নেবে । এ পদক্ষেপগুলো যেমন বিশ্ববাসীদের শান্তির কিছু আশা এনে দেবে , তেমনি অচল শান্তি প্রক্রিয়ার কিঞ্চিত পরিবর্তন ঘটাবে । অথচ বিশ্লেষকরা মনে করেন যে , ইসরাইল ও ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ উভয়ই নিজ নিজ অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক সংকটে নিমগ্ন হচ্ছে বলে তারা সহজে ফিলিস্তিন -ইসরাইল শান্তি আলোচনার ওপর নজর দিতে পারছে না ।

    ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী এহুদ ওলমার্ট কোয়ালিশন সরকার সুসংহত করার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন । ইসরাইল-লেবানন সংঘর্ষের পর তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত কোয়ালিশন সরকার দারুণভাবে দুর্বল হয়ে গেছে এবং সরকারের প্রতি গণ সমর্থনের হার বহুলাংশে কমে গেছে । সরকারের ভেতরে ওলমার্টের নেতৃত্বাধীন কাদিমা পার্টি ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পেরেজের নেতৃত্বাধীন লেবার পার্টির মধ্যে মতভেদ রয়েছে । এমন কি কাদিমা পার্টি ও লেবার পার্টির মধ্যেও কিছু কিছু সংসদ সদস্য অনবরত সরকার-বিরোধী আওয়াজ তুলেছেন । তারা হুমকী দিয়ে বলেছেন , গুরুত্বপূণ ভোট দানের সময় তারা বিপক্ষে ভোট দেবেন ।

    এ অবস্থার প্রেক্ষাপটে ইসরাইল সরকারের পক্ষে ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ায় সারগর্ভ কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া কঠিন হবে ।

কোয়ালিশন সরকার সুসংহত করার জন্যে ওলমার্ট এ সপ্তাহে ইসরাইলের দক্ষিণপন্থী বেলেনু পার্টির সংগে মন্ত্রিসভা গঠনের চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ।

ফিলিস্তিনে আব্বাসের নেতৃত্বাধীন আল ফাত্তাহ ও হামাসের সম্পর্ক উত্তেজনাময় হয়ে ওঠেছে । উভয় পক্ষের সশস্ত্র ব্যক্তিদের মধ্যে গুলি বিনিময় প্রায় প্রতিদিন চলছে । এতে অনেক প্রাণহানি ঘটেছে । গত বৃহষ্পতিবারের এক খবরে প্রকাশ , আব্বাস ও আল ফাতাহ ২৮ অক্টোবর সামরিক অভ্যুত্থান ঘটাবে । পরে আব্বাস হামাসের কর্মকর্তাদের কাছে এ খবরের সত্যতা অস্বীকার করলেও হামাস গাজা অঞ্চলে তার নিজের উদ্যোগে গঠিত বিপুল সংখ্যক সশস্ত্র শক্তি মোতায়েন করেছে । তাছাড়া হামাস পরিকল্পনা করছে যে, সে আল ফাতাহের নিয়ন্ত্রিত জর্দান নদীর পশ্চিম অঞ্চলে সৈনিকদের জড় করবে যাতে আল ফাতাহের সংগে শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখা যায় । নানা লক্ষণ থেকে দেখা যাচ্ছে , ফিলিস্তিনের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে । আব্বাসের পক্ষে যা জরুরী প্রয়োজন , তা হচ্ছে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এ রকম বিপদজনক অবস্থার অবসান ঘটানো এবং জাতীয় সংহতি অক্ষুণ্ণ রাখা ।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন যে, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের নেতারা এখন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার কাজে ব্যস্ত রয়েছেন । ফিলিস্তিন-ইসরাইল সম্পর্কের সংগে জড়িত প্রধান পক্ষ যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরাক সমস্যায় আটকে পড়েছে । এসব কারণে ফিলিস্তিন-ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ায় আপাতত ইতিবাচক অগ্রগতি লাভ কঠিন হবে ।