৫ অক্টোবর সুইডেনের সংসদ ভোট দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রেদ্রিক রেইনফেল্দকে সুইডেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত গ্রহণ করেছে।
১৯৬৫ সালের ৪ আগস্ট তিনি সুইডেনের রাজধানী স্টকহোমে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি হচ্ছেন বাবামার প্রথম ছেলে। ১৯৯০ সালে তিনি স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
যখন তাঁর বয়স ১৮ বছর, তিনি সুইডেনের মদেরাটা সামলিংস পার্টির তরুণ সংস্থায় অংশ নিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি সক্রিয়ভাবে রাজনৈতিক তত্পরতায় অংশ নিয়েছেন। ১৯৯১ সাল সুইডেনের সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হয়েছেন। ১৯৯২ সালে তিনি মদেরাটা সামলিংস পার্টির তরুণ সংস্থার নেতা হয়েছেন। ২০০৩ সালের অক্টোবর তিনি মদেরাটা সামলিংস পার্টির নেতৃত্বলাভে সক্ষম।
১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত মদেরাটা সামলিংস পার্টি ছিলো ক্ষমতাসীন পার্টি। ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০০২ সালের তিনটি নির্বাচনে, মদেরাটা সামলিংস পার্টি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছে। ২০০৩ সাল তিনি পার্টির চেয়ারম্যান হবার পর, মদেরাটা সামলিংস পার্টি নির্বাচন সংক্রান্ত নীতি সংস্কার করেছে এবং মধ্যপন্থী নির্বাচকদের সঙ্গে দূরত্ব কমিয়ে এনেছি। তার উপস্থাপিত সুইডেনের কল্যাণ ব্যবস্থাকে উপযুক্ত ও সুবিন্যস্ত করা, মধ্য ও নিম্ন আয়ভোগী পরিবারের ঋণ কমানো এবং কর্মসংস্থানকে উত্সাহিত করাসহ বিভিন্ন পক্ষের অনেক নির্বাচকদের সমর্থন অর্জন করেছে।
চলতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে, মদেরাটা সামলিংস পার্টি, লোক পার্টি, কেন্দ্রীয় পার্টি ও খৃষ্ট গণতান্ত্রিক পার্টি এক সঙ্গে যৌথ ফ্রন্ট গঠন করে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ফলে ক্ষমতাসীন সামাজিক গণতান্ত্রিক লেবার পার্টিকে পরাজিত করে আবার ক্ষমতা অর্জন করেছে। এর মধ্যে মদেরাটা সামলিংস পার্টি২৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে। তা গত নির্বাচনের চেয়ে ১০.৮ শতাংশ বেড়েছে।
মদেরাটা সামলিংস পার্টিপ্রধান হিসেবে মধ্য ও দক্ষিণপন্থী জোট নিবার্চনে উপস্থাপিত শ্রমিক বাজার, শিক্ষা পরিস্থিতি সংস্কার করাসহ বিভিন্ন পক্ষের নির্বাচকদের বিশ্বাস ও সমর্থন পেয়েছে।
রেইনফেল্দ কাজ করার সময় মেধাকে কাজে লাগাতে পছন্দ করেন এবং তার অনেক সখ আছে। তিনি ঐতিহাসিক বই পড়তে পছন্দ করেন। তিনি বিয়ে করেছেন এবং তার স্ত্রী ও তিনজন সন্তান রয়েছে।
|