v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-26 17:17:33    
চীন -আসিয়ান আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা নতুন পর্যায়ে প্রবেশকরেছে

cri
    এ বছর চীন ও আসিয়ানের মধ্যে সংলাপ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ১৫তম বার্ষিকী । চীন-আসিয়ান বাণিজ্য ও অর্থবিনিয়োগ সংক্রান্তশীর্ষ সম্মেলন অক্টোবর মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ পশ্চিম চিনের কুয়াংসি চুয়াং জাতি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের রাজধানী নানিং শহরে অনুষ্ঠিতহবে । সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে , সম্মেলনটি চীন ও আসিয়ানের আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য নতুন সুযোগ বয়ে আনবে । দুপক্ষের পরবর্তীকালের সহযোগিতাখাঁটি বাণিজ্য বৃদ্ধি থেকে শিল্প-সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতা সহ ব্যাপক ক্ষেত্রে সম্প্রসারিত হবে ।

    এখন চীন ও আসিয়ান পরস্পরের চতুর্থ বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশিদার আর আসিয়ান চীনের পঞ্চম বৃহত্তম রপ্তানী বাজার ও তৃতীয় বৃহত্তম আমদানী কারক । ২০০৫ সালের শেষ নাগাদ আসিয়ান দেশগুলো চীনে প্রায় ৩০ হাজার প্রকল্পে ৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে । চীনের অধিক থেকে অধিকতর শিল্পপ্রতিষ্ঠানআসিয়ান দেশগুলোকে নিজদের অর্থবিনিয়োগের জায়গা হিসেবে গ্রহণ করছে । চীনের সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর এশিয়া ও প্রশান্ত মহা সাগরীয় অঞ্চল বিষয়ক গবেষণালয়ের উপপ্রধান প্রফেসর হান ফোং চীন ও আসিয়ানের বাণিজ্য বৃদ্ধির প্রবণতা সম্পর্কে বলেছেন, এত বড় আকার ও দ্রুত উন্নয়ন এ কয়েক বছরে বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন অর্থনৈতিক আচরণ । এটা দুপক্ষের প্রয়োজন । পূর্ব অঞ্চল বিশেষ করে আসিয়ানের কয়েকটি প্রধান দেশের অর্থনীতি এ কয়েক বছরে দ্রুত বিকাশ লাভ করেছে । রপ্তানির চাহিদা ও বাণিজ্যিক সম্প্রসারণও দ্রুতগতিতে বেড়েছে । একই সময় চীনের উন্নয়নও দ্রুততর হয়েছে । বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার পর চীন শুল্ক কমানো ও বাজার উন্মুক্ত করার যে দায়িত্ব বহন করেছে তা কড়াকড়িভাবে পালন করা হচ্ছে । চীনের উন্মুক্ততা থেকে প্রতিবেশী দেশগুলো সবচেয়ে বেশি লাভবান হবে ।

    প্রফেসর হান ফোং মন একরেন যে , চীন ও আসিয়ানের অর্থনীতি পরস্পরের পরিপূরক । চীনের নিত্যব্যবহারিক দ্রব্য ও পারিবারিক বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি মূল্যের দিক থেকে পাশ্চাত্ত্যদেশেরউন্নত মানের দ্রব্যের তুলনায় প্রতিদ্বন্দ্বীতার প্রাধান্য আছে । পক্ষান্তরে আসিয়ানের কিছু কৌশল , সম্পদ ও গ্রীস্মমন্ডলীয় দ্রব্য চীনের অর্থনীতির উন্নয়নে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।

    মায়ানমা চীনের সঙ্গে সংলগ্ন এক কৃষিপ্রধান দেশ । চীনস্থ মায়ানমার অর্থনৈতিক কাউন্সিলার বলেছেন , মায়ানমা রপ্তানি বাড়ানোর চেষ্টা করছে । চীন থেকে বিপুল পরিমাণের অর্থ গ্রহনের মাধ্যমে চীন-মায়ানমার আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্কআরও জোরদার হবে বলে আমি আশা করি । মায়ানমার উন্নয়নের জন্যে চীন-আসিয়ান মেলার মাধ্যমে আমরা চীন থেকে শিল্প উত্পাদনের উপাদান ও যন্ত্রপাতিআমদানি করতে পারি বলে আমি আশা করি ।

    জানা গেছে , গত বছর চীন ও আসিয়ানের মধ্যে বাণিজ্যমূল্য ১২০ কোটি মার্কিন ডলার ছিল । আগামী এক বছরে দুপক্ষের বাণিজ্যমূল্য ২০০ কোটি মার্কিন ডলারে বেড়ে যাবে বলে অনুমাণ করা হচ্ছে ।

    প্রফেসর হান ফোং বলেছেন ,এখন চীন ও আসিয়ানের আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছে । এখন এক সুবর্ন সুযোগ আছে । তাহল চীনের আধুনিকায়ন প্রক্রিয়া শিল্পের পুনর্বিন্যাসের সম্মুখীন । চীনের উপকূলীয় অঞ্চলের উন্নতমান ও পরিপক্কশিল্প অভ্যন্তরীণ অঞ্চলে ছড়িয়ে যেতে পারবে । মধ্য , পশ্চিম ও উত্তরপূর্বচীন উন্নয়ন সম্পর্কে ধারাবাহিক নীতি প্রণীত হবে ।১৯৯৭ সালের এশিয় আর্থিক সংকটের পর আসিয়ান দেশগুলোর শিল্প উত্পাদনের পুনর্বিন্যাস করা হচ্ছে ।

    প্রফেসর হানফোং মনে করেন যে , এই প্রক্রিয়ায় চীন ও আসিয়ানের সহযোগিতা সহজ বাণিজ্য , অবাধ ও সুবিধার অর্থবিনিয়োগ থেকে শিল্প-সহযোগিতা ও আঞ্চলিক সহযোগিতায় উন্নীত হবে ।

    প্রফেসর হানফোং বলেছেন , চীন ও আসিয়ানের মধ্যে সরল বাণিজ্য আদানপ্রদান এখনো গুরুত্বপূর্ণ হলেও আগের মতো ভবিষ্যতেআর্থ-বাণিজ্যক সম্পর্কেএটা নিয়ন্ত্রণের ভূমিকা পালন করবে না । পরবর্তীকালে দুপক্ষের আর্থ-বাণিজ্যক সম্পর্ক শিল্প উত্পাদন সহযোগিতা, বিজ্ঞান- প্রযুক্তিগত সহযোগিত এবং বাজারায়ন গড়ে তোলা ক্ষেত্রে মোড় নেবে এবং খাঁটি বাণিজ্য বৃদ্ধি নয় গোটা অঞ্চলে মুক্ত বাণিজ্য উন্নয়নের জন্য সুবিধা সৃষ্টি করবে ।