v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-24 19:36:47    
পেইচিং শীর্ষ সম্মেলন চীন-আফ্রিকা বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতাকে জোরদার করবে

cri
    চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলন ও তৃতীয় মন্ত্রীপর্যায়ের সম্মেলন নভেম্বর মাসের প্রথম দিকে পেইচংয়ে অনুষ্ঠিত হবে । নয়া চীনের ৫৭ বছরের কুটনৈতিক ইতিহাসে এটা বৃহত্তম কূটনৈতিক কার্যক্রম । এ সম্পর্কে এর আগের দিন কেনিয়াস্থ চীনা রাষ্ট্রদূত চাং মিং সি আর আইয়ের প্রতিনিধিকে এক সাক্ষাত্কার দিয়েছেন ।

    রাষ্ট্রদূত চাং মিং বলেছেন, ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে প্রতিষ্ঠিত চীন-আফ্রিকা সহযোগিতা ফোরাম চীন-আফ্রিকা সহযোগিতামূলক সম্পর্কের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । ৬ বছরের অনুশীলন থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, ফোরামটি ইতোমধ্যে চীন ও আফ্রিকার মধ্যে সংলাপ চালানোর এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ ও বাস্তব সহযোগিতা চালানোর কার্যকর ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে । এ বছর চীন ও আফ্রিকার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ তম বার্ষিকী । ঐতিহ্যিক মৈত্রী ও বন্ধুত্বপূর্ণসহযোগিতা জোরদার করার জন্যে চীন ও আফ্রিকা চীনে অনুষ্ঠিতব্য ফোরামের তৃতীয় মন্ত্রীপর্যায়েরসম্মেলনকে বিশেষভাবে শীর্ষ সম্মেলনে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন । তিনি বলেছেন, চীন ও আফ্রিকার নেতারা মৈত্রী, শান্তি, সহযোগিতা ও উন্নয়ন সহ সব নিয়ে বিষয়গুলো ঘিরে দুপক্ষের ৫০ বছরের বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা এবং চীন-আফ্রিকা ফোরামের ৬ বছরের সাফল্যের সার সংকলন করবেন । রাজনৈতিক ক্ষেত্রে চীন -আফ্রিকার পারস্পরিক আস্থা, অর্থনৈতিক সহযোগিতায় উভয়ের বিজয় এবং সাংস্কৃতিক আদানপ্রদান বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন । 

    তিনি বলেছেন , আমি বিশ্বাস করি , চীন ও আফ্রিকার মিলিত প্রচেস্টায় শীর্ষ সম্মেলনটি এক ঐক্য ও বাস্তব সম্মেলনে পরিণত হবে এবং চীন-আফ্রিকা সম্পর্কের ইতিহাসে এক নতুন মাইল ফলক হবে ।

    চীনের আফ্রিকা নীতি সম্পর্কে রাষ্ট্রদূত চাং মিং বলেছেন , শিগ্গিরই অনুষ্ঠিতব্য চীন-আফ্রিকা ফোরামের পেইচিং শীর্ষ সম্মেলন নয়া চীনের ৫৭ বছরের কূটনৈতিক ইতিহাসের বৃহত্তম কূটনৈতিক সম্মিলনী হবে । এ থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে , চীন-আফ্রিকা বন্ধুত্ব ও সহযোগিতাকে সুদৃঢ় ও জোরদার করা চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ ।

    আফ্রিকায় চীন নতুন উপনিবেশবাদ চালাচ্ছে বলে পাশ্চাত্ত্যের কিছু পত্রপত্রিকা যে খবর দিয়েছে রাষ্ট্রদূত তা খন্ডন করে বলেছেন , আফ্রিকান জনগণ ৫ শতাব্দী ধরে উপনিবেশবাদের শাসনাধীনে ছিলেন । তারাই জানেন উপনিবেশবাদের অর্থ কি দাঁড়ায় । এ ক্ষেত্রে চীন ও আফ্রিকার অভিন্ন ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতা ছিল । কেউ কেউ নতুন উপনিবেশবাদের এই টুপি জোর করে চীনের উপরে চাপিয়ে দেয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। তারা হয়ত এই বাস্তবতা এড়ানোর চেষ্টা করছে বা ভুলে গেছে যে , চীন -আফ্রিকা সম্পর্ক আজকে শুরু হয় নি বরং তার ৫০ বছরের ইতিহাস রয়েছে। ৫০ বছর আগে চীন আধা সামন্ততান্ত্রিক ও আধা ঐপনিবেশিক শাসন থেকে মুক্ত হয়ে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বাধীন হয়েছে । সেই সময় আফ্রিকান দেশগুলোপরপর স্বাধীন হয়েছে । এই ঐতিহাসিক অবস্থায় চীনা জনগণ ও আফ্রিকান জনগণ ঘনিষ্ঠভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে । এই সম্পর্ক পরস্পরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সমতা ও পারস্পরিক উপকারিতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।

    রাষ্ট্রদূত চাং জোর দিয়ে বলেছেন, চীন বিশ্বের বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ আর আফ্রিকাএমন একটি মহা দেশ যেখানে সবচেয়ে বেশি উন্নয়নশীল দেশ আছে । উন্নয়ন আমাদের অভিন্ন প্রধান কর্তব্য । চীন-আফ্রিকা সহযোগিতার বিরাট প্রচ্ছন্নশক্তি রয়েছে । বিশ্বের উপর এই সহযোগিতা সুগভীর প্রভাব বিস্তার করেছে ।

রাষ্ট্রদূত চাং বলেছেন, চীন অব্যাহতভাবে সাধ্যমত আফ্রিকান দেশগুলোকে অকৃত্রিম সাহায্য দেবে এবং আফ্রিকান দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখবে ।