v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-23 15:08:42    
শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর আফ্রিকা

cri
    কিছু পশ্চিমা গণ মাধ্যমের রিপোর্টগুলোতে আফ্রিকার নাম ওঠলে দেখা যায় , মহাতদেশটি সবসময় দারিদ্র্য , দাংগাহাংগামা , পশ্চাতপদতা প্রভৃতি শব্দের সংগে জড়িত রয়েছে । আসলে কি তাই ? চীনা সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকা গবেষণাগারের আফ্রিকান গবেষণা বিভাগের পরিচালক হো ওয়েন পিং সম্প্রতি আমাদের সংবাদদাতার সংগে এক সাক্ষাত্কারে আমাদের জন্যে অন্য ধরণের আফ্রিকা তুলে ধরেছেন । সেটি হচ্ছে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে অগ্রসর এক আফ্রিকা ।

    সুপ্রাচীনকালে আফ্রিকা মহাদেশের ছিল সুউজ্জ্বল সভ্যতা । তবে আধুনিককালে দীর্ঘদিনের ঔপনিবেশিক শাসন ও ঘন ঘন যুদ্ধ হাংগামার দরুণ আফ্রিকার উন্নয়ন পিছিয়ে পড়েছে । অথচ হো ওয়েন পিং মনে করেন যে , গত শতাব্দির নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে আফ্রিকার সেই অবস্থার বিরাট পরিবর্তন ঘটেছে । তিনি বলেছেন ,

    গত শতাব্দির নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝির পর বহু দলীয় গণতান্তিকীকরণ ধাপে ধাপে স্থিতিশীল ও পরিপক্ক হওয়ার সংগে সংগে আফ্রিকার ভেতরের অন্তর্কলহ প্রশমিত হয়ে এসেছে । সুদান , লাইবেরিয়া , বুরুন্ডি ও অ্যাংগোলার মত দেশের পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে । মোটের ওপর উত্তর ও দক্ষিণ আফ্রিকায় অনেক দিন ধরে স্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে । মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি ছোট ছোট দেশে এখনো মাঝে মধ্যে সংঘর্ষ চলছে ।

    শান্তিময় ও স্থিতিশীল পরিবেশ সবসময়ই কোনোদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্যে এনে দেয় সবর্ণ সুযোগ । হো ওয়েন পিং মনে করেন যে, এখনকার আফ্রিকা প্রাণবন্ত রয়েছে একং এক সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হচ্ছে । তিনি বলেছেন ,

বিংশ শতাব্দির নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি থেকে আফ্রিকার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বরাবরই সামনের দিকে চলমান রয়েছে । আফ্রিকার নেতৃবৃন্দ ও সাধারণ লোকেরা এখন বিশ্বায়নের স্রোতে এবং আরো সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হওয়ার অবস্থায় রয়েছেন ।

    গত জুলাই মাসে জাতি সংঘের একটি ভবিষ্যদ্বাণী অনুসারে এ বছরে বিশ্বের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ৩.৬ শতাংশে দাঁড়াবে । অথচ গত দশ বছরে আফ্রিকার গড় বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বরাবরই শতকরা ৩.৭ শতাংশ বজায় রয়েছে । কোনো কোনো দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার এমন কি ৬ শতাংশে পৌছেছে । আফ্রিকার উন্নয়নের কারণ প্রসংগে হো ওয়েন পিং মনে করেন ,

    প্রথম কারণ হচ্ছে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা। দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ফলপ্রসূ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পুনর্গঠন । আরেকটি কারণ হচ্ছে বিশ্ব অর্থনীতির বৃদ্ধি ও পুনর্রুত্থান । তাছাড়া চীন ও আফ্রিকান দেশগুলোর মধ্যে বাণিজ্যের দ্রুত উন্নতি হয়েছে । গত কয়েক বছরে আফ্রিকার অর্থনীতির স্থিতিশীল বিকাশের ক্ষেত্রে এটিও বিরাট ভূমিকা পালন করেছে ।

হো ওয়েন পিং মনে করেন , যেহেতু আফ্রিকা মহাদেশ ৫০০ বছর ধরে ঔপনিবেশিক শাসনের শিকার ছিল , সেহেতু সে তার উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় এখনো দুরুহ চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে । তিনি বলেছেন ,

    একদিকে আফ্রিকা এখনো অন্যায্য আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার সম্মুখীন হচ্ছে । বিশেষ করে আফ্রিকা শিল্পোন্নত দেশগুলোর বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা ও কৃষিজাত পণ্যের ভর্তুকির সম্মুখীন হচ্ছে । অপর দিকে গত কয়েক বছরে পশ্চিমা দেশগুলো আফ্রিকাকে তাদের সাহায্য কমিয়ে দিয়েছে ।

    এসব চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও হো ওয়েন পিং মনে করেন , আফ্রিকার ভেতর ও আন্তর্জাতিক পরিবেশের দিক থেকে দেখতে গেলে লোকেরা আফ্রিকার উন্নয়নের ভবিষ্যত সম্ভাবনা সম্পর্কে আশাবাদী । তিনি বলেছেন , আফ্রিকার নতুন নেতৃবৃন্দ দূরদর্শী । তাছাড়া আফ্রিকার পুনর্রুত্থানের রাজনৈতিক আকাংক্ষা তাদের রয়েছে ।