v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-22 19:51:53    
চীনে লং মার্চের বিজয়ের সত্তরতম বার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে

cri
    আজ ২২ অক্টোবর, চীনের লাল ফৌজের লং মার্চের বিজয়ের সত্তরতম বির্ষিকী উদযাপন দিবস। এ উপলক্ষে পেইচিংএ একটি উদযাপনি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। চীনের কমিউনিষ্ট পাটির সাধারণ সম্পাদক, চীনের প্রেসিডেন্ট আর চীনের কমিউনিষ্ট পাটির কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান হু চিন থাও এই সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময় বলেছেন, লং মার্চে চীনের লাল ফৌজ প্রচন্ডঅসুবিধা ও ঝুঁকিকে ভয় না করে দৃঢ় আস্থানিয়ে এগিয়ে যাবার যে মনোভাব দেখিয়েছে তা আজ পযর্ন্তচীনা জনগণের সংগ্রামের একটি সার্বিকমানসিক শক্তি মনে করা হয়। এখন শুনতে পাবেন আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার পাঠানো একটি রির্পোট।

    এটা হল চীন গণ প্রজাতন্ত্রের জাতীয় সঙ্গীতের একটি অংশ। ২২ অক্টোবর সকালে জাতীয় সঙ্গীতের আওয়াজে উদযাপনী সম্মেলন মুখরিত ছিল। প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও সম্মেলনে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিয়েছেন। তাঁর ভাষণে তিনি লাল ফৌজের লং মার্চের তাত্পর্যের ভূয়সী প্রসংশা করেছেন। তিনি বলেছেন, লাল ফৌজের লং মার্চ হচ্ছে চীনের বিপ্লব বাধাবিঘ্ন পেরিয়ে বিজয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। জাপানী সমরবাদীর আগ্রসনকে পরাজিত করতে চীনের কমিউনিষ্ট পাটি চীনা জনগণকে ঐক্যবদ্ধ ও পরিচালিত করে নয়া চীন প্রতিষ্ঠায় জন্যে লং মার্চের বিজয় উজ্জ্বল ভবিষ্যকে উন্মোচিতকরেছে। তিনি বলেছেন, লাল ফৌজের লং মার্চের বিজয়ে পুরোপুরি চীনের কমিউনিষ্ট পাটির বিপ্লবী যুদ্ধ নেতৃত্ব দেয়ার ক্ষমতা প্রকাশিত হয়েছে এবং জাতীয় স্বাধীনতা আর জনগণের মুক্তি অর্জনের জন্যে লাল ফৌজের অফিসার ও সৈন্যদের বাধাবিঘ্ন ও ঝুঁকিকে ভয় না করার বীরত্ব প্রতিফলিত হয়েছে। বাস্তবতা থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, গণ বিপ্লবী যুদ্ধের ন্যায়সঙ্গত শক্তি সব সময়ই অপনাজেয়।

    সত্তর বছর আগে জাপানী আক্রমণকারীদের প্রতিরোধ করা এবং অভ্যন্তরীণ সামরিক শক্তিদের মধ্যে অপ্রযোজনীয় সংঘর্ষ এড়ানোর জন্যে দু' বছরের মধ্যে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির নেতৃত্বে পরিচালিত লাল ফৌজ চীনের ১৪টি প্রদেশ পার হয়ে ১২ হাজারেরও বেশী কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। এই অভিযান হল প্রধান সামরিক শক্তিকে চীনের দক্ষিণাংশ থেকে উত্তর-পশ্চিমাংশে স্থানান্তর করা। এই অভিযানকে 'লং মাচ' বলে গণ্য করা হয়। লং মার্চে লাল ফৌজ তুষায় ঢাকা পবর্তমালা এবং জনমানহীন তৃণভূমি অতিক্রম করে লক্ষ লক্ষ শত্রু বাহিনীর অবরোধ ভেঙ্গে দিয়ে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছে।

    উদযাপনী সম্মেলনে কোন কোন বেঁচে থাকা লাল ফৌজের প্রবীন সৈন্যরা সর্বোচ্চ মর্যাদা পেয়েছেন। মিস্টার শিয়ে জেন হুওয়া তাদের মধ্যে একজন। এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেওআমরা বিপ্লবী আস্থা অবিলম্বন করে শক্রদেরকে পরাজিত করেছি। এটাকে লাল ফৌজের একনিষ্ঠও অবধারিত মনোভাব বলে গণ্য করা হয়।

    সত্তর বছর আগে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির নেতৃত্বে লাল ফৌজের লং মার্চের বিজয় সম্ভব হয়। বতর্মানেএকটি শক্তিশালী, গণতান্ত্রিক এবং সুষম ও আধুনিক দেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্যে চীনের ক্ষমতাসীন পাটি হিসেবে চীনের কমিউনিষ্ট পাটি চীনা জনগণকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

উদযাপনী সম্মেলনে প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও আরও বলেছেন, একটি সুষম সমাজতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়ায় চীনা জনগণকে অব্যাহতভাবে লং মার্চে লাল ফৌজের বীরত্বপূর্ণমনোভাবে উদ্বুদ্ধ করবেন। তিনি বলেছেন,

     আমাদেরকে জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল বিষয়কে নিশ্চিত করতে হবে। একটি ন্যায়সঙ্গত ,সুষম সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্যে আমাদের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো উচিত।