v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International Monday Apr 7th   2025 
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-19 13:46:41    
পারমাণবিক অস্ত্রবিহীন তিনটি মূল নীতির প্রতি জাপানের কোন কোন রাজনীতিবিদদের চ্যালেঞ্জ বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে

cri
     ১৮ অক্টোবর প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির এক অধিবেশনে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আসো টারো উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা প্রসঙ্গে বলেছেন, তার মনে হয়, যখন প্রতিবেশী দেশ পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হতে চায় তখন অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার নিয়ে আলোচনা বা মত বিনিময় করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু তিনি মনে করেন, কেবল এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । এর আগে অথার্ত ১৫ অক্টোবর আসাহি টেলিভিশনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে জাপানের স্বাধীন গণতান্ত্রিক পাটির নীতি স্বমন্বয় সমিতির মহা পরিচালক নাকাগাওয়া সৈছি বলেছেন, জাপান পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হলে জাপান আক্রমণের শিকার হবে না। জাপান না কি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ হওয়ার প্রয়োজন আছে কি না তা নিয়ে আলোচনা করা হবে। তিনি বলেছেন, এ ব্যাপর নিয়ে আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরী । জাপানের তথ্য মাধ্যমগুলো এ সম্বন্ধে বলেছে, ৩০ বছর আগে, জাপান সরকার ' পরমাণু অস্ত্র অধিকার না করা, তৈরী না করা এবং আমদানি না করার পরমাণুবিহীন তিনিটি মূল নীতিকে 'রাষ্ট্রীয় নীতি ' হিসেবে নির্ধারণ করেছে। তাঁর ভাষণে নাকাগাওয়া সৈছি ' রাষ্ট্রীয় নীতির' প্রতি যে চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন তা অবশ্যই জাপানে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করবে।

     ৩০ বছর আগে জাপানের তত্কালীণ প্রধান মন্ত্রী সাটো এইসাকা এ তিন মুল নীতি উত্থপান করেন। ১৯৬৭ সালের ডিসেম্বর মাসে জাপানের প্রতিনিধি পরিষদের বার্জেট কমিটির একটি অধিবেশনে তিনি প্রথম বার উপরোল্লেখিত মূল নীতি অর্থাত জাপানের তত্কালীণ রাষ্ট্রীয় নীতি উত্থাপন করেন। ১৯৬৮ সালের জানুয়ারী মাসে কংগ্রেসে এক নীতি বিষয়ক ভাষণে তিনি ষ্পষ্টভাবে ' পরমাণু অস্ত্রবিহীনতিন মূল নীতি' উত্থাপন করেন। ১৯৭১ সালের নভেম্বর মাসে জাপানের প্রতিনিধি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে এই মূল নীতি গৃহীত হয়। পরে জাপানের প্রত্যেক মেয়াদের সরকার বার বার এই মূল নীতিকে রাষ্ট্রীয় নীতি হিসেবে নির্ধারণ করে।

     তবে দীর্ঘকাল ধরে জাপানের কোন কোন লোক এই রাষ্ট্রীয় নীতির চ্যালেঞ্জকরে আসিছে। বিশেষ করে নতুন শতাব্দীতে প্রবেশ করার পর এ ধরনের চ্যালেঞ্জার ক্রমান্বয় বাড়ছে। এমকি জাপানের কোন কোন রাজনীতিবিদরা প্রকাশ্যে জাপানকে পরমাণু অস্ত্রধারী দেশে পরিণত করার দাবি জানিয়েছেন। আরও উদ্বেগজনক ব্যাপর হল এই যে, জাপানী জনগণ এই ধারণায় প্ররোচিত হয়েছে। চলতি বছরের বসন্তকালে আয়োজিত ওয়েবসাইট জরিপে ৬৮০৫ জন জাপানি এই জরিপে অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে অর্ধেক মনে করেন জাপানের নিজস্ব পরমাণু অস্ত্র উন্নয়ন করা উচিত।

     বতর্মান পরিস্থিতিতে বুঝা যায়, নি:সন্দেহেঅধিকাংশ জাপানি এই তিন মূল নীতি মেনে চলে। সম্প্রতি জাপানের প্রধান মন্ত্রী আবে সিনজো বলেছেন, জাপানকে ' পরমাণু অস্ত্রবিহীন তিন মূল নীতি' মেনে চলতে হবে। কারণ এটা হল জাপানের একটি রাষ্ট্রীয় নীতি। এক সাক্ষাত্কারে জাপানের প্রতিরক্ষা দফতরের মহা পরিচালক কিউমা ফুমিও বলেছেন, এ পযর্ন্ত সরকারে এ বিষয় নিয়ে কোন আলোচনা করনি এবং আলোচনার প্রয়োজনও নেই। গণতান্ত্রিক পাটির মহা পরিচালক হাটোয়ামা য়ুকিও সম্প্রতি বলেছেন, বিশ্বের একমাত্র দেশ যা আণবিক বোমার শিকার হয়েছিল তার হাতে পরমাণু অস্ত্র থাকার কোন প্রয়োজন নেই।

     এই তিন মূল নীতিতে জাপানে যে মতপার্থখ্য দেখা দিয়েছে তাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিও চিয়েন চাও ১৭ অক্টোবর বলেছেন, চীন আশা করে, ' পরমাণু অস্ত্র বিস্তার না করার চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে জাপানের কড়াকড়িভাবে এই চুক্তি মেনে চলা উচিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ আর পররাষ্ট্র মন্ত্রী রাইস পরোক্ষভাবে জাপানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরী না করার হুমকি দিয়েছেন।

© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China