v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-18 17:56:33    
চীন দেশে শিক্ষার হার কত?

cri

    চীন দেশে শিক্ষার হার কত?

    বাংলাদেশের বগুড়া জেলার শ্রোতা এস, এম আবু সায়ীদ তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীন দেশে শিক্ষার হার কত? উত্তরে বলছি, বতর্মানেচীনে শহরাঞ্চল আর গ্রামাঞ্চলে শিক্ষাব্যবস্থায় অনেক পাথর্ক্যরয়েছে। চীন একটি জনবহুল দেশ। লোক সংখ্যা ১৩০ কোটি। ৮০ শতাংশ লোক গ্রামাঞ্চলে বসবাস করে। শিক্ষার ব্যাপারে অনেক কিছুই করার আছে। একটি রিপোর্টে দেখা গেছে, বতর্মানে চীনে ৮ কোটি ৬৯ লাখ ৯০ হাজারের মতো লোক নিরক্ষর। এদের মধ্যে আশি ভাগ গ্রামাঞ্চলে থাকে। বতর্মানে চীনে নয় বছরের শিক্ষা বাধ্যতামূলক হলেও কোন কোন অনুন্নত পাহাড়ী এলাকার ছেলে-মেয়েরা এখনোস্কুলে যেতে সক্ষম হয়নি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনে ' আশা প্রকল্প' চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্প অনুযায়ী, সরকার এ সব অনুন্নত এলাকায় শিক্ষার উপর আর্থিক বরাদ্দ জোরদার করবে। এখানে উল্লেখ্য চীনের অর্থনীতির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে চীনের শিক্ষা ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হবেই। আস্তে আস্তে শহরাঞ্চল আর গ্রামাঞ্চলের ব্যবধান কমে আসবে।

    পঞ্চগড় জেলার শ্রোতা মো: মোতাহার হোসাইন তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনে এক দেশ দুই নীতি কেন? উত্তরে বলছি, চীনের একীকরণ বাস্তবায়নের জন্যে চীনের প্রয়াত নেতা তেং শিও পিন এই নীতি কার্যকর করেছেন। বতর্মানে এটা হল তাইওয়ানের প্রতি চীনের কমিউনিষ্ট পাটির অনুসৃত নীতি। এক দেশে দুই ব্যবস্থার নীতি মানে পৃথিবীতে মাত্র একটি চীন। চীন গণ প্রজাতন্ত্র চীনের এক মাত্র বৈধ সরকার। চীনের অধিকাংশ ভুভাগে সমাজতান্ত্রি ব্যবস্থা চালু হয়েছে। তাইওয়ান, হংকং এবং ম্যাকাওতে একীকরণ বাস্তবায়িত হওয়ার পর পুঁজিবাদ ব্যবস্থা চালু হয়। বতর্মানে 'এক দেশে দুই নীতি বা দুই ব্যবস্থা হংকং ও ম্যাকাওয়ে চালু হচ্ছে। চীনের কমিউনিষ্ট পাটি ও চীন সরকার আশা করে এই নীতিতে তাইওয়ান সমস্যা সমাধান করা যাবে। চীন সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে , এই নীতির ভিত্তিতে তাইওয়ানের নিজস্ববাহিনী বজায় রাখার অধিকার থাকবে। বতর্মানে তাইওয়ানের বিভিন্ন দলের মধ্যে এই নীতি নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এমনকি তাইওয়ানের একীকরণের ব্যাপারে বিভিন্ন পক্ষের মতপার্থক্যও রয়েছে। ১৯৭৮ সালের ১৪ নভেম্বর তেং শিও পিন থাইল্যান্ড ও শিংগাপুর সফর করার পর স্বদেশে ফিরে আসার পথে মায়ামারে অবস্থান করেছিলেন। তখন সেখানে তিনি মায়ামারের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তাইওয়ান বিষয় নিয়েও কথাবার্তা বলেন। তিনি বলেন, তাইওয়ান সমস্যা সমাধানের সময় আমরা তাইওয়ানের বাস্তবতাকেপুরোপুরিভাবে সম্মান করি। তিনি বলেন, তাইওয়ানের সমাজ ব্যবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে। তাইওয়ানে জনসাধারণের জীবন যাপনের পদ্ধতি অপরিবর্তিত থাকবে। কিন্তু একীকরণ বাস্তবায়িত হতে হবে। তখন তেং শিও পিও 'এক দেশে দুই ব্যবস্থা বা দুই নীতির' ধারণা ব্যক্ত করেছেন। একই বছরের ডিসেম্বর মাসে চীনের কমিউনিষ্ট পাটির ত্রয়োদশকংগ্রেসের তৃতীয় পূণার্ঙ্গ অধিবেশনের একটি বিজ্ঞপ্তিতে তাইওয়ান বিষয়ের কথা উল্লেখকরা হয়।