১৯৮৪ সালে হাইয়ার গোষ্ঠী প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । ২২ বছরের স্থিতিশীল উন্নয়নের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে দেশ বিদেশের সুনামের অধিকারী এক আন্তর্জাতিকায়ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে । ১৯৮৪ সালে শুধু হিমায়নযন্ত্র উত্পাদন করা থেকে এ পর্যন্ত ৯৬টি ধরণের ১৫১০০টিরও বেশি রকম পণ্যদ্রব্য রয়েছে এবং বিশ্বের ১৬০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে তা রপ্তানী হচ্ছে । ২০০৩ সালে সারা বিশ্বে হাইয়ার গোষ্ঠীর আর্থিক আয় ৮০.৬ বিলিয়ন ইউয়ানে দাঁড়িয়েছে । ২০০৩ সালে হাইয়ার গোষ্ঠী চীনের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ ট্রেডমার্কে পরিণত হয়েছে । ২০০৪ সালের ৩১ জানুয়ারী বিশ্বের পাঁচটি বৃহত্তম ট্রেডমার্ক পর্যালোচনা সংস্থার অন্যতম--বিশ্ব ট্রেডমার্ক পরীক্ষাগার প্রণয়ন করা "বিশ্বের সবচেয়ে বিখ্যাত ১০০টি ট্রেডমার্ক"নামক রিপোর্টে জানা গেছে, চীনের হাইয়ার গোষ্ঠী চীনা শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে রিপোর্টের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এবং ৯৫তম স্থানে দাঁড়িয়েছে ।
হাইয়ার গোষ্ঠী সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিকায়ন কৌশল চালু করে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক শক্তি বহনকারী ডিজাইন ব্যবস্থা, উত্পাদন ব্যবস্থা,বিক্রি ও পরিসেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে । বর্তমানে এ গোষ্ঠীর ১৮টি ডিজাইন কেন্দ্র, ১০টি শিল্প উদ্যান, ২২টি প্রবাসী শাখা কারখানা ও উত্পাদন ঘাঁটি এবং ৫৮৮০০টি বিক্রয় কেন্দ্র রয়েছে । তাদের হিমায়নযন্ত্র, ফ্রিজার, আয়ার কন্ডিশনার এবং ধৌতযন্ত্রসহ এই চার ধরনের পণ্যদ্রব্য চীনের বাজারের মোট মূল্যের ৩০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে । বিদেশী বাজারে হাইয়ার কোম্পানির পণ্যদ্রব্য ইউরোপ আর যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ দোকানেই পাওয়া যায় এবং সেখানে প্রাথমিকভাবে ডিজাইন,উত্পাদন ও বিক্রির লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়েছে । বিদেশে তার কারাখানাগুলো সম্পূর্ণভাবে চালু হয়েছে ।
হাইয়ার গোষ্ঠীর আন্তর্জাতিকায়ন কৌশল চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এ কোম্পানি ও আন্তর্জাতিক বিখ্যাত শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে বহু পক্ষীয় প্রতিযোগিতা ও সহযোগিতামূলক সম্পর্ক গড়ে ওঠেছে।
২০০২ সালের ৪ মার্চ হাইয়ার গোষ্ঠী যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রডওয়েইতে অবস্থিত গ্রীনিচ ব্যাংক ভবনকে উত্তর আমেরিকায় তার সদরদপ্তর হিসেবে কিনে নিয়েছে ।
বিশ্বের ভোগ্য বাজারের গবেষণা ও বিশ্লেষণ সংস্থা ইউরো মনিটরের সর্বশেষ তদন্ত থেকে জানা গেছে, কোম্পানির পণ্যদ্রব্য বিক্রির পরিমাণ অনুযায়ী বর্তমানে হাইয়ার গোষ্ঠী বিশ্বের সাদা যন্ত্রপাতি উত্পাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পঞ্চম স্থানে দাঁড়িয়েছে । ট্রেডমার্ক বিক্রির পরিমাণ অনুযায়ী হাইয়ার গোষ্ঠী বিশ্বের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে । ২০০৩ সালের জানুয়ারী মাসে বৃটেনের "ইকোনোমিক টাইমস" পত্রিকায় প্রকাশিত ২০০২ সালে বিশ্বের সবচেয়ে মর্যাদাসম্পন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের নামতালিকায় হাইয়ার গোষ্ঠী চীনের সবচেয়ে মর্যাদাবান শিল্পপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে । ১৯৯৯ সালের ৭ ডিসেম্বর এ পত্রিকায় প্রকাশিত বিশ্বের ৩০জন শ্রেষ্ঠ শিল্পপতির নামতালিকায় হাইয়ার গোষ্ঠীর তত্কালীন সি.ই.ও. চাং রুইমিন ২৬তম স্থানে রয়েছেন । ২০০৩ সালের আগস্ট মাসে যুক্তরাষ্ট্রের ফটুন ম্যাগাজিনের মনোনীত যুক্তরাষ্ট্র ও বিদেশী ২৫জন শ্রেষ্ঠ বাণিজ্যিক মহলের ব্যক্তির নামতালিকায়ও চাং রুইমিন ১৯তম স্থানে রয়েছেন ।
|