v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-16 16:44:49    
চীনের ১০০তম আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী গুয়াংযৌতে অনুষ্ঠিত হয়েছে

cri

    চীনের ১০০তম আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী ১৫ অক্টোবর গুয়াংযৌ শহরে আয়োজন করা হয়েছে। চীনের প্রধান মন্ত্রী ওয়েন চিয়াও পাও এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, গুয়াংযৌতে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনীর আয়োজন হচ্ছে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য উন্মুক্ততাকরণেরএকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। চীনের বৈদেশিক বাণিজ্যের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে এই প্রদর্শনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আগের মত ভবিষ্যতেও চীন দৃঢ়ভাবে বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের নীতি অনুসরণ করতে থাকবে । বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আদান-প্রদান আর সহযোগিতা অব্যাহতভাবে চালাবে। যাতে মিলিতভাবে একটি সুষম বিশ্বপ্রতিষ্ঠা করা যায়।

    চীনের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনীবলতে গুয়াংযৌ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী বুঝায়। ১৯৫৭ সালে এই প্রদর্শনীর শুরু । প্রত্যেক বছরের বসন্ত আর শরত্কালে এ প্রদর্শনীএক বার করে অনুষ্ঠিত হয়। চীনে এই প্রদর্শনীর ইতিহাস সবচেয়ে দীর্ঘকালের, আকাও সবচেয়ে বড় এবং পণ্যদ্রব্যেরসংখ্যা ও রকমের দিক দিয়ে অনেক বেশী ও স্বয়ং সম্পূর্ণ। তা ছাড়া, প্রত্যেক বার এই প্রদর্শনী অনেক দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীকে আকৃষ্ট করে। এখন গুয়াংযৌ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী একটি বহুমুখী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিনিময়ের সমাবেশে পরিণত হয়েছে। চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য উন্নয়ন ও বৈদেশিক উন্মুক্ততা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে গুয়াংযৌ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

    ইরান থেকে আসা ব্যবসায়ী হাসেম সাহরেস্টানি একটি সাক্ষাত্কারে বলেছেন, গুয়াংযৌ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী তার মত বিদেশী ক্রেতা ব্যবসায়ীদের জন্যে অনেক বাণিজ্যের সুযোগ এনে দিয়েছে। তিনি বলেছেন,

    গুয়াংযৌ আমদানি রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী এক শো বার আয়োজিত হয়েছে বলে এটি একটি বিষ্ময়ের ব্যাপার। আমি শুনেছি যে, ১৯৫৭ সালে যখন কুয়াংযৌ আমদানি রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী প্রতিষ্ঠিত হয় তখন কেবল মাত্র একটি অত্যন্ত ছোট আকারের বাণিজ্য প্রদর্শনী ছিল। এখন এই প্রদর্শনী একটি বিরাটাকারের আন্তর্জাতিকপ্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। এ ধরনের প্রদর্শনী যেমন চীনের জন্য হিতকর তেমনি আমাদের মত আন্তর্জাতিক ক্রেতা ব্যবসায়ীদের জন্যে অত্যন্ত ভাল সুযোগ সৃষ্টি করেছে।

    একটি পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, হাসেম সাহরেস্টানির মতে ২ লাখ ক্রেতা কয়েক মেয়াদের এই গুয়াংযৌ আমদানি রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনীতে অংশ গ্রহণ করেছেন। তারা বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন।প্রত্যেক মেয়াদের প্রদর্শনীতে চল্লিশ-পঞ্চাশ বিলিয়ন কোটিরও বেশী মার্কিন ডলার্রের সমান পণ্যদ্রব্য বিনিময় হয়।

    উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চীনের প্রধান মন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন, নয়া চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য ও গঠনকাজের ইতিহাসে গুয়াংযৌ আমদানি-রফতানি বাণিজ্য প্রদর্শনী একটি উজ্জ্বল অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেছেন,

    চীন দৃঢ়ভাবে বৈদেশিক উন্মুক্তকরণের নীতি অনুসরণ করবে। আমরা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম বিধি অনুযায়ী সারা বিশ্বের বহুমুখী বাণিজ্য কাঠামোর গঠনকাজে সক্রিয়ভাবে যোগ দেবো। বিভিন্ন ক্ষেত্রেআমরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আদান-প্রদান ও সহযোগিতা চালাতে ইচ্ছুক। আমরা এক সঙ্গে একটি সুষম বিশ্ব প্রতিষ্ঠা করবো।

    চীনের ঠনইয়াং প্রযুক্তি লিমিটেড কোম্পানির চেয়ারম্যান জেন উয়েন ইয়ান মনে করেন, আগের নামের তুলনায় এই প্রদর্শনীর নতুন নামে মাত্র একটি শব্দের তফাত। কিন্তু এতে একটি ঐতিহাসিক পরির্বতন প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেছেন,

এটা শুধু একটি শব্দের তফাত নয়, বরং এতে চীন দেশের বৈদেশিক আর্থ-বাণিজ্যিক পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়েছে। অতীতে চীনের বৈদেশিক মুদ্রার অভাব ছিল । সুতরা রফতানি করার উত্সাহ দেয়া হত। কিন্তু এখন আমাদের আমদানির উপর জোর দেয়া উচিত। এটা হল একটি ঐতিহাসিক পরিবর্তন।