সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলে এমন অনেক লোক রয়েছেন, যারা বিদেশে অধ্যয়ন শেষে বিদেশের শ্রেষ্ঠ ও আধুনিক চিকিত্সা বিদ্যা ও প্রযুক্তি সিনচিয়াংয়ে নিয়ে এসেছেন। তাঁরা সিনচিয়াংয়ে ফিরে আসার পর অনুশীলন, নবায়ন আর উদ্ভাবন করায় সিনচিয়াংয়ের চিকিত্সার মানের দ্রুত উন্নতি ঘটেছে। এখন তাঁদের মান ও বিশ্বের চিকিত্সার মানের মধ্যে ব্যবধান কমে গেছে। আগামী ১৬ অক্টোবর সোমবার বিজ্ঞান বিচিত্রা আসরে লি লু এই সম্পর্কে আপনাদের কিছু জানাবেন।
মার্কিন প্রখ্যাত সাংবাদিক এডগার স্নো তাঁর সুপরিচিত "লাল তারকার আলোকে উদ্ভাসিত চীন" নামে একটি বইতে প্রায়শই চীনের উত্তর শেন সি প্রদেশের লাল ভূমির কথা উল্লেখ করেছেন। এই লাল ভূমির নাম ইয়ান আন। ইয়ান আন চীনের হোয়াং থু মালভূমির একটি অচেনা ছোট নগর ছিল। এক সময় চীনের লাল ফৌজ লংমার্চে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে এখানে মিলিত হয়েছিল। তখন থেকে ইয়ান আন সারা পৃথিবীতে সুনাম অর্জন করে এবং বিখ্যাত লাল নগরে পরিণত হয়। লাল ফৌজ লং মার্চ শেষ করে ইয়ান আনে মিলিত হওয়াটা এখানকার উন্নয়নে কি ধরণের ছাপ ফেলেছে? আজকের ইয়ান আনের চেহারা কি রকম? ১৮ অক্টোবর বুধবার সমাজ দর্পন আসরে মি. শি চিং উ লাল নগর ইয়ান আনের অতীত ও বর্তমান সম্পর্কে কিছু বলবেন।
সম্প্রতি "২০০৬ সাল চীন আন্তর্জাতিক ইলেক্ট্রোনিক্স ভোগ্যপণ্য মেলা" চীনের পূর্ব উপকূলীয় ছিংতাও শহরে মহাসমারোহে আয়োজিত হয়। বিশ্বের ৪০০টিরও বেশি কোম্পানি এই মেলায় অংশ নেয়। তারা নতুন পণ্য ও নতুন প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে এবং সহযোগিতার নতুন সুযোগ খুঁজছে। ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার অর্থনীতির অগ্রযাত্রা আসরে লি ইউয়ান শান এই মেলার বিস্তারিত পরিচয় দেবেন।
মধ্য চীনের হোনান প্রদেশের রাজধানী চেন চৌ শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত সুং চেই নামে একটি গ্রাম আছে। গ্রামে প্রবেশ করলে সংবাদদাতার চোখে পড়ল সবুজ তৃণভূমিতে একটির পর একটি মনোরম আবাসিক দালান ও পাকা বাড়িঘর সারিবদ্ধভাবে ছড়িয়ে আছে। তৃণভূমিতে অধিবাসীরা স্বাচ্ছন্দ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দেখতে একেবারে শহুরে দৃশ্য। আগে সুং চেই ছিল নোংরা , বিশৃঙ্খল ও দরিদ্র একটি গ্রাম। তাহলে কে এই গ্রামের এত ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন? তার নাম সুং ফোং নিয়ান, তিনি চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের একজন সদস্য। ২০ অক্টোবর শুক্রবার সেই গ্রাম এই জীবন আসরে মি. থাং ইয়াও খান সুং ফোং নিয়ান সম্পর্কে আপনাদের কিছু বলবেন।
স্যুং কুই হুয়া ফুমি জাতির লোক। যদিও এই জাতির লোকসংখ্যা অল্প এবং সামাজিক উন্নয়নও মন্থর । কিন্তু স্যুং কুই হুয়া অনেক আগে থেকেই ফুমি জাতির উত্পত্তির ক্ষেত্রে ব্যাপক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। পরিবার পরিজন ও অন্যান্য লোকের সাহায্যে স্যুং কুই হুয়া ফুমি জাতি সম্পর্কে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করেছেন। তিনি এই ওয়েবসাইটকে একটি নিখুঁত সাংস্কৃতিক ওয়েবসাইট হিসেবে গড়ে তুলেছেন। তাতে চীনের ফুমি জাতি সম্পর্কে অনেক তথ্য পাওয়া যায়। ২১ অক্টোবর শনিবার ওরা অনন্য আসরে থাং ইয়াও খান এই ওয়েবসাইট আর স্যুং কুই হুয়ার কাহিনী আপনাদের শুনাবেন।
|