v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-13 17:42:02    
মি. খ. ম. হারুন ---আরটিভি'র চীফ অব প্রোগ্রাম

cri

 সম্প্রতি বাংলাদেশের আরটিভির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল চীন সফর করেছেন। সফরকালে তাঁরা সি আর আই এর বাংলা বিভাগে এসেছেন। এই সুযোগে আমরা পরস্পরের সাক্ষাত্কার নিয়েছি। প্রতিনিধি দলের নেতা মি. খ. ম. হারুন আমাদের সংবাদদাতা ইয়াং ওয়েই মিংকে সাক্ষাত্কার দিয়েছেন।

 প্রশ্নঃ আপনি এবার কি প্রথম চীন সফরে এলেন?

 উঃ হ্যা, আমার সৌভাগ্য যে চীন সফরে আসতে পেরেছি। এর আগে আমি চীনের আশেপাশের বহু দেশে গেছি যেমন সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, কোরিয়া, জাপান। চীনের প্রতি সবসময় আমার বড় একটা আকর্ষণ ছিল। এটা একটা বড় দেশ। বিশাল ঐতিহ্য। বাংলাদেশ কিন্তু চীনের খুব কাছে। বাংলাদেশেও অনেক চীনা বসবাস করেন। চীনারা সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। চীনের ঐতিহ্য সুদীর্ঘকালের। বর্তমান সভ্যতার অনেক কিছুই কিন্তু চীনারা আবিষ্কার করেছেন।

 প্রশ্নঃ চীন কেমন লাগে আপনার?

 উঃ পেইচিংয়ের মাটিতে হাটাহাটি করেছি। সিসিটিভিতে গিয়েছি। আপনাদের এখানে আসলাম। খুব ভাল লেগেছে। আরও অনেক দিন থাকবো, প্রায় ১৫ দিন।

 প্রশ্নঃ আপনি আসার আগে কি ভেবেছেন যে, পেইচিংয়ে এসে কারও সঙ্গে বাংলায় কথা বলবেন বা মত বিনিময় করবেন?

 উঃ আমরা জানি যে, চীনারা যারা বাংলা শিখে তাঁরা খুব মনোযোগ দিয়ে শিখে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর বেশ কিছু চীনা ছেলেমেয়ে যায়। আমার সঙ্গে চীনা দূতাবাসের একজনের সঙ্গে পরিচয় হয়েছে। মিস ওয়াং। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা শিখেছেন। ভাল বাংলা বলেন। সুতরাং আমার জানাই ছিল যারা বাংলা জানেন তারা ভাল করেই জানেন। তবে আমরা ঢাকা থেকে যখন কুনমিংয়ে নামি , তখন খুব সমস্যা হয়েছিল, ভাষার সমস্যা। কারণ ওখানে বাংলা জানা কেউ নেই। ইংরেজীও তেমন কেউ জানেন না। যদিও একজন গাইড আমাদের বিমানে তুলে দিয়েছেন। কিন্তু এখানে আসার পর একজন মি. কু আছেন, তিনি আমাদের বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যাচ্ছেন। আর সমস্যা হচ্ছে না। তবে আপনাদের এখানে এসে খুব ভাল লাগছে যে, খুব মজা করে কথা বলতে পারছি। আপনাদের যে চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা বিভাগ, এখানের সবাই খুব ভাল বাংলা জানেন। খুব সুন্দর বাংলায় কথা বলেন। এটা আমার খুব ভাল লেগেছে। এটা খুব আকর্ষণীয়।

 প্রশ্নঃ আপনার এবারের চীনে আসার পরিকল্পনা ও উদ্দেশ্য আমাদের কি একটু জানাবেন?

 উঃ আসলে আমি ২৬ বছর ধরে টেলিভিশন মিডিয়ায় কাজ করছি। প্রথম ২৫ বছর বাংলাদেশ টেলিভিশন কাজ করেছি। পরের এক বছর আমি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে কাজ করছি। অনুষ্ঠান প্রধান হিসেবে।

 প্রশ্নঃ আপনার প্রধান দায়িত্ব কি?

 উঃ ২৪ ঘন্টার অনুষ্ঠানের প্লানিং করা। অনুষ্ঠানগুলোর প্রোডাকশন এসাইনমেন্ট দেয়া। সম্প্রচার ঠিক মতো করা। মান দেখা। অনুষ্ঠান তৈরি করা। এটা অত্যন্ত খুব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব। আমাদের বার্তা বিভাগও আছে। এই বিভাগটিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি জানেন, বাংলাদেশে নিউজ খুব জনপ্রিয়। অনেক রিপোর্টার আছেন। আসলে টেলিভিশন অনেক এগিয়ে গেছে। ইদানিং অনেকগুলো চ্যানেল চালু হয়েছে। এদের মধ্যে প্রতিযোগিতা রয়েছে।

 প্রশ্নঃ আপনি কি এখানে সিসিটিভির অনুষ্ঠান দেখেছেন?

 উঃ আমি ঐভাবে দেখি নাই। তবে আমি যখন বাংলাদেশ টেলিভিশন কাজ করতাম এবং বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ট্রেনিং প্রোগ্রামে গিয়েছিলাম , তখন সিসিটিভির অনেক প্রযোজকের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাদের প্রয়োজিতঅনুষ্ঠান দেখেছি। তাদের নাম ভুলে গেছি। তবে এখন কিন্তু আরটিভিতে সিসিটিভি-৯ এর নানা অনুষ্ঠান সম্প্রচার করা হয়। সপ্তাহে আমরা একদিন বা দু'দিন সম্প্রচার করি। আমরা আরও কিছু অনুষ্ঠান নেবো। আমরা সেগুলো এখানে দেখলাম, রিভিউ করলাম। সৌজন্যমূলক হিসেবে সিসিটিভি পাঠাবে। তাদের সঙ্গে আমাদের এক বছরের চুক্তি হবে। আপনি জানেন, চীনা ঐতিহ্য, সংস্কৃতি বাংলাদেশের মানুষ খুব পছন্দ করে। তারা এগুলো দেখতে চায়। যেমন, ইউরোপ, আমেরিকার প্রোগ্রাম খুব সহজে দেখা যায়। যদিও এগুলো অনেক দূরের দেশ। চীনের প্রতি কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের গভীর ভালবাসা আছে। তারা জানতে চায় চীনের ঐতিহ্য , চীনের মানুষ কেমন, জায়গা সম্পর্কে পরিচিত-এগুলো জানতে চায়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিসিটিভি-৯ এর কিছু প্রোগ্রাম প্রচার শুরু করে দিয়েছি।

 প্রশ্নঃ এসব প্রোগ্রামের প্রভাব কেমন?

 উঃ বেশ ভাল। এখন আমরা শুধু ডকুমেম্টারী দেখাচ্ছি। আগামীতে আমরা সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান দেখাবো।

 প্রশ্নঃ সিসিটিভি থেকে যে ডকুমেম্টারী নিয়েছেন তা মূলত সংস্কৃতি বিষয়ক। তাই না?

 উঃ সংস্কৃত এবং ইতিহাস , ঐতিহ্য বিষয়ক। সভ্যতা, শিল্প বিষয়ক।

 প্রশ্নঃ পেইচিংয়ে আপনাদের আর কি পরিকল্পনা আছে?

 উঃ পেইচিংয়ে আমরা থাকবো ১২ আগস্ট পর্যন্ত। ১২ তারিখ চলে যাব সাংহাই। পেইচিংয়ে আমরা গ্রেটওয়ালের উপর ডকুমেম্টারী তৈরির জন্য আরও কিছু ছবি তুলতে চাই। পেইচিংয়ে আরও কিছু ঐতিহ্য তিয়ানআনমেন স্কোয়ারসহ বিভিন্ন কিছুর ছবি তুলছি।

 প্রশ্নঃ বাংলাদেশের মানুষের অফুরন্ড ভালবাসা নিয়ে আপনি পেইচিংয়ে এসেছেন। আরও কিছু তথ্য নিয়ে আপনি যখন বাংলাদেশে যাবেন, তখন বাংলাদেশের মানুষ চীন সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানতে পারবেন।

 উঃ অবশ্যই। কারণ এতদিন তো আমরা ছবিতে দেখে বা বন্ধুবান্ধবদের মাধ্যম শুনে চীন সম্পর্কে জেনেছি। এখন স্বশরীরে এসে দেখে, ঘুরে, ছবি তুলে চীন সম্পর্কে জানার সুযোগ পেয়েছি। এটা বড় অভিজ্ঞতা। এই অভিজ্ঞতা জানাতে পারবো। ইতিহাস, ঐতিহ্যের পাশাপাশি চীনের মানুষরা খুব প্রতিভাবান, পরিশ্রমী, মেধাবী, সত্ বলেই আমরা জানি।