গোপালগঞ্জ জেলার শ্রোতা মো: জুয়েল আহম্মেদ মল্লিক তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, গণচীনের প্রতিষ্ঠাতা কে? উত্তরে বলছি, গণ চীনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন চেয়ারম্যান মাও জে ডং । তিনি হলেন চীনা কমিউনিষ্ট পাটি, চীনা গণ মুক্তি ফৌজ আর গণ প্রজাতন্ত্রী চীনের প্রতিষ্ঠাতা ও বিজ্ঞ নেতা।
বগুড়া জেলার শ্রোতা কে এম তাহমিদুল হাসান তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, পযর্টকদের জন্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় শহর কোনটা? উত্তরে বলছি, চীনে অনেক দেখার মতো জায়গা আছে। অজস্র দর্শনীয়স্থান আছে। কিন্তু যদি পযর্টকদের জন্যে সবচেয়ে আষর্কনীয় শহর বলতে গেলে চীনের রাজধানী পেইচিং পযর্টকদের জন্যে সবচেয়ে আকর্ষনীয় শহর বলে মনে করা হয়। পেইচিংএর ইতিহাস সুদীর্ঘকালের। রাজধানী পেইচিংএ অনেক দর্শনীয়স্থান আছে। যেমন , মহা প্রাচীর, সামার প্যালেস, রাজকীয় প্রাসাদ, ইউয়েমিন উদ্যান ইত্যাদি। পেইচিং ছাড়া , চীনের আরেকটি শহরের নাম উল্লেখযোগ্য। এই শহর হল জেচিয়াং প্রদেশের রাজধানী হাংযৌ। এই শহরের চার দিকে অনেক দর্শনীয়স্থান রয়েছে। এই শহরের পশ্চিম হ্রদ বিশ্ববিখ্যাত। প্রত্যেক বছর হাংযৌ শহর অজস্র দেশী-বিদেশী পযর্টককে স্বাগত জানায়।
ঢাকা জেলার শ্রোতা আলি মনসুর তাঁর চিঠিতে জানতে চেয়েছেন, চীনে মোবাইল সংযোগ লাইন চালু হয় কোন সালে? উত্তরে বলছি, নব্বই দশকের প্রথম দিকে চীনে মোবাইল সংযোগ লাইন চালু হয়। তখন মোবাইল ফোনের সাইজ খুব বড়। সে সময় খুব কম লোক মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। কেবল কোন কোন ব্যবসায়ীরা এই বড় আকারের মোবাইফোন ব্যবহার করতেন। নব্বই দশকের শেষ দিকে চীনে মোবাইল ফোনের প্রচলনব্যাপকভাবে শুরু হয়। বতর্মানে পৃথিবীতে চীনের মোবাই ফোনের ব্যবহারকারীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। একটি পরিসংখ্যাণ অনুযায়ী, বতর্মানে চীনে মোবাই ফোন ব্যবহারকারীদের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ।
শ্রোতা বন্ধুরা, অনুষ্ঠান শেষ হবার আগে আপনাদের জন্যে একটি প্রশ্ন।প্রশ্নটি হল, চীনের জাতীয় পতাকার ডিজাইন কে করেছেন? শ্রোতা বন্ধুরা, এতক্ষণ প্রত্যেক বুধবারের মুখোমুখি শুনলেন। আমাদের সঙ্গে থেকে এই অনুষ্ঠান শোনার জন্যে ধন্যবাদ।
|