v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-12 16:23:35    
"২০০৬ সাল চীনের মহাকাশ অভিযান" নামক শ্বেত পত্র

cri

 চীন সরকার ১২ অক্টোবর "২০০৬ সাল চীনের মহাকাশ অভিযান " নামক শ্বেত পত্র প্রকাশ করেছে। শ্বেত পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, গত পাঁচ বছরে চীনের মহাকাশ অভিযান শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে। পরবর্তী পাঁচ বছরে চীন মহাশূন্য প্রযুক্তি ও প্রয়োগ ক্ষেত্র উন্নয়নের পদক্ষেপ আরো দ্রুত করবে । এর পাশাপাশি চীন "আন্তর্জাতিক মহাশূন্য সহযোগিতা ঘোষণা" অনুসরণ করবে। একই সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় আন্তর্জাতিক মহাশূন্যের সহযোগিতা ত্বরান্বিত করবে।

 ১২ অক্টোবর প্রকাশিত শ্বেত পত্রে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এই সময়পর্বকে চীনের মহাশূন্য শিল্পের দ্রুত উন্নয়ন যুগ বলা হয়। এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল, ২০০৩ সালে চীনের প্রথম মানুষবাহী মহাকাশযান উড্ডয়ন হয়। চীন বিশ্বে স্বাধীনভাবে মানুষবাহী মহাকাশযান প্রযুক্তির অধিকারী তৃতীয় দেশে পরিণত হয়েছে। তা ছাড়া, চীনের মহাশূন্য পরীক্ষায় প্রথম বার মানুষ অংশ গ্রহণ করেছে এবং চাঁদ অনুসন্ধান প্রকল্পের গবেষণা কাজও শুরু হয়েছে ইত্যাদি।

 শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, মানবজাতির সভ্যতা ও সামাজিক অগ্রগতি ত্বরান্বিত করা, গোটা মানবজাতির কল্যাণ বয়ে আনার উদ্দেশ্যে চীন মহাশূন্য অনুসন্ধান করে। গত পাঁচ বছরে ভূ-সম্পদ তদন্ত, প্রাকৃতিক পরিবেশ নির্মাণ এবং পরিবেশ সুরক্ষা প্রভৃতি ক্ষেত্রে চীনের উপগ্রহের দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। উপগ্রহের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ ও বেতার প্রযুক্তি চীনের বিভিন্ন অঞ্চল , বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বেতার ও টেলিভিশনের আওতা এবং গ্রহণের গুণগত মান উন্নত করেছে। চীন ও ইউরোপীয় মহাকাশযান ব্যুরোর সহযোগিতায় দু'পক্ষের কৃষি, আবহাওয়া ও দুর্যোগ কমানো প্রভৃতি ক্ষেত্রের পারস্পরিক উপকারিতা বাস্তবায়িত হয়েছে।

 শ্বেতপত্রে চীনের মহাকাশযান শিল্পের ভবিষ্যত উন্নয়নের পরিকল্পনা এবং গুরুত্ব বর্ণনা করা হয়েছে। শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, চীন নতুন প্রজন্মের দূষণমুক্ত উচ্চ ক্ষমতাপ্রাপ্ত পরিবাহক রকেট গবেষণা করবে, যাতে পৃথিবীর প্রাকৃতিক পরিবেশের উপর মহাকাশযান প্রকল্পের প্রভাব কমানো যায়। নভোচারী মানুষবাহী মহাকাশযানের বাইরে যাওয়া এবং মহাকাশযানের ডক-যুক্ত করা পরীক্ষা হবে। কক্ষপথে স্বল্পকালীন লোকজন থাকা ও দীর্ঘকালীন স্বয়ং উড্ডয়ন মহাশূন্য পরীক্ষাগার গবেষণা করবে। তা ছাড়া , চীন চাঁদ প্রদক্ষিণ অনুসন্ধান করবে। চীন উপগ্রহের দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ ও টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে জোরদার করবে।

 উপরোক্ত উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য চীন সরকার প্রথমে উপগ্রহ নিক্ষেপ ও উপগ্রহ সংক্রান্ত প্রযুক্তি উন্নয়ন করবে , মানুষবাহী মহাকাশযান এবং গভীর আকাশে অনুসন্ধান ক্ষেত্রে যথাযথ উন্নয়ন করবে। চীন মহাকাশযান ক্ষেত্রের শিল্পায়ন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করবে। সরকারের বরাদ্দ বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে বহুবিধ , নানা পদ্ধতির মাধ্যমে মহাকাশযানের পুঁজিবিনিয়োগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হবে। বিশ্বের প্রথম শ্রেণীর বিরাটাকারের মহাকাশযান শিল্পপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত হবে।

 শ্বেতপত্রে আরো বলা হয়েছে, চীন মহাকাশযান শিল্পের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার করবে। গত পাঁচ বছরে চীন পরপর ১৩টি দেশ, মহাশূন্য সংস্থা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে ১৬টি আন্তর্জাতিক মহাশূন্য সংক্রান্ত সহযোগিতা চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মহাশূন্য প্রযুক্তির বহুপক্ষীয় সহযোগিতা ত্বরান্বিত করেছে। জাতিসংঘ ও সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক সংস্থার নানা তত্পরতায় অংশগ্রহন করেছে। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয় মহাশূন্য সহযোগিতা সুষ্ঠুভাবে চলে আসছে।

 ভবিষ্যতে চীন অব্যাহতভাবে "আন্তর্জাতিক মহাশূন্য সহযোগিতা ঘোষণা" অনুসরণ করবে। দ্বিপক্ষীয় বা বহুপক্ষীয় আন্তর্জাতিক মহাশূন্য সহযোগিতা ত্বরান্বিত করবে।

 শ্বেতপত্রটি মহাশূন্যে অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে চীন সরকারের মতামত আবার ঘোষণা করেছে। অর্থাত্ মহাশূন্য হচ্ছে গোটা মানবজাতির অভিন্ন সম্পদ। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাধীনভাবে মহাশূন্যে অনুসন্ধান , উন্নয়ন ও প্রয়োগের সমান অধিকার আছে। বিভিন্ন দেশের মহাশূন্য অভিযান বিভিন্ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সামাজিক অগ্রগতি, মানবজাতির নিরাপত্তা, বেঁচে থাকা ও উন্নয়ন এবং বিভিন্ন দেশের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য সহায়ক হবে।