v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-10 21:45:30    
শান্ত গায়িকা ইয়ু চিং

cri

    ১৯৯৪ সালে ইয়ু চিং চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশনের ষষ্ঠ যুব গায়কগায়িকদের প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন। এই গানের মাধ্যমে ইয়ু চিং দ্বিতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন।

    ইয়ু চিংয়ের চোখ খুব বড় এবং স্বচ্ছ। গ্রামাঞ্চলে বড় হওয়া ইয়ু চিং ছোটবেলা থেকেই গান গাওয়া খুব পছন্দ করেন। বড় হওয়ার পর সঙ্গীত বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোপুরিভাবে সঙ্গীত শিখতে শুরু করেন। ১৯৯৩ সালে ইয়ু চিং পেইচিংয়ে আসেন। একা অজানা শহরে তার নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেছেন:

    "সে সময় নতুন গায়িকা হিসেবে সুযোগ পাওয়া খুব কঠিন। আমি পেইচিংয়ে এসে সুযোগ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করি। তখন খুব একা লাগতো, সময় যায় না।"

    একদিন ইয়ু চিং স্টুডিওতে গান গাওয়ার সুযোগ পান। তার চমত্কার অভিনয় দেখে ইয়ু চিংয়ের শিক্ষকও খুব অবাক হয়েছেন। এরপরে ইয়ু চিং "লোলান কুনিয়াং" নামক গানের মাধ্যমে জাতীয় যুবক গান গাওয়া প্রতিযোগিতায় পুরষ্কার পেয়েছেন এবং নিজের এলবাম প্রকাশ করেছেন। কিন্তু এরপরে ইয়ু চিং আবার কষ্টের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

    "১৯৯৭ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত আমার জীবনের এলোমেলো সময়। সাফল্য পাওয়া আমার একমাত্র আশা। অনেক চেষ্টার পরে তেমন সাফল্য আমার জীবনে আসে নি। আমার মন খুব খারাপ ছিলো। মনে করতাম গান গাওয়া একটি খুব কঠিন কাজ, চমত্কার প্রতিভাবান না হলে উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য পাওয়া খুব মুশকিল।"

    ২০০১ সালে ইয়ু চিং ছুটি নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে তার জীবনের অনেক সমস্যা নিয়ে চিন্তা করেছেন। তিনি উপলব্ধি করেছেন যে, গান গাওয়া তার জীবনের পছন্দের কাজ। কিন্তু গান গাওয়ার সময় শুধু জনপ্রিয় হওয়ার লক্ষ্য পোষণ করলে ভালো ফল পাওয়া যায় না। নিজের বৈশিষ্টময় পথ খুঁজতে হবে।

    এই সব বিবেচনার পরে ইয়ু চিং নিজের উন্নয়নের পথ খুঁজে বের করেছেন। ২০০৪ সালে "চিং" মানে শান্ত নামক একটি এলবাম তৈরী করেছেন। এই এলবাম যেন তখনকার ইয়ু চিংয়ের মন।

    "আমি এই এলবাম খুব পছন্দ করি। তার মাধ্যমে আমি নিজের মনভাব প্রকাশ করেছি। আমি হালকা কফি'র মতো জীবন পছন্দ করি। আসল কিন্তু প্রাকৃতিক এবং রোমান্টিক। তা আমি গানের মাধ্যমে প্রকাশ করেছি।"

    গায়িকা হিসেবে ইয়ু চিং ১২ বছর সময় কাটিয়েছেন। ২০০৪ নতুন এলবাম প্রকাশ করার পর থেকে ইয়ু কানাডায় থাকেন। সেখানে নতুন এলবামের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেছেন, এখন তার মনভাব আগের চেয়ে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এখন তার মনের কথা প্রকাশ করার ইচ্ছা ও আঙ্গ্খা থাকলে তিনি গান গেয়ে থাকেন। এখন তার মন খুব শান্ত।

    "গান গাওয়া আমার জীবনের একটি অংশে পরিণত হয়েছে। এর মাধ্যমে আমি শান্তি পাই, সন্তুষ্টি পাই। আমার বিখ্যাত হওয়া ও এলবাম বিক্রির রেকর্ড সৃষ্টি করার চাপ আর থাকে না।"