v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-10 19:26:25    
উত্তরকোরিয়ারপারমাণবিক পরীক্ষা সম্পর্কে চীনের বিশেষজ্ঞদের মন্তব্য

cri
    উত্তরকোরিয়ার কেন্দ্রীয় বার্তা সংস্থার এক খবরে প্রকাশ , ৯ অক্টোবর সকালে উত্তর কোরিয়া এক ভূগর্ভ পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে । চীন সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাড়াতাড়ি উত্তর কোরিয়ার এই পারমাণবিক পরীক্ষার বিরোধিতা করে মন্তব্য প্রকাশ করেছে । উত্তর কোরিয়া এ সময় পারমাণবিক পরীক্ষা চালালোকেন ? তার এই আচরণ কেন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়েরকাছে নিন্দিত হলো? তার এই আচরণ আঞ্চলিক পরিস্থিতির উপর কি ধরণের প্রভাব ফেলবে ? চীন সরকার বিবৃতিতে যে অভিমত প্রকাশ করেছে তার কি অর্থ দাঁড়াবে? এ সম্পর্কেআমাদের প্রতিনিধি চীনা সমাজ বিজ্ঞান একাডেমীর কোরীয় উপদ্বীপ সমস্যা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক ফিয়াও চিয়েনইর এক সাক্ষাত্কার নিয়েছেন ।

    ফিয়াও চিয়েনই মনে করেন যে , যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর কোরিয়া নীতির কারণেই উত্তর কোরিয়া ৯ অক্টোবরে পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে । ৩ অক্টোবর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর কথা প্রকাশ করেছে । বিবৃতিতে পারমানবিক পরীক্ষা চালানোর কারণ ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে, উত্তর কোরিয়া সম্পর্কেযুক্তরাষ্ট্রের শত্রুতামূলক নীতি উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ও জাতির সর্বোচ্চ স্বার্থের প্রতি হুমকী স্বরূপ। উত্তর কোরিয়ার অস্তিত্ব এখন অত্যন্ত গুরুতর হুমকীর সম্মুখীন ।

    উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা চালানোর সঙ্গেসঙ্গে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিবৃতি প্রকাশ করেছে । চীনের বিবৃতিতে বলা হয়েছে , উত্তর কোরিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক বিরোধিতা উপেক্ষা করে ঔদ্ধত্যভাবে পারমাণিবক পরীক্ষা চালিয়েছে । এ জন্যে চীন সরকার দৃঢ়ভাবে এর বিরোধিতা করে । উত্তর কোরিয়া পারমানবিক অস্ত্রমুক্তকরণ সম্পর্কে নিজের প্রতিশ্রুতি পালন করে পরিস্থিতির সম্ভাব্য অবনতি ডেকে আনতে পারে এমন সব কার্যকলাপ বন্ধ করবে এবং পুনরায় ৬ পক্ষীয় বৈঠকের পথে ফিরে আসবে বলে চীন জোরদাবী জানায় । ফিয়াও চিয়েনই মনে করেন যে , চীন মনে করে যে , পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আঘাতের সম্মুখীন হবে । চীন পারমাণবিক অস্ত্রের বিস্তার প্রতিরোধ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার উপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় । "পারমাণবিক অস্ত্রেরঅবিস্তার চুক্তি এন-পিটি" বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এবং সবচেয়ে কার্যকর দলিল । ২০০২ সালে কোরীয় উপদ্বীপেরদ্বিতীয় পারমাণবিক সংকট পুনরায় ঘটার পর ধাপেধাপে বেড়ে যাচ্ছে । এন পিটি থেকে বের হওযার পর উত্তর কোরিয়া প্রকাশ্যে পারমাণবিক অস্ত্র গবেষণা ও উন্নয়নের কাজ শুরু করে এবং এখন তার বিস্ফোরণ ঘটায় । এনপিটি ব্যবস্থা রক্ষার পক্ষে পরীক্ষার গোটা প্রক্রিয়া এক বিরাট আঘাত স্বরূপ ।

    চীন ছাড়া দক্ষিণ কোরিয়া , জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ভারত থাইল্যান্ডপ্রভৃতি দেশও উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক পরীক্ষার বিরোধিতা করেছে । ফিয়াও চিয়েনই উল্লেখ করেছেন , উত্তর কোরিয়ার এই আচরণ উত্তর-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্যে হুমকী ডেকে আনবে কথাটা বিবেচনা করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে । কোনো কোনো দেশ নিজের নিরাপত্তার জন্যে নিজের প্রতিরক্ষা শক্তি এমনকি আক্রমণাত্মক শক্তি জোরদার করলে অন্য দেশ মনে করবে , তার পক্ষে এটা একটা হুমকী । তাই সে দেশ পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন করবে । পরস্পরের প্রভাবে অস্ত্রসজ্জার প্রতিযোগিতা শুরু হবে । ধীরে ধীরে এই অঞ্চল আরও অস্থিতিশীল হয়ে ওঠবে । আমরা বরাবরই মনে করে আসছি যে উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক পরীক্ষা চালালে ধারাবাহিক প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে ।

    সঙ্গেসঙ্গে ফিয়াও চিয়েনই মনে করেন যে , চীনের পররাষ্টট্রমন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বিভিন্ন পক্ষের উদ্দেশ্যে মাথা ঠান্ডা করে সমস্যার মোকাবেলা করার এবং পরামর্শ ও সংলাপের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করার যে আহবান জানানো হয়েছে তা লক্ষ্য করা উচিত । ফিয়াও চিয়েনই বলেছেন , উত্তর কোরিয়ার এই আচরণ ৬ পক্ষীয় বৈঠকের উপর প্রভাব বিস্তার করবে বটে, কিন্তু কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার চূড়ান্ত সমাধান ও কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক অস্ত্রবিহীনতা বাস্তবায়ন করা সংলাপ দরকার ।