v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-09 19:48:03    
১---৮ অক্টোবর

cri
    ১ অক্টোবর চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠার ৫৭ তম বার্ষিকী। এই উপলক্ষ্যে চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের জনসাধারণ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জাতীয় দিবস উদযাপন করেছেন।

    ১ অক্টোবর ভোরবেলায় রাজধানী পেইচিংয়ে জাতীয় সংগীত "বীরত্বপূর্ণ বাহিনীর অগ্রযাত্রার গানের" সাথে সাথে থিয়েন-আন-মেন মহা-চত্বরে প্রায় ২ লাখ ২০ হাজার মানুষের আশীর্বাদমূলক স্থির দৃষ্টি আর সংগীতে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে পাঁচ তারা লাল পতাকা ধীরে ধীরে উত্তোলণ করা হয়েছে। শাংহাইয়ে রং বেরং-এর ফুল ও ফেস্টুন দিয়ে সাজানো অসংখ্য গাড়ি চলাচল করছে এবং আন্তর্জাতিক সংগীত ও আতশবাজি উত্সবসহ অনেক কর্মসূচী আয়োজিত হয়েছে। সারা দেশের অন্যান্য মাঝারি ও ছোট ছোট শহরও নানা রকমের উদযাপনী কর্মসূচীর আয়োজন করে।

    থাইল্যান্ডে চীনের রাষ্ট্রদূত ৪ঠা অক্টোবর থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তির কাছে থাই প্রধানমন্ত্রী ছুলানন্তের কাছে চীনের প্রধান মন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও'র অভিনন্দন বাণী পৌঁছে দিয়েছেন ।

    ওয়েন চিয়া পাও তার অভিনন্দন বাণীতে বলেছেন , ছুলানন্ত থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পদে অধিষ্ঠিত হওয়ায় তিনি চীন সরকারের পক্ষ থেকে এবং নিজের নামে প্রধানমন্ত্রী ছুলানন্তের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও সুভকামনা ব্যক্ত করেছেন ।

    অভিনন্দন বাণীতে আরো বলা হয়েছে , দু'দেশের মধ্যে ঐতিহ্যিক বন্ধুত্ব সুপ্রাচীন । দু'দেশের জনগণের মধ্যে আত্মীয় স্বজনের মতো বন্ধুভাবাপন্ন অনুভূতি রয়েছে । দু'দেশের কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার করা যেমন দু'দেশের জনগণের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ , তেমনি তা এই অঞ্চলের শান্তি , স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্যও অনুকূল হবে ।

    ক্যানাডার ডেসিমা গবেষণা কেন্দ্রের ১ অক্টোবর প্রকাশিত একটি জনমত জরিপে বলা হয়েছে, ৭৪ শতাংশ ক্যানাডার নাগরিক মনে করেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ সরকারের নীতি বিশ্বে হুমকি স্বরূপ।

    ডেসিমা গবেষণা কেন্দ্রের বিশ্ব সন্ত্রাসদমন সমস্যা ও আফগানিস্তান সমস্যার ওপর ওয়েবসাইটের তদন্তের ফলাফল অনুযায়ী, ৭৬ শতাংশ ক্যানাডার নাগরিক মনে করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতির ফলে সন্ত্রাসী তত্পরতা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ৬৮ শতাংশ ক্যানাডার নাগরিকের অনুমান , শেষ পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরাক থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করবে।

    ২০০২ সাল থেকে আফগানিস্তানের হামলায় ক্যানাডার সৈন্যদের মধ্যে ৩৭জন নিহত হয়েছেন। শুধু চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ক্যানাডার দশজন সৈন্য আফগানিস্তানে নিহত হয়েছেন।

    ইরান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স ৩ অক্টোবর পৃথক পৃথকভাবে ইরানের পরমাণু সমস্যা সম্পর্কে নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।

    পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত ইরানের শীর্ষ আলোচনা প্রতিনিধি আলি লারিজানি ৩ অক্টোবর তেহরান সফররত রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মহাসচিব ইগোর ইভানভের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। দু'পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।

    মিশর সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিত্জ্জারাইস ৩ অক্টোবর কায়রোয় তথ্য মাধ্যমকে বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমস্যার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে আর বেশি সময় নেই । এর জন্য জটিলতায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাই বেশী। ৩ অক্টোবর মার্কিন "ওয়াশিংটন টাইমস" পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলাস বার্নস ২ অক্টোবর বিশেষ সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় বলেছেন, যদি এই সপ্তাহের মধ্যে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা অস্থায়ীভাবে বন্ধ না করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে ইরানের ওপর শাস্তি আরোপের চেষ্টা করবে।

    ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ৩ অক্টোবর বলেছেন, একই দিন সকালে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার ভাইস-চেয়ারম্যান মোহম্মদ সায়দি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি হিসেবে ফ্রান্সকে ইরানের ভূভাগে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু ফ্রান্স তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মুখপাত্র আরো বলেছেন, বর্তমানে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে কূটনৈতিক আলোচনা। ফ্রান্স মনে করে, কেবল ইরান অস্থায়ীভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা বন্ধ করলেই বিভিন্ন পক্ষের উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করার সম্ভাবনা আছে।

    জর্জিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ২রা অক্টোবর ঘোষণা করেছে , জর্জিয়া আটককৃত ৪জন রুশ সৈন্যকে মুক্তি দেয়া এবং তাদের ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংস্থার বর্তমান চেয়ারম্যান, বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুছটের কাছে হন্তান্তর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ।

    রাশিয়ার ইতার তাস বার্তা সংস্থার খবরে প্রকাশ , আটককৃত রুশ সৈন্যদের হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য গুছট মস্কো সময় ২রা অক্টোবর বিকেলে জর্জিয়ার রাজধানী তিবিলিস পৌঁছবেন । জর্জিয়ায় রাশিয়ার দূতাবাস খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে এবং এই সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য জর্জিয়াকে ধন্যবাদ জানিয়েছে ।

    জাতিসংঘের উন্নয়ন পরিকল্পনা কার্যালয় এবং বেসরকারী সংস্থা "মানবিক উন্নয়ন প্রকল্পের"উদ্যোগে প্রথম মানবিক উন্নয়ন সম্মেলন ৩ অক্টোবর কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে শুরু হয়েছে ।

    এবারকার সম্মেলন তিনদিন ধরে চলবে । জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা ও ত্রাণসাহায্যকারী দেশসমূহ থেকে আসা বিভিন্ন প্রতিনিধিরা বর্তমানে আন্তর্জাতিক মানবিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা করবেন । এর আলোচ্য বিষয় হল এইড্স, যক্ষারোগ, ম্যালেরিয়া, পুঁজি বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সংক্রান্ত ।

    অংশগ্রহণকারীরা সম্মেলনে প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ এবং জাতিসংঘের ত্রাণসাহায্য সংস্থার সামর্থ্য উন্নয়নে জাতিসংঘের সংস্কারকে প্রধান বিষয় হিসেবে গুরুত্ব দেয়া এবং এ বিষয়ে জাতিসংঘের ভবিষ্যত উন্নয়নের লক্ষে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন । প্রতিনিধিরা গুণগতমানহীন সামগ্রী মানবিক ত্রাণ সামগ্রী হিসেবে প্রেরণ না করারও আহ্বান জানিয়েছেন ।

    জাতিসংঘের ত্রাণসাহায্য প্রকল্প কার্যালয়ের আফ্রিকা অঞ্চলের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, প্রচেষ্টা চালিয়ে জাতিসংঘের মানবিক ত্রাণসাহায্য সংস্থার অবস্থার পরিবর্তন করা উচিত । কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা সংঘর্ষ হলে এ সংস্থাটি কেই সর্বপ্রথম ব্যবস্থা নিতে হবে।

    জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের এমাসের পালাক্রমিক চেয়ারম্যান , জাপানের প্রতিনিধি ওসিমা কেনজো ৪ অক্টোবর নিইউয়র্কে বলেছেন , জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা করার সমস্যা নিয়ে রুদ্ধদ্বার আলোচনা করেছে । অংশগ্রহণকারীরা এসমস্যার ওপর অত্যন্ত গুরুত দেন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতি পরমাণু পরীক্ষা না করার তাগিদ দিয়েছেন ।

    ওসিমা কেনজো আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন , নিরাপত্তা পরিষদ আরো একটি সম্মেলন আয়োজন করবে । সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা সম্বন্ধে এক বিবৃতি প্রকাশ করার বিষয় নিয়ে পরামর্শ করা হবে ।

    জাতিসংঘস্থ চীনের স্থয়ী প্রতিনিধি ওয়াং কুয়াংইয়া আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের বলেছেন , নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য দেশগুলো এসমস্যার ওপর অত্যন্ত গুরুত দেয় এবং মনে করে যে , ছ'পক্ষীয় বৈঠক হল সমস্যা সমাধানের শ্রেষ্ঠ উপায়

    জাপানের প্রধানমন্ত্রী আবে শিনজো ৫ অক্টোবর জাপানের লোকসভায় বলেছেন, জাপান-চীন সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। দু'দেশ রাজনৈতিক সম্পর্ক গভীর করার মাধ্যমে আঞ্চলিক এবং বিশ্ব শান্তির জন্য অবদান রাখবে। তিনি দু'দেশের মধ্যমে ভবিষ্যতে সংলাপ করতে ইচ্ছুক।

    তিনি বলেছেন, জাপান-চীন এবং জাপান-দঃ কোরিয়া সম্পর্ক হচ্ছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। জাপানের অর্থনীতি এই দুই দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছাড়া চলবে না। ভবিষ্যতে জাপান দু'দেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের চেষ্টা করবে এবং অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা উন্নয়নের জন্য চেষ্টা করবে। তিনি বলেছেন, জাপান ও চীনের মধ্যে পারস্পারিক ধারণা, লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে মনখোলা সংলাপ আয়োজন হচ্ছে আস্থাশীল সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার প্রথম পদক্ষেপ।

    'মুরায়ামা টমিচি' সংলাপ সম্পর্কে তিনি বলেছেন, দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে বিরাট বিপর্যয় ও দুঃখ বয়ে এনেছে। তিনি বলেছেন, চীন ও দঃ কোরিয়া আগ্রাসী ও ঔপনিবেশিক শাসনের স্বীকার হয়েছে বলে 'মুরায়ামা টমিচি' সংলাপে স্বীকার করা হয়েছে। এটা হচ্ছে মন্ত্রীসভা গঠিত হওয়ার পর মি. আবের প্রথম বক্তৃতা।

    জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান ৬ অক্টোবর এক বিবৃতিতে উঃ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে পরমাণু পরীক্ষা না করা এবং অবিলম্বে শর্তহীনভাবে কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা নিয়ে ছ'পক্ষীয় বৈঠকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ ও সার্বিকভাবে এই সমস্যা সমাধান করা যায়।

    বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, উঃ কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা চালানোর ওপর নিরাপত্তা পরিষদ নিবিড় মনোযোগ রাখছে। তিনি বলেন, উঃ কোরিয়ার আনুমানিক পরমাণু পরীক্ষা অঞ্চলে ও এর বাইরের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার হুমকি বয়ে আনবে। যদি উঃ কোরিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের পরোয়া না করে পরমাণু পরীক্ষা চালায়, তাহলে নিরাপত্তা পরিষদ 'জাতিসংঘ সনদ' অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।

    বিবৃতি প্রকাশ করার পর, দঃ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ৭ অক্টোবর প্রকাশিত বিবৃতির সমর্থন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উঃ কোরিয়ার উপল্বদ্ধি করতে হবে যে, পরমাণু পরীক্ষা তার জন্য কোনো কল্যান করে আনবে না।

    জাতিসংঘ মানবাধিকার নির্বাহী পরিষদের দ্বিতীয় সম্মেলন ৬ অক্টোবর জেনিভায় শেষ হয়েছে । সম্মেলনে নবেম্বর মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের দাখিল করা খসড়া প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে ।

    জাতিসংঘ মানবাধিকার নির্বাহী পরিষদের চেয়ারম্যান , জেনেভার জাতিসংঘ কার্যালয়স্থ মেক্সিকোর স্থায়ী প্রতিনিধি দে আলবা বলেছেন , বিভিন্ন দেশ অনেক খসড়া প্রস্তাব দাখিল করেছে বলে সম্মেলনে এসব প্রস্তাব যাচাই করা সম্ভব হয়নি । এসব প্রস্তাব সতর্কভাবে যাচাই করতে হবে । তাই তিনি পরবর্তী সম্মেলনে এসব প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করার প্রস্তাব দিয়েছেন ।

    ১৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মানবাধিকার নির্বাহী পরিষদ সম্মেলন শুরু । সম্মেলনে ভবিষ্যত নির্বাহী পরিষদের কর্মনীতি নিয়ে আলোচনা ছাড়া , মানবাধিকার ক্ষেত্রের ৪০টিও বেশি রিপোর্ট যাচাই করা হয়েছে ।

    জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের চেয়ারম্যান ৬ অক্টোবর এক বিবৃতিতে উঃ কোরিয়ার উদ্দেশ্যে পরমাণু পরীক্ষা না করা এবং অবিলম্বে শর্তহীনভাবে কোরীয় উপদ্বীপের পরমাণু সমস্যা নিয়ে ছ'পক্ষীয় বৈঠকে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। যাতে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে শান্তিপূর্ণ ও সার্বিকভাবে এই সমস্যা সমাধান করা যায়।

    বিবৃতিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, উঃ কোরিয়ার পরমাণু পরীক্ষা চালানোর ওপর নিরাপত্তা পরিষদ নিবিড় মনোযোগ রাখছে। তিনি বলেন, উঃ কোরিয়ার আনুমানিক পরমাণু পরীক্ষা অঞ্চলে ও এর বাইরের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার হুমকি বয়ে আনবে। যদি উঃ কোরিয়া আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের পরোয়া না করে পরমাণু পরীক্ষা চালায়, তাহলে নিরাপত্তা পরিষদ 'জাতিসংঘ সনদ' অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।

    বিবৃতি প্রকাশ করার পর, দঃ কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় ৭ অক্টোবর প্রকাশিত বিবৃতির সমর্থন করেছে। দক্ষিণ কোরিয়া বলেছে, উঃ কোরিয়ার উপল্বদ্ধি করতে হবে যে, পরমাণু পরীক্ষা তার জন্য কোনো কল্যান করে আনবে না।