আজকাল টেলিফোন করে বিভিন্ন পরিসেবা মূলক খাতের বিল সমূহ সহজেই দেয়া যায়। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিবারের জন্য বিভিন্ন রকমের ইলেকট্রোনিক পণ্যদ্রব্য সংগ্রহ ও ব্যবহার করতে পারা যায় , আধুনিক পদ্ধতির কারণে ট্র্যাফিক পুলিশের আগের মত আর ব্যস্ত থাকতে হয় না। জনগণ নিজেদের চাহিদা অনুযায়ী ডিজিটাল টেলিভিশনে যে কোন অনুষ্ঠান সুন্দর আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গে ঝক ঝকে ছবি দেখতে পারেন। এর মাধ্যমে চমত্কার অনুষ্ঠান, জিনিস পত্র -বেচা কেনা, চিকিত্সা করা ও পুঁজিবনিয়োগ করা ইত্যাদি -বিষয়গুলোর সুবিধা অরলীলায় কাজে লাগতে পারে। এ সব পদ্ধতির উন্নত সংস্করন ক্রমাগত ভাঠে পেইচিং শহরে বাস্তবায়ন করা হবে ।
পেইচিং-এর অধিবাসীগণ সবাই এ অবস্থা দেখেছে যে, তারা শুধু সময়মত টেলিফোন, পানি এবং বিদ্যুতের বিলসহ দৈনন্দিন কাজের অন্যান্য বিল জমা দেয়ার জন্যে ব্যাংক গিয়ে প্রায় এক ঘন্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করে থাকেন । এমন কি, কোন ব্যাংকের সিস্টেম নষ্ট হলে আবার আরেকটি ব্যাংক খুঁজতে যেতে হয় ।
এখন পেইচিংয়ের অধিবাসীদের টেলিফোনের বিল দেয়ার সময় " ৯৬১৯৯" পরিসেবা হট লাইন ব্যবহার করে টেলিফোনের বিল সহজেই দিতে পারে। আগের মত এখন আর নিজেদের সময় নষ্ট করে ব্যাংকে গিয়ে সারিবদ্ধ দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয় না। তাছাড়া, এখন সবাই ডিজিটাল টেলিভিশনও ব্যবহার করে। ব্যাপক ব্যবহৃত অনুকরণমূলক সঙ্কেত পদ্ধতির টেলিভিশন অনুষ্ঠানের চেয়ে ডিজিটাল সঙ্কেত টেলিভিশনের অনুষ্ঠানের মান খুব ভাল , দৃষ্টিনন্দন ছবি ও শ্রুতিমধুর সংগীতের সুর সহ , অনুষ্ঠানের বিষয়ে আরো বেশি বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরা যায় । আরেকটি কথা হলো , ডিজিটাল টেলিভিশন ব্যবহার করার সময় দর্শক শ্রোতাবন্ধুরা যে কোন অনুষ্ঠান এককেন্দ্রীকভাবে দেখার পরিবর্তে একসঙ্গে বহুবিধভাবেও উপভোগ করতে পারে। পছন্দের কোন অনুষ্ঠান সহ কয়েকটি অনুষ্ঠান একটি দেখতে পারা যায় । পাশা পাশি করে রেখে পরবর্তি সময়ে দেখা যায়। উল্লেখ্য, ডিজিটাল টেলিভিশন অনেকটা কম্পিউটারের মতোই ভূমিকা পালন করতে পারে, এর ফলে পরিবারের সবার জন্যে অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে। " খুবই সহজ হয়েছে, বাইরে যাওয়ার আর সারিবদ্ধ হওয়ার কোন দরকার নেই, শুধু কয়েক মিনিটেই সব কিছু এখন করা যায়। আমার জীবনে সুবিধার দিকটাই বেশি। "
আট বছর আগে, সাবেক মার্কিনভাইস-প্রেসিডেন্ট আলবের্ট গোরে জুনিয়র প্রথমবারের মত ডিজিটাল পৃথিবী' গঠনের প্রস্তাব দাখিল করেছেন। বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন ও পুনর্গঠনে এখন ডিজিটাল পদ্ধতিকে পরিকল্পনার অন্তর্ভূক্ত করেছে। যা শহরের অবকাঠামো ব্যবস্থা, অর্থনীতি, সংস্কৃতি, শিক্ষা ও নিরাপত্তা এবং বিভিন্ন তথ্যের মাধ্যমে কার্যকরভাবে একটি শহরের রাজনৈতিক বিষয়াদি, বাণিজ্য বিষয়াদি, ট্র্যাফিক, শহরের রাজনৈতিক অবকাঠামো ব্যবস্থা প্রসাশন, গণ-তথ্য পরিসেবা, শিক্ষা প্রসাশন, চিকিত্সা প্রসাশন, সুনিশ্চিত সামাজিক প্রসাশন, শহরের পরিবেশ তত্ত্বাবধান ও প্রসাশন এবং কমিউনিস্ট প্রসাশন সহ জীবনের বহু ক্ষেত্রে উন্নততর পরিসেবা দিতে হচ্ছে। বর্তমান চীনের মোট ৪০টি শহরে ডিজিটাল শহর গঠনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে । এর মধ্যে ডিজিটাল পেইচিং সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য।
পেইচিং স্থানীয় সরকার রাজধানী ওয়েবসাইট তৈরী করেছে। তা হলো পেইচিং ডিজিটাল শহর গঠনের দিক। এই বিশেষ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে, সরকার জনগণের কাছে প্রভাবশালী রাজনৈতিক তথ্য খুব দ্রুত জানাতে পারবে ।
ডিজিটাল শহরের গঠনে নিজেদের মতামত পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাওইয়া কৌশল শহর উন্নয়ন ও তথ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান খৌ ইয়ৌকুয়ান মনে করেন যে, ডিজিটাল শহরের ভিত্তি হলো সার্বিকভাবে সবার সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করে নেয়া ।
" ডিজিটাল শহরের গঠন হলো সর্বোতভাবেই শহরের প্রয়োজনীয় তথ্য সমূ ব্যবহার নিশ্চিত করা, যাতে শহরের কাঠামোগত দিক থেকে প্রশাসনিক কাজ ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, এবং আমাদের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু উন্নয়ন বাস্তবায়ন করা। ডিজিটাল পদ্ধতি আমাদের সমাজের জন্যে অনেক সুবিধা এনে দিয়েছে।"
একবিংশ শতাব্দীতে , তথ্যায়ন হচ্ছে শহরের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের অন্যতম। পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের বাওইয়া কৌশল শহর উন্নয়ন ও তথ্য গবেষণা বিভাগের প্রধান খৌ ইয়ৌকুয়ান মনে করেন যে, ডিজিটাল শহরের গঠনে তথ্যায়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যার ফলে জনগণকে বেশ ভাল পরিসেবা দেয়া যায় । জনগণের জন্য ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের আরো জোরদার করলে সরকার আরো ভালভাবে পরিসেবার কাজ সম্পাদন করতে হবে ।
" অর্থনৈতিক প্রত্রিয়া, মানব সমাজের ও সম্পদের ক্ষেত্র উন্নয়নের জন্যে ডিজিটাল শহরের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। খুব সহজেই তুলে ধরা যাবে । সক্রীয় উন্নয়নের প্রক্রিয়ায় কিছু কিছু উন্নয়নমুখী র চেয়ে আমাদের উন্নয়ন বেশি দ্রুত হয়েছে এবং চীন এখন একটি বেশ ভাল অবস্থানে রয়েছে । আমাদের সাজ-সরঞ্জাম ও মানব সম্পদের অবস্থা এমন যে, আগামী দশ বছরে, দেশের শহরের তথ্যায়ন খুব দ্রুত উন্নয়ন রা সম্ভব হবে ।"
|