v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-10-09 15:32:31    
 বিদেশীরা চীনে শিক্ষা বা কর্মসংস্থান গ্রহণ করতে আগ্রহী

cri
    আরো বেশি বিদেশী চীনে শিক্ষা গ্রহণ করতে এসেছেন। এর পাশা পাশি চীনে আসা বিদেশের উচ্চ প্রযুক্তি ও পরিচালনা কর্মীদের সংখ্যাও অব্যাহতভাবে বেড়েছে। পরিসংখ্যানে জানা গেছে, চীন বিদেশীদের পড়াশুনা ও চাকরি পাওয়ার অন্যতম দেশে পরিণত হয়েছে।

     শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান সূত্রে জানা গেছে, নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পর ২০০৫-এ বিদেশীদের চীনে শিক্ষা গ্রহণ করতে আসার সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ২০০৫ সালে চীনে শিক্ষা গ্রহণ করতে আসা বিভিন্ন বিদেশীদের সংখ্যা ১ লাখ ৪১ হাজারেরও বেশি। গত বছরের তুলনায় ২৭.২৮ শতাংশ বেড়েছে। তাঁদের মধ্যে চীনা ভাষা শিক্ষার্থীদের সংখ্যা ৮৬ হাজার ৬৭৯।

     রাষ্ট্রীয় বিদেশী ছাত্রছাত্রী তহবিল পরিচালনা কমিটির মহাসচিব চাং সিউ ছিন বলেছেন, চীনের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল, অর্থনীতির উন্নয়ন দ্রুত, আন্তর্জাতিক প্রভাব ধাপে ধাপে উন্নত হচ্ছে। এর পাশা পাশি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের উচ্চ শিক্ষার মান বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিদেশের তরুণ-তরুণীদের স্বীকৃতি পেয়েছে। তাই আরো বেশি বিদেশী ছাত্রছাত্রী চীনে শিক্ষা গ্রহণ করতে এসেছেন।

    দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আসা ছাত্র হোন ছুন ইয়ং পেইচিং ভাষা বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষা শিখছেন। তিনি চীনা ভাষায় আমাদের বলেছেন, বর্তমানে আমার অনেক দক্ষিণ কোরিয়ার বন্ধু চীনে চীনা ভাষা শেখার কথা বিবেচনা করছে। কারণ দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনা ভাষার বাস্তব মূল্য প্রতিদিনই বাড়ছে। বহু বৈদেশিক বাণিজ্যিক কোম্পানিতে চীনা ভাষা বলতে পারার কর্মী প্রয়োজন।

     চাং সিউ ছিন বলেছেন, বর্তমানে চীনের শিক্ষার পরিবেশ ধাপে ধাপে উন্নত হচ্ছে। বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের চীনে থাকা, পড়াশুনা, চিকিত্সা বীমাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আরো মানবিকীকরণ ও আন্তর্জাতিকীকরণ হচ্ছে। যেমন বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের বাসস্থানের সমস্যা। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে থাকবেন বা তার বাইরে থাকবেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদেশী ছাত্রছাত্রীর বিশেষ হোস্টেলে থাকবেন বা চীনা ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে থাকবেন, এটি ছিল গত শতাব্দীর আশির দশকের একটি বড় সমস্যা। তবে বর্তমানে এই ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা নেই। তাঁরা বাইরেও থাকতে পারেন।

    চীনে শিক্ষা গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ফি বা বেতন কম হওয়ায় চীনে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের আকর্ষণের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।

    অস্থায়ী চাকরি বা কাজ করে লেখাপড়ার ফি মেটানো হচ্ছে বিদেশী ছাত্রছাত্রীদের চীনে শিক্ষা গ্রহণের একটি মূল সমস্যা এবং খুব কঠিন সমস্যা। তবে এখনো চীন এই ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট কোন নিয়ম প্রণয়ন করে নি। ২০০০ সালে চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, গণ-নিরাপত্তা মন্ত্রণালয় যৌথভাবে নিয়মবিধি জারী করেছে। এই নিয়মবিধি অনুযায়ী বিদেশী ছাত্রছাত্রীরা লেখাপড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ উপার্জনের জন্য কাজ করতে পারেন। তবে এই ব্যাপারে খুব বিস্তারিত নীতি বা নিয়ম প্রণয়ন করা হয়নি।

    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ১৯৫০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত চীনে শিক্ষা গ্রহণ করতে আসা বিভিন্ন বিদেশীদের সংখ্যা ৮.৮ লাখ চার হাজার তিন শো পনেরো জন। তাঁরা চীনা ভাষা, চিকিত্সাবিদ্যা, অর্থনীতি, পরিচালনা, আইন, শিক্ষা, ইতিহাস, কৃষিসহ বিভিন্ন বিভাগে পড়াশুনা করেছেন।

    চীনের শ্রম আর সামাজিক নিশ্চয়তা বিধান মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান জানা গেছে, ২০০৫ সাল পর্যন্ত ১.৫ লাখেরও বেশি বিদেশী মূলভূভাগে চাকরি পাওয়ার বিষয়টি নিবন্ধিত করেছেন। তাঁদের বেশির ভাগ জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন।

    মার্কিন নাগরিক ক্রিস্টিয়ান কেন্ড হচ্ছেন একটি সংবাদ মাধ্যমের পরামর্শ কোম্পানির পরিচালক। তিনি চীনে দশ বছর থাকার পর মনে করেন, একজন বিদেশীর চীনে চাকরি পাওয়ার সুবিধা রয়েছে। তবে নিজেই চীনে কর্মজীবনের সাফল্য অর্জন করতে চান, কিন্তু তা কঠিন ছিল। কারণ চীনে বিভিন্ন অনুমোদন পাওয়ার সমস্যায় কিছু ঝামেলা আছে।

    আরো বেশি বিদেশী চীনে থাকা ও কর্মসংস্থানের ব্যাপারে উত্সাহ দেয়ার জন্য ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে চীনের নিরাপত্তা মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় "বিদেশীদের চীনে চিরস্থায়ীভাবে থাকার পরিচালনা সংক্রান্ত নীতি" ঘোষণা করেছে। ২০০৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ক্যানাডা, সিঙ্গাপুর, জাপান, অষ্ট্রেলিয়াসহ ৩৩টি দেশের ৬৪৯জন চীনের চিরস্থায়ী থাকার স্বীকৃতিপত্র পেয়েছেন।