ইরান, রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ফ্রান্স ৩ অক্টোবর পৃথক পৃথকভাবে ইরানের পরমাণু সমস্যা সম্পর্কে নিজ নিজ অবস্থান ব্যাখ্যা করেছে।
পরমাণু সমস্যা সংক্রান্ত ইরানের শীর্ষ আলোচনা প্রতিনিধি আলি লারিজানি ৩ অক্টোবর তেহরান সফররত রাশিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মহাসচিব ইগোর ইভানভের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। দু'পক্ষ আলোচনার মাধ্যমে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে মতৈক্যে পৌঁছেছেন।
মিশর সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কন্ডোলিত্জ্জারাইস ৩ অক্টোবর কায়রোয় তথ্য মাধ্যমকে বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমস্যার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে আর বেশি সময় নেই । এর জন্য জটিলতায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাই বেশী। ৩ অক্টোবর মার্কিন "ওয়াশিংটন টাইমস" পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিকোলাস বার্নস ২ অক্টোবর বিশেষ সাক্ষাত্কার দেয়ার সময় বলেছেন, যদি এই সপ্তাহের মধ্যে ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা অস্থায়ীভাবে বন্ধ না করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের মাধ্যমে ইরানের ওপর শাস্তি আরোপের চেষ্টা করবে।
ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ৩ অক্টোবর বলেছেন, একই দিন সকালে ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার ভাইস-চেয়ারম্যান মোহম্মদ সায়দি আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি হিসেবে ফ্রান্সকে ইরানের ভূভাগে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিষয়টি তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব পালন করার প্রস্তাব দিয়েছেন। কিন্তু ফ্রান্স তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এই মুখপাত্র আরো বলেছেন, বর্তমানে ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানের একমাত্র উপায় হচ্ছে কূটনৈতিক আলোচনা। ফ্রান্স মনে করে, কেবল ইরান অস্থায়ীভাবে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ তত্পরতা বন্ধ করলেই বিভিন্ন পক্ষের উত্থাপিত প্রস্তাবগুলো নিয়ে আলোচনা করার সম্ভাবনা আছে।
|