ফলের মধ্যে প্রচুর ভিটামিন ও অজৈব লবণ রয়েছে,সবসময় ফল খাওয়া আপনাদের স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক । কিছু ডায়াবেটিস রোগী তাঁদের রক্তেসুগার বাড়বে এই ভয়ে একদম ফল খেতে সাহস করেন না। অন্যরা মনে করেন ফল খেলে রক্তেসুগার বাড়বে না । তাই যত বেশি ফল খেতে চান তত ফল খান , কোনো হিসাব করেন না । এসব পদ্ধতি যুক্তিযুক্ত নয় । আসলে ডায়াবেটিস রোগীরা ফল খেতে পারেন । পরীক্ষা থেকে জানা গেছে, ফলের উপাদান মানুষের শরীর চিনি গ্রহণ করার ক্ষেত্রে দীর্ঘ করতে পারে ,এর জন্যে রক্তেসুগার নিয়ন্ত্রণে সহায়ক । তা ছাড়া ফলের প্রচুর ভিটামিন রয়েছে, যুক্তিযুক্তভাবে ফল খাওয়া খুব ভাল হবে । কিন্তু কিছু ফলের মধ্যে নানা ধরনের চিনি রয়েছে, এসব চিনির পরিমাণ ৬% থেকে ২০% পর্যন্ত । এসব চিনির মধ্যে কোনো কোনো মানুষের শরীরের পক্ষে হিতকর নয় । এর জন্যে ডায়াবেটিস রোগীদের ফল খাওয়ার সময় ও পরিমাণ ভালভাবে হিসাব করা উচিত ।
যেসব হাল্কা ডায়াবেটিস রোগীদের কম চিনি উপাদান যুক্ত ফল খাওয়া ভাল । প্রত্যেকবার খাবার সময়ের এক ঘন্টা আগে , দু'বেলা খাবারের মধ্যে বা ঘুমের আগে ফল খান । তা ছাড়া ফল খাওয়ার পরিমাণ হিসাব করুন । প্রথমে অল্প পরিমাণ ফল খান । যদি বেশি ফল খান, তাহলে খাবারের পরিমাণ কমানো হবে । যেমন একটি ২০০ গ্রামের আপেল ২৫ গ্রামের ভাতের ক্যলেরি একই । একটি ২০০ গ্রামের আপেল খেলে , দুপুরের খাবারের সময় ২৫গ্রাম ভাত কম খেতে হবে । এভাবে ক্যলের গ্রহণ করার সমতা বজায় রাখতে পারেন ।
কিন্তু যদি ডায়াবেটিস রোগীদের অবস্থা খুবই গুরুতর হয় , তাহলে ফল না খাওয়াই ভাল । ইনসুলিন ব্যবহারকারী ডায়াবেটিস রোগীরা অল্প ফল খেতে পারেন । ডায়াবেটিস রোগীরা শরীরের রক্তেসুগার কমাতে বেশি শ্রম করার পাশা পাশি কিছু ফল খেতে পারেন ।
তাছাড়া আমি আপনাদের জন্যে পেঁয়াজের মাধ্যমে রক্তেসুগার কমানোর দুটি পদ্ধতি জানাবো ।
প্রথম. ভিনেগার দিয়ে পেঁয়াজ ডিজানোর পদ্ধতি ।
একটি পেঁয়াজ পরিষ্কার করার পর ,আপনারা তা পাতলা করে কেটে নিন । তারপর সব পাতলা বোতলে রাখুন, পাঁচ চামচ ভিনিগার বোতলে রাখুন । তারপর বোতলটি হিমায়নযন্ত্রে দেন । পরের দিন ভোরে খেতে পারেন । প্রতিদিন ভোরে নাস্তা খাওয়ার সময় এ ভিনিগার খেলে , আপনাদের রক্তেসুগার কার্যকরভাবে কমবে এবং ওজনও কমে যাবে । দীর্ঘকাল এ ভিনিগার খেলে, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিত্সা এমনি তেই হয়ে যাবে , রক্তচাপ স্থিতিশীল হবে এবং ঘুমের জন্য সহায়ক হবে ।
দুই. পেঁয়াজের চামড়া পানির সঙ্গে উত্তপ্ত করার পদ্ধতি
পেঁয়াজের চামড়া পানিতে ফুটিয়ে পান করা অথবা বেশি ভাজা পেঁয়াজ খাওয়া আপনাদের চোখের জন্য অনেক সহায়ক হবে এবং রক্তেসুগার নিয়ন্ত্রণও সম্ভব হবে ।
|