v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-29 16:58:53    
জর্জিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে কেন এত বেশী বিরোধ দেখা দিয়েছে

cri

    ২৮ সেপ্টেম্বর রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে, জর্জিয়া রুশ সৈন্যদেরকে আটক করার ব্যাপার নিয়ে আলাপআলোচনার জন্যে রাশিয়া জর্জিয়ায় নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একই দিন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী সেরগে লাভরোভ বলেছেন, জর্জিয়ার এই আচরণে তার রাশিয়া-বিরোধী মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে । এই ঘটনা হল রাশিয়ার প্রতি একটি প্ররোচনামূলক তত্পরতা।

    ২৭ সেপ্টেম্বর ' গোয়েন্দা তত্পরতায় লিপ্ত ' হওয়ার অভিযোগে জর্জিয়ার পুলিশ জর্জিয়ায় মোতায়েন ৫ জন রুশ সৈন্যকে আটক করেছে। এর সঙ্গে সঙ্গে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে গোয়েন্দা তত্পরতায় লিপ্ত আরেক জন সংন্দেহভাজন রুশ সামরিক অভিসারকে হস্তান্তর করার দাবি জানিয়ে জর্জিয়ার সামরিক পুলিশ রাজধানী টিবিলিসিতে অবস্থিত ককেশিয়ায় মোতায়েন রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সদর দফতর ঘেরাও করে রেখেছে। জর্জিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জন কর্মকর্তা বলেছেন, গত

    কয়েক মাসে উল্লেখিত কয়েক জন রুশ সৈন্য জর্জিয়ায় গোয়েন্দা তত্পরতায় লিপ্ত ছিলেন। তারা জর্জিয়ার বিমান বাহিনীর লড়াইয়ের ক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং ন্যাটোর সঙ্গে জর্জিয়ার সহযোগিতামূলক প্রকল্প আর পরিকল্পনা গোপনে পযর্বেক্ষণ করেছে। তা ছাড়া জর্জিয়ার জ্বালানীর সরবরাহ, বিরোধী দল আর বেসরকারী সংস্থা ইত্যাদি তাদের নজরের ব্যাপার ছিল।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন , এবারের 'গোয়েন্দা ঘটনা' থেকে বুঝা যায় যে , ২০০৩ সালে জর্জিয়ায় বিপ্লবসংঘটিত হওয়ার পর থেকে জর্জিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে সম্পর্ক অধিক থেকে অধিকতর দুর্বল হয়ে গেছে। যে কোন কারণে দু'দেশের সম্পর্কের সার্বিক অবনতি হতে পারে। মর্তমান দু'দেশের মধ্যে চারটি বড় বিরোধএখোনো বিরাজ করছে।

    প্রথমত: জর্জিয়ায় মোতেয়ন রুশ সৈন্যবাহিনীর সমস্যা। প্রাক্তন সৌভিয়েত ইউনিয়ন ভেংগে যাওয়ার পর , রাশিয়া জর্জিয়ায় প্রাক্তন সৌভিয়েত ইউনিয়ানের চারটি সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। বতর্মানে দু'টো ঘাঁটি এখন খালি হয়েছে। কিন্তু রুশ সৈন্য এখনও বাকী দুটো ঘাঁটিতে রয়ে গেছে। দীর্ঘকাল ধরে এ দুটো ঘাঁটি থেকে অপসরণের সময়সূচী নিয়ে দু'দেশের মধ্যে তর্কবিতর্ক রয়েছে। গত মার্চ মাসে দু'দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, ২০০৮ সালে রুশ সৈন্য পুরোপুরি জর্জিয়া থেকে সরে যেতে পারবে। রাশিয়ার সামরিক অস্তিত্ব

    শুধু যে নেটোতে জর্জিয়ার অন্তর্ভুক্তিতার একটি বড় বাধা তাই নয় দু'দেশের মধ্যে এত বেশী বিরোধ দেখা দেয়ারও একটি প্রধান কারণ।

    দ্বিতীয়ত: আবহাজিয়া আর দক্ষিণ ওসেটিয়া সমস্যা।প্রাক্তন সৌভিয়েত ইউনিয়ান ভেঙ্গে যাওয়ার পর এ দুটো অঞ্চল এক সময় জর্জিয়া থেকে বিছিন্ন করে স্বাধীন দেশ গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছিল। গত শতাব্দীর নব্বই দশকের প্রথম দিকে এ দুটো জায়গা আর জর্জিয়ার মধ্যে সশস্ত্র সংঘর্ষ ঘটে। যদিও এই সংঘর্ষ শীঘ্রই প্রশমিত হয় তবু এখন পযর্ন্ত এ দুটো জায়গায় স্বাধীনতা প্রয়াসের আকাংক্ষা রয়ে গেছে। জর্জিয়া সব সময় মনে করে, রাশিয়া গোপনে উল্লেখিত দুটো জায়গার জাতীয় বিছিন্নতাবাদীদের সমর্থন করে এসেছে বলে এ দুটো জায়গার সমস্যা এখন পযর্ন্ত সমাধান করা যায়নি

    তৃতীয়ত: স্বাধীনরাষ্ট্রসমূহের কমনওয়েলথের প্রজাতন্ত্রগুলো ভেঙ্গে যাওয়া বা তা বজায় রাখার সমস্যা।সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্বাধীনরাষ্ট্রসমূহের কমনওয়েলথের প্রজাতন্ত্রগুলোর কয়েকটি সদস্য রাষ্ট্র পর পর প্রকাশ্যে এই গোষ্ঠি অব্যাহতভাবে বজায় রাখার প্রয়োজনীয় ব্যাপার সন্দেহ ব্যক্ত করেছে।

    চতুর্থত: দু'দেশের মধ্যেকার ' জ্বালানী যুদ্ধ' এখনও শেষ হয়নি। দীর্ঘকাল ধরে জ্বালানী ক্ষেত্রে জর্জিয়া রাশিয়ার উপর নির্ভর করতে থাকে। সুতরাং জর্জিয়াএ ক্ষেত্রে রাশিয়া থেকে রেহাই পেতে চায়।