v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-29 14:09:12    
পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মুক্তা--ফিলিপাইন

cri
    ফিলিপাইন এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। এর ভূ-পৃষ্ঠের আয়তন হচ্ছে ২ লাখ ৯৯ হাজার ৭০ শ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে ফিলিপাইনের লোকসংখ্যা হচ্ছে ৮ কোটি ২৭ লক্ষ ৭০ হাজার। এর মধ্যে মালয়েশীয় জাতির লোকসংখ্যা সারা দেশের লোকসংখ্যার ৮৫শতাংশেরও বেশি। অধিকাংশ জনগণ ক্যাথলিক ধর্ম বিশ্বাসী। ফিলিপাইন হচ্ছে একটি দ্বীপপুনজ সমন্বিত দেশ। মোট ছোট বা বড় ৭১০৭টি দ্বীপ আছে। এ সব দ্বীপ আলাদা আলাদাভাবে পশ্চিম প্যাসিফিকে থাকে বলে "পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের মুক্তা" নামে পরিচিত। ১৫২১ সালে এফ.মাগেল্লানের নেতৃত্বে স্পেনের একটি অনুসন্ধান দল ফিলিপাইনে পৌঁছায়। ১৫৬৫ সালে স্পেন ফিলিপাইন দখল করে নেয়। এর পরের তিনশরও বেশি বছর ফিলিপাইন স্পেনের নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৮৯৮ সালের ১২ জুন মাসে ফিলিপাইন স্বাধীনতার কথা ঘোষণা করে এবং ফিলিপাইন প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়। একই বছরে যুক্তরাষ্ট স্পেনের সঙ্গে যুদ্ধের পর স্বাক্ষরিত "প্যারিস চুক্তি"অনুসারে ফিলিপাইনকে নিজেদের দখলে নেয়। ১৯৪২ সালে জাপান ফিলিপাইনকে দখল করে। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের পর ফিলিপাইন আবারও যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশে পরিণত হয়। ১৯৪৬ সালের ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনের স্বাধীনতা কিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

    ফিলিপাইন গ্রীষ্মমণ্ডলীয় সামুদ্রিক ক্লাইমেট সম্পন্ন। এখানে তাপমাত্রা খুব উচ্চ এবং বৃষ্টিও বেশী। প্রাকৃতিক সম্পদ খুব বৈচিত্র্যময়। এদেশে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় বৃক্ষের সংখ্যা হাজার হাজার। তাই ফিলিপাইনের আরেকটি সুন্দর নাম আছে, ফুলের দ্বীপ। এর রাজধানী ম্যানিলা ১৬ শতাব্দীতে একটি বিখ্যাত স্থলবন্দর ছিল। এখন এটি হচ্ছে সারা দেশের বৃহত্তম বন্দর। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর ফিলিপাইন সরকার ম্যানিলাসহ অন্য চারটি শহর এবং অন্যান্য ১৩টি মহকুমা নিয়ে বড় ম্যানিলা শহর প্রতিষ্ঠা করে। বর্তমানে এই শহরের লোকসংখ্যা হচ্ছে এক কোটি ৯০ হাজার।

    ফিলিপাইনের জলজ খাদ্য সম্পদও খুব বৈচিত্র্যময়। দেশটিতে মোট দুই হাজার চারশরেরও বেশী ধরণের মাছ রয়েছে। ফিলিপাইনের প্রধান খাদ্যশস্য হচ্ছে ধান ও ভূট্টা । ডাব, আখ, ম্যানিলা পাট ও তামাক হচ্ছে ফিলিপাইনের চারটি অর্থকরী ফসল।

    জাতীয় অর্থনীতিতে ফিলিপাইনে শিল্পের অবস্থান খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিপাইনের পরিসেবা শিল্পে উত্পাদন মূল্য ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তা জাতীয় উত্পাদনের মোট মূল্যের ৪৩ শতাংশ। পরিসেবায় লিপ্ত হওয়া জনগণের সংখ্যা বিভিন্ন কাজে প্রদানকারী জনগণের ৪৭.৩ শতাংশ।

    চীন ও ফিলিপাইনের জনগণের বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগের ইতিহাস খুবই সুদীর্ঘ। থাং ও সোং রাজবংশ চলাকালীন সময় দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান করা হতো। ১৯৭৫ সালে দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর থেকে দু'দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন স্থিতিশীল, উচ্চপর্যায়ের পারস্পরিক আদান-প্রদান অব্যাহত রয়েছে। দু'দেশের সরকারের মধ্যে বহু-পর্যায়ের যোগাযোগ ও সহযোগিতার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্কের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দু'দেশের অর্থনীতি ক্ষেত্রের সহযোগিতাও সক্রিয় উন্নয়নের প্রবণতা বজায় রেখেছে। গত পাঁচ বছর ধরে প্রতি বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূল্যের বৃদ্ধির গড়পড়তা গতি হচ্ছে ৪৩.৭৮ শতাংশ। ২০০৪ সালে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য মূল্য ১৩.৩২৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল। চীন হচ্ছে ফিলিপাইনের চতুর্থ বাণিজ্য অংশীদারি এবং সবচেয়ে দ্রুত উন্নয়নসম্পন্ন রপ্তানি বাজার।