v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-29 10:55:58    
থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক সংঘর্ষ

cri
    ২০০৬ সালের জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে, থাকসিন পরিবারের নিয়ন্ত্রণাধীন সিন গোষ্ঠী ও সিংগাপুরের তেমাসেক কোম্পানি একমত হয়েছে যে, তেমাসেক কোম্পানিটি ১ বিলিয়ন ৮৮ কোটি মার্কিন ডলার দামে সিন গোষ্ঠীর কাছে ৪৯.৬ শতাংশের শেয়ারের বিনিময়ে তেমাসেক কোম্পানিকে বিক্রি করে দেবে। সিন গোষ্ঠীর থাইল্যান্ডের বৃহত্তম টেলিযোগাযোগ, মোবাইল ও উপগ্রহ-যোগাযোগ কোম্পানির শেয়ার অধিকারী। সিনের শেয়ার বিদেশী কোম্পানির কাছে বিক্রি করার খবর প্রকাশিত হওয়া মাত্রই থাইল্যান্ডে ব্যাপক তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে। কেউ থাকসিনকে রাজনৈতিক অধিকার ব্যবহার করে নিজ পরিবারের জন্য বিরাট উপকার অর্জন করার অভিযোগ এনেছে। কেউ মনে করে বিক্রির প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ছিলো না।।

    থাইল্যান্ডের সরকার-বিরোধী দলও সিন গোষ্ঠীরের শেয়ার বিক্রির ব্যাপার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি চেষ্টা করছে। ২৮জন সিনেটর মিলিতভাবে আবেদন জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী কোন কোম্পানিতে শেয়ার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। তারা থাকসিনকে এই আইন লংঘনের অভিযোগ অভিযুক্ত করেছে। তারা থাকসিনকে ব্যক্তিগত সম্পদ ব্যাস্থাপনায় দুর্নীতির আচরণের বলে বিষয়টি তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছে। তাছাড়া, বিরোধী-দল ব্যানকোকে সভা আয়োজন করে তাকসিনকে পদত্যাগ করার দাবি জানিয়েছে। ১৬ ফেব্রুয়ারি থাইল্যান্ডের সংবিধানিক আদালতের ১৪জন বিচারপতি জরুরী সম্মেলন আয়োজন করে আবেদনের যোগতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। অবশেষে তারা প্রমানের অভাবে এই দাবি নাকচ নাকচ করেছেন।

    কিন্তু বিরোধী দলের ক্ষমতা ক্রমাগত বাড়ছে। বিরোধী সভা আরো ঘনিষ্ঠভাবে আয়োজন করা হয়। থাইল্যান্ডের রাজনৈতিক অবস্থা ঘোলাটে হয়ে পড়েছে। থাকসিন ২৪ ফেব্রুয়ারি সাধারণ পরিষদকে বাতিলের আদেশ দিয়েছেন। তিনি দোসরা এপ্রিল সাধারণ নির্বাচন আয়োজন করে রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু তিনটি প্রধান বিরোধী দল সাধারণ নির্বাচনের বিরোধিতা করে। থাকসিনের পদত্যাগ ও থাকসিনকে সমর্থন করছে এই দুই সম্প্রদায় বিভিন্ন সভা আয়োজন করায় থাইল্যান্ডের রাজনীতি অচলাবস্থায় পড়েছে।

    দোসরা এপ্রিল বিরোধী দলের মিলিত প্রয়াসে শুধু থাকসিনের নেতৃত্বাধিন থাই রাক থাই এবং দশাধিক ছোট পার্টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। ৮ মে থাইল্যান্ডের সংবিধানিক আদালত এবারের নির্বাচন অবৈধ বলে এর ফলাফল নাকচ করেছে। কর্তৃপক্ষ ১৫ অক্টোবর পুনরায় নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

    ১৯ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডের সামরিক পক্ষ অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে। তারা থাকসিনের নেতৃত্বাধিন মন্ত্রীসভা ভেঙ্গে দেয়ার কথা ঘোষণা করেছে এবং সর্বোচ্চ ক্ষমতা জাতীয় সংস্কার ব্যবস্থাপনা কাউন্সিলকে দিয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর সামরিক পক্ষ ঘোষণা করেছে, অভ্যুত্থানের শীর্ষ নেতা থাইল্যান্ডের স্থল বাহিনীর পরিচালক সনথি বোনিয়ারাথালিন প্রধানমন্ত্রীর পদে নিযুক্ত হয়েছেন।