v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-28 16:47:06    
শান্তিপূর্ণ রাজ্য ব্রুনেই

cri
    ব্রুনেই এশিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত। আয়তন ৫৭৬৫ বর্গকিলোমিটার, লোকসংখ্যা প্রায় ৩ লাখ। এরমধ্যে ৬৫.২ শতাংশ মালয় জাতির লোক এবং ২০.৪ শতাংশ চীনা বংশোদ্ভূত।

    রাষ্ট্রীয় ভাষা হচ্ছে মালয় ভাষা। দেশটিতে ইংরেজি ভাষা ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয় । ইসলামধর্ম হচ্ছে রাষ্ট্রীয় ধর্ম। আরো আছে বৌদ্ধধর্ম ও খ্রিস্টানধর্ম ইত্যাদি। রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ান।

    ১৯৮৪ সালের পয়লা জানুয়ারি দেশটি স্বাধীনতা লাভ করে । ব্রুনেই বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মৈত্রীর নীতি পালন করে, এবং আসিয়ান দেশগুলো, ইসলামী দেশগুলো, ব্রিটিশ কমনওয়েলথ, জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের উপর গুরুত্ব দেয়। ১৯৯১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

    ১৬ শতাব্দীতে পর্তুগাল, স্পেন , নেদারল্যান্ডস ও ব্রিটেন আক্রমন করে দখল নিতে চেয়েছে । ১৮৮৮ সালে দেশটি ব্রিটেনের উপনিবেশ পরিণত হয়। ১৯৪১ সালে জাপান দেশটি দখল করে নেয় । দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে জাপান পরাজিত হবার পর, ব্রিটেন ব্রুনেইকে আবারো নিয়ন্ত্রণে নেয় ।

    ব্রুনেই হচ্ছে একটি বহু জাতির দেশ। দেশের ৩.৪ লাখ অধিবাসীদের মধ্যে মালয় জাতি প্রায় ৬৬.৭ শতাংশ , চীনা জাতি প্রায় ১১ শতাংশ এবং অন্য জাতি প্রায় ২২.৩ শতাংশ । রাজধানী বন্দর সেরি বেগাওয়ান শহর ব্রুনেই নদীর তীরে অবস্থিত। তার লোকসংখ্যা প্রায় ৬০ হাজারেরও বেশি এটি একটি আধুনিক শহর। সৌন্দর্যের জন্য শহরটিকে " পূর্বাঞ্চলের ভেনিস" বলা হয় ।

    ব্রুনেইর প্রচুর প্রাকৃতিক সম্পদ আছে। প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ব্রুনেইর তেল মজুদের পরিমাণ প্রায় ১.৪ বিলিয়ন ব্যারেল। প্রাকৃতিক গ্যাসের পরিমাণ প্রায় ৩.২ ট্রিলিয়ন বর্গকিলোমিটার। প্রচুর তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের মধ্যে ব্রুনেই কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করছে। ব্রুনেই হচ্ছে এশিয়ার জি.ডি.পির দিক থেকে সর্বোচ্চ ধনী দেশের অন্যতম। ২০০২ সালে ব্রুনেইর জি.ডি.পি হলো ৪.৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। অর্থনীতির উন্নয়নে ব্রুনেইর জনগণের জন্যে তাদের জীবনের মান অনেক উন্নীত হয়েছে। নাগরিকদের শুল্ক দিতে হয় না এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা ও চিকিত্সাও লাভ করতে পারে।

    সম্প্রতিক বছরগুলোতে, ব্রুনেই সরকার দেশের তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সম্পদ কমে যাওয়ার জন্যে দীর্ঘকালীন উন্নয়নের কৌশল নির্ধারণ করেছে । বৈদেশিক পুঁজি আহরণ করে অর্থনৈতিক সংস্কার সাধন করেছে। অর্থ আর পর্যটন সহ বিভিন্ন খনিজ সম্পদের উন্নয়ন করেছে। অনেক প্রচেষ্টায় ব্রুনেইর অর্থনীতির কাঠামো এখন পরিবর্তন করা হয়েছে। দেশের নির্মাণ শিল্পপ্রিষ্ঠান বেশি গুরুত্বপূর্ণ শিল্প হয়েছে। কাপড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানওরপ্তানি ক্ষেত্রের দ্বিতীয় শীর্ষ স্থানের উত্স হয়েছে।

    চীন-ব্রুনেইর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক খুবই সুদীর্ঘ। চীনের হান ও থাং রাজবংশ দু'দেশের আদানপ্রদানে সর্বোচ্চ। ১৯৯১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হবার পর, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অব্যাহত উন্নয়ন হচ্ছে।

    ১৯৯৩ সালের নভেম্বর মাসে আর ১৯৯৯ সালের আগস্ট মাসে ব্রুনেই এবং সুদান দুইবার চীন সফর করেছে। ২০০০ সালের নভেম্বর মাসে চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট চিয়াং জেমিন ব্রুনেই রাষ্ট্রীয় সফর করেছেন।