v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-27 19:11:45    
বেলজিয়ান রেনাট মোরেলের গল্প

cri

    ১৭ বছর আগে বেলজিয়ান রেনাট মোরেল চীনে এসেছেন । তখন তিনি কখনই ভাবেন নি যে তিনি চীনে থাকবেন এবং দু'টি বড় বড় পাশ্চাত্ত্য খাবার রেস্তোরার মালিক হবেন । আজকের অনুষ্ঠানে আমি শ্রোতা বন্ধুদের মোরেলের গল্প বলবো ।

    ৫৭ বয়সী মোরেল ইউরোপের বিখ্যাত বাবুর্চি ছিলেন । ১৯৮৯ সালে তিনি চীনের একটি বিমান খাদ্য কোম্পানীর আমন্ত্রণে চীনে আসেন । আস্তে আস্তে তিনি চীনকে পছন্দ করেছেন । পরে তিনি একজন চীনা মেয়েকে বিয়ে করেন । ১৭ বছরে তিনি প্রধান বাবুর্চি থেকে উত্পাদন বিভাগের মেনিজার হন । কাজ খুব বেশি বলে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েন । তাই তিনি নিজেই কাজ করার পরিকল্পনা করেন । ৭ বছর আগে মোরেল পেইচিংয়ের উত্তরাঞ্চলে নিজের নাম দিয়ে একটি রেস্তোরা খুলেছেন । এই রেস্তোরা প্রধানত বেলজেম ও ফ্রান্স খাবার রান্না করে । এই রেস্তোরা তাঁর প্রথম পদক্ষেপ । তাঁর রেস্তোরার রান্না অনেক ভালো বলে লোকেরা যেতে শুরু করে । ৩ বছর আগে তিনি পেইচিংয়ে একটি শাখা রেস্তোরা খুলেছেন । নিজের রেস্তোরা সম্পর্কে মোরেল বলেছেন :

    আমাদের রেস্তোরায় ঐতিহ্যিক খাবার রান্না করা হয় । তাই অনেক সময় লাগে । যেমন গরুর মাংস রান্না করলে প্রায় ১২ ঘন্টা লাগবে । তা ছাড়া , বেলজিয়াম ও ফ্রান্সের খাবারে মিল আছে । খাবারের সঙ্গে ঠিক মত মদ খেতে হবে । মোরেল বলেছেন , ইউরোপীয় পরিবেশে বেলজিয়াম খাবার খাওয়া বেশ মজা হয় । মোলেল বলেছেন , রেস্তোরার প্রায় প্রত্যেক জিনিস তিনি ও তাঁর স্ত্রী ইউরোপ থেকে কিনেছেন । মোরেলের এই ইউরোপীয় বৈশিষ্ট্যময় রেস্তোরা বিভিন্ন দেশের লোকদের আকর্ষণ করেছে । পেইচিংয়ে চাকরি করা ভান কের্কোভও একজন বেলজিয়ান । তিনি বলেছেন , প্রত্যেক সপ্তাহে তিনি মোরেলের রেস্তোরায় দু'এক বার খান । যদিও অন্য জায়গায় খাবার খেয়েছেন , তিনি এখানে গিয়ে কিছু মদও খেয়েছেন । তিনি বলেছেন :

    আমি এখানের পরিবেশ পছন্দ করি , এখানে গিয়ে যেন নিজের দেশে ফিরে গিয়েছি । এই রেস্তোরা অন্য রেস্তোরার চেয়ে একদম আলাদা । এই রেস্তোরার খাবার আমার দেশের খাবারের মত সুস্বাদ্যু।

    মোরেল জানিয়েছেন যে , রেস্তোরা খোলার সময় প্রধানত বিদেশিরা আসতেন । চীনারা আমার রেস্তোরায় খুব কম আসতেন । তবে এখন প্রতিদিন আমার রেস্তোরায় আসা লোকদের মধ্যে ৩০ শতাংশ চীনা । সংবাদদাতা রেস্তোরায় একজন চীনা মানুষকে দেখেছেন । তিনি বলেছেন , কয়েক বছর আগে তিনি বন্ধুর কাছ থেকে মোরেল রেস্তোরার খবর জেনেছেন । এখন তিনি সমসময় এখানে গিয়ে বেলজিয়ান খাবার খান । তিনি বলেছেন :

    আমার মনে হয় এখানের পাশ্চাত্ত্য খাবার খুবই সুস্বাদ্যু । আমি বাড়িতে নিজেই এমন খাবার রান্না করার চেষ্টা করেছি । তবে নিজেই রান্না করা বেশ ঝামেলা , তাই আমি এখানে খেতে পছন্দ করি , কারণ তাদের রান্না অনেক ভালো ।

    মোরেল বলেছেন , এখন প্রত্যেক বছরে তাঁর রেস্তোরার আয় ২০ লাখ ইউয়ান ছাড়িয়েছে। এই সুফল তিনি আর তাঁর ৬০ জন সহকর্মীর যৌথ প্রয়াসের সঙ্গে জড়িত । মোরেল বলেছেন , ভালোভাবে ব্যবসা করতে চাইলে সহকর্মীদেরকে যত্ন নিতে হবে । তিনি তার সহকর্মীদের থাকার জায়গা দিয়েছেন এবং তাদেরকে ভালো বেতন দেন । চীনের ঐতিহ্যিক উত্সব --বসন্ত উত্সবে তিনি সব সহকর্মীদেরকে ছুটি দেন । যাতে তারা নিজের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারে । এখন মোরেল ও তাঁর সহকর্মীরা ঘনিষ্ঠ বন্ধুতে পরিনত হয়েছেন । রেস্তোরার বাবুর্চি চাও কুও হুই বলেছেন , রেস্তোরা খোলার সময় থেকে তিনি এখানে চাকরি করেন । ভবিষ্যতেও তিনি এই রেস্তোরায় থাকবে ।

    মারেল বলেছেন , তিনি আরো বেশি শাখা রেস্তোরা খুলবেন না । কারণ তিনি মন দিয়ে এই রেস্তোরা ভালোভাবে পরিচালনা করতে চান । পেইচিংয়ে ১৭ বছর কেটেছে বলে তিনি পেইচিংয়ের জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন । তাঁর অনেক চীনা বন্ধুও আছে । উত্সবের সময় তাঁরা ফোন করে সুভেচ্ছা জানান । মোরেল বলেছেন , এই বছরের বসন্ত উত্সবে তিনি পেইচিংয়ে থাকবেন । তিনি স্ত্রী , শ্বশুরের সঙ্গে এই উত্সব উদযাপন করবেন ।