v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-27 18:17:48    
আফগানিস্তানে সন্ত্রাসদমন করতে অনেক দূরে যেতে হবে

cri
    প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা , আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান শুনছেন। এখন শুরু হচ্ছে আজকের প্রতিবেদন। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করছি আমি আপনাদের বন্ধু চিয়াং চিন ছেন

    ২৬ সেপ্টেম্বর আফগানিস্তানের দক্ষিণাংশের হেলমান্ড প্রদেশের গভর্নরেরবাসভবনের কাছে একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে তিন পুলিশ ও ১৫ নিরপরাধ নাগরিক হয়েছে আর ১৮ জন আহত হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পযর্ন্ত আফগানিস্তানে মোট ২৪০০ জনেরও বেশী লোক নানা ধরনের সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছে। এর ফলে আফগানিস্তানের কঠোর নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরেক বার বিশ্ব সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণকরেছে।

    পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার জন্যে চলতি বছরের গ্রীষ্মকাল থেকে আফগান সরকারী বাহিনীর সহযোগিতায় মার্কিন নেতৃত্বাধী ন্যাটোর যৌথ বাহিনী তালিবানদের বিরুদ্ধে তিন বার সামরিক অভিযান চালিয়েছে। তারপরও আফগানিস্তানে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে কেন? বিশ্লেষকরা মনে করেন, নানা কারণে এটা ঘটছে।

    প্রথমত: আফগনিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের অনুসৃত সন্ত্রাস দমন নীতি সবর্দাই সন্দেহজনক। আফগান যুদ্ধ শেষ হবার পর , আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক শক্তি

    নিযোগ করার কাজকর্মের গুরুত্ব হয়েছে তালিবান নিমূর্ল করার ক্ষেত্রে। কিন্তু আফগান যুদ্ধোত্তর অর্থনীতির পুর্নগঠনে যুক্তরাষ্ট্রেরউদাসীদেখিয়েছে। এ পযর্ন্ত আফগান পুর্নগঠন সম্পকির্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলন তিন বার হয়েছে, বিশ্ব সম্প্রদায় আগামী তিন বছরের মধ্যে আফগানিস্তানের কাছে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার্র সাহায্য দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছে । কিন্তু আফগান পুনর্গঠনে যে অর্থের প্রয়োজন তা এ ডলার দিয়ে পুরণ করা সম্ভবহবেনা। কারণ আফগানিস্তানেরপুর্নগঠনে ২৭০ বিলিয়ন মার্কিন ডর্লার দরকার। তা ছাড়া, পশ্চিমা দেশগুলো অর্থ দেয়ার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাও সময়মতো বাস্তবায়িত হয়নি। একটি খবরে বলা হয়েছে, সশস্ত্রঅস্ত্রধারীদের ভর্তি করায় তালিবান যে অর্থ দিয়েছে তা আফগান সরকারী বাহিনীর সামরিক বাজেটের চাইতে কমপক্ষে দ্বিগুণরওবেশী। অর্থের অভাবে এখন আফগান সরকারের পুর্নগঠন কাজ চালানো এবং অর্থনীতি বিকশিত করার সামর্থ্য নেই। সুতরাং আফগান সরকার জনসাধারণের আশা-আকাংক্ষা পুরণ করতে পারছে না। বতর্মান পরিস্থিতি থেকে বুঝা যায় যে, যদি আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র তার নীতি পরিবর্তন না করে তাহলে আফগানিস্তানে তালিবান সশস্ত্র শক্তির দিন দিন শক্তিশালী হয়ে উঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

    দ্বিতীয়ত: মাদকদ্রব্য কেন্দ্রিক অর্থনীতিরগতি কমেনি বরং বেড়েছে । এই উপাদানও আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা পরিস্থিতির বিরাট হুমকির সৃষ্টি করেছে। গত মাসের প্রথম দিকে জাতি সংঘ প্রকাশিত এক রির্পোটে একথা বলা হয়েছে। চলতি বছর আফগানিস্তানে আফিম উত্পাদনের পরিমাণ ইতিহাসে রেকড সৃষ্টি করেছে। সম্প্রতি আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ খারজাই এক ভাষণে বলেছেন, আফগানিস্তানে পুরোপুরি মাদকদ্রব্য কেন্দ্রিকঅর্থনীতি নিমূর্ল করতে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ বছর লাগবে। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলো সন্ত্রাস দমনের দিকে বেশি মনোযোগ দেখায় আফগান জনসাধারণের জীবনযাত্রার মান খারাপ। সুতরাং অনেক আফগানিকে আফিম উত্পাদনের উপর নির্ভর করতে হবে।

    তৃতীয়ত: যুক্তরাষ্ট্র, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের মধ্যে সন্ত্রাস দমনের মনোভাবে আরও সমন্বয় হওয়া উচিত। চলতি বছরের শুরু থেকে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি প্রসংগে পাকিস্তান আর আফগানিস্তানের মধ্যে পারস্পরিক অভিযোগ দেখা দিয়েছে। আফগানিস্তান সরকার পাকিস্তানের সিমান্ত এলাকার ব্যবস্থপনা এলোমেলো বলে অভিযোগ করেছে। কিন্তু পাকিস্তান তা অস্বীকার করেছে। এতক্ষণ একটি প্রতিবেদন। শুনলেন। অনুষ্ঠান শোনার জন্যে আপনাদের অশেষ ধন্যবাদ।