১ . বৈজ্ঞানিক উপায়ে শীতাতপ-নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা ব্যবহার করবেন :
বাড়ির ভেতরে অবাধ বায়ুচলাচলের ব্যবস্থা ভালো না থাকলে, এ ধরনের ব্যবস্থা ব্যবহার করলে বাড়ির ভেতরে আর বাইরের তাপমাত্রার পার্থক্য তফাত্ বেশী থাকে । সব সময় সর্দি আর জ্বর হয় । একটু স্বস্তির জন্য নিজের শরীরের গুরুত্বকে তুচ্ছ করা উচিত নয় । গরমের সময় শরীর চর্চা বেশী করা উচিত । বাড়িতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা দীর্ঘ সময় ব্যবহার করা উচিত নয় । এসির মধ্যে সারাদিন চাকরি করার পর বাড়ি ফিরে আবার এসি ব্যবহার করবেন না ।
২ . সুষম খাবার খাবেন
হালকা খাবার খাবেন ,বেশি টাটকা সবজি আর ফল খাবেন, মলমূত্র স্বাভাবিক রাখবেন ।বাড়িতে ডালের সুপ , বদরী ফলের সুপ খাবেন । বেশী বেশী পানি খাবেন ।সুষম খাবার খাবেন , ভাজা আর লবণাক্ত জিনিস কম খাবেন । সিগারেট খাবেন না ।
৩ . কাজ আর বিশ্রামসম্পূরক হতে হবে
চীনের ঐতিহ্যিক চিকিত্সাবিদ্যায় মনে করা হয় রাতের ঘুমের সময় খুবই গুরুত্বপূর্ণ । প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমান ঘুম দরকার আর একটু শরীর চর্চা করা উচিত । যদি সারা দিন বাড়িতে থাকেন, টেলিভিশন দেখেন , বেশি ক্লান্তহন বা দীর্ঘ সময় চাকরি করেন ইত্যাদির পর শরীর ভালো থাকে না এবং সহজে সর্দি হয় ।
৪ . সব সময় হাত ধোবেন
জানা গেছে ,স্পর্শের মাধ্যমে সহজেই বিষাক্ত পদার্থ সংক্রমিত হয় ।কারণ সর্দির-রোগী কথার বলার সময় সুখের লালার মাধ্যমে ৮% বিষ ছড়ান ।রুমালের উপর সর্দির জীবানু ১ ঘন্টা স্থায়ী থাকে । হাতের উপর ১০ ঘন্টা থাকে । রোগী স্পর্শ করার জায়গায় সুস্থ মানুষ নিজের চোখ, নাক স্পর্শ করলে সহজেই সর্দি হবে । তাই সর্দি থেকে বাঁচার একটি ভালো উপায় হলো সব সময় হাত ধোয়া ।
৫ . মন ভালো রাখা
মন ভারাক্রান্ত বা বিষন্ন হলে সহজেই সর্দি হতে পারে । জানা গেছে , সব সময় দুঃখী মানুষ শ্বাস -যন্ত্রের গঠনপ্রকারের কারণে স্বাভাবিক মানুষের চেয়ে ৩-৫ গুণ বেশী সহজে সংক্রমিত হন । ফুরফুরে মন থেকে আর সুস্থ শরীর সর্দি দূরে থাকার প্রধান অস্ত্র।
|