v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-26 20:18:01    
অভিনেতা স্বামি-স্ত্রী ইয়ান পো ও মেই থিং

cri
    প্রতি বছর চীনে প্রায় ২'শটি চলচ্চিত্র তৈরী হয়। এর মধ্যে খুব কম পরিমানের ছবি স্বাধীন প্রযোজকের। স্বাধীন প্রযোজকরা নিজেদের অর্থে ছবি নির্মাণ করে এবং শেষে নিজেই পরিবেশনের পদ্ধতি নিয়ে চিন্তা করে। এটা সহজ ব্যাপার নয়। অভিনেতা স্বামি-স্ত্রী ইয়ান পো ও মেই থিং তারপরও বেশ সাহস নিয়ে "আস্পিরিন" নামক একটি চলচ্চিত্র তৈরী করেছে।

    মেই থিং হলেন চীনের বিখ্যাত অভিনেত্রী। তিনি "লাল রংয়ের প্রেমিকা", "অচেনা মানুষের সঙ্গে কথা বলে না", "লুই লুও হুয়া", "শিয়াং জাং শু" ইত্যাদি ছবি ও টিভিতে তিনি অভিনয় করেছেন, এবং খুবই জনপ্রিয়। সম্প্রতি স্বামি ইয়েন পো'র সঙ্গে আস্পিরিন তৈরী করার সময় তিনি প্রথম বারের মতো প্রযোজক হিসেবে অংশ নিয়েছেন।ে তিনি এই ছবির প্রধান অভিনেত্রীও। তার স্বামি ইয়েন পো এই ছবি'র পরিচালক। তারা প্রথম বারের মতো নিজেদের অর্থবিনিয়োগ করে স্বাধিনভাবে ছবি তৈরী করেছে। মেই থিং বলেছেন:

    "আমরা দু'জনই চলচ্চিত্র খুব পছন্দ করি এবং নিজের স্বপ্ন বাস্তবায়নের ব্যাপারে আমরা অনঢ়। এই ছবি তৈরী করতে আমরা মনযোগ সহকারে কাজ করেছি। শুটিং করার আগে আমরা গোটা গল্পটিকে চিত্রনাট্যে রূপ দিয়েছি। এই গল্পটি সবার খুব পছন্দ। কিন্তু টাকার ব্যবস্থা করা খুব কঠিন ব্যাপার। অনেক পরিশ্রমের পর আমরা নিজের খরচে এই ছবি তৈরী করেছি।"

    এই ছবি তৈরী করার জন্য তাদের অনেক ব্যায় হয়েছে। কিন্তু দু'জনই চলচ্চিত্রে বেশ আগ্রহী। মেই থিং বলেছেন, নিজের প্রিয় বিষয়ের উপর টাকা ব্যায় করতে পারা একটি আনন্দের ব্যাপার।

    ইয়েন পো ফ্রান্সে ৮ বছর আর্ট ডির্জাইন শিখেছেন। এবার এটা হলো তার প্রথম পরিচালিত ছবি। ছবি পরিচালনা করা হলো তার অনেক বছরের স্বপ্ন। আস্পিরিন নিয়ে ইয়েন পো বলেছেন:

    "এই ছবিতে আধুনিক শহরের একজন নারীর প্রেমের গল্প বলা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে প্রেম নিয়ে তার ভিন্ন ধারণার সৃষ্টি হয়। প্রেম যন্ত্রণাও থাকে। আস্পিরিন শুধু মুহুর্তেই ব্যথা থামিয়ে দিতে পারে। আধুনিক সমাজে আমরা নিখুঁত মানুষ বা জিনিস পাই না, তা শুধু মুহূর্তের চাহিদা মেটাতে পারাটাই যেন যথেষ্ট। তাই আমরা তাকে আস্পিরিন নাম দিয়েছি।"

    এই ছবিতে মেই থিং একজন আধুনিক শহরের বিনোদন বিষয়ক সংবাদিক। তিনি ফ্যাশেনাবল, বিশেষ এবং সত্যিকারের প্রেমের খোঁজ পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তার অভিনয় থেকে দর্শকরা আধুনিক শহরে সাধারণ নারীদের ছাপ খুঁজতে পারে। মেই থিং বলেছেন, আস্পিরিন হলো তার বাড়ির একটি দরকারি ওষুধ। স্বামি ইয়েন পো শুধু একরকম ফ্রান্সে উত্পাদিত আস্পিরিন ব্যবহার করে। এক বছর তারা ফ্রান্সে ভ্রমণ করতে গিয়েছিলে, খুচরা টাকা ছিলো না বলে তারা ওষুধ দোকান থেকে আস্পিরিনের দুটি প্যাক কিনেছে। এরপরে তারা প্রতিবার ফ্রান্সে ভ্রমণের সময় অবশেষে তাদের যাবতীয় খুচরা টাকা দিয়ে আস্পিরিন কিনেন।

    এই ছবি তাদের দু'জনের কাছে বিশেষ অর্থ আছে। তারা প্রেমে পড়ার সময় এই ছবি তৈরী করার ধারণা পোষণ করে। বিয়ে হওয়ার ৪ বছরের পর এই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। এই ছবিতে তাদের অনেক প্রথমবার আছে। যেমন ইয়েন পো প্রথমবার ছবি পরিচালনা করেন, মেই থিং প্রথমবার ছবির গান গেয়েছে এবং প্রযোজকের ভূমিকা পালন করেছে। অর্থাভাবের চাপ সব সময় তাদের মাথার উপরে ছিল। ইয়েন পো বলেছেন:

    "দেশে ছবি তৈরী কঠিন কাজ। শুধু বিখ্যাত পরিচালকদের কমার্মিয়াল ছবি তৈরী করার সুযোগ পান। আমাদের এ ছবিটি স্বাধিনভাবে প্রযোজিত বি, বন্ধুদের সাহায্যে এটি তৈরী করা হয়। আমি মনে করি সরকারের উচিত আরো বেশি অনুদান দিয়ে কিছু পরিচালককে সাহায্য করা।

    ইয়েন পো এখন আরেকটি ছবি তৈরীর প্রস্তুতি কাজ করছে। মেই থিংয়ের একটি টিভি নাটকের শুটিং হচ্ছে। মেই থিং বলেছে, স্বামি-স্ত্রীর একসাথে ছবি তৈরী করার সময় মতৈক্য ও মতানৈক্য উভয়ই থাকে। তাদের বিয়ে সম্পর্কে মেই থিং বলেছেন, বিয়ের চার বছর পর, প্রথম প্রেমের তীব্র অনুভূতি কিছুটা কমে যায় বটেই। কিন্তু দু'জনের পরস্পরের প্রতি ভালোবাসায় কোন কমতি নেই। দু'জনের জীবন নিশ্চয়ই সুখী হবে।