v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-26 20:15:37    
যুব গায়কগায়িকা প্রতিযোগিতা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে

cri
    চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশনের আয়োজিত দ্বাদশতম যুব গায়কগায়িকা প্রতিযোগিতা ৪০ দিন চলার পর সম্প্রতি শেষ হয়েছে । বতর্মান প্রতিযোগিতায় দশর্কদের সংখ্যা এক বিলিয়ন ছাড়িয়েছে । এই প্রতিযোগিতা ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে ।

    চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশনের প্রথম যুব গায়কগায়িকা প্রতিযোগিতা ১৯৮৪ সালে প্রথমআয়োজন করা হয় । প্রতি দু বছর পর পর এই প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয় । যুব গায়কগায়িকা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মাধ্যমে মাও আ মিন , ফেন লি ইউয়ান ও সুন চু ইং প্রমুখ বেশ কয়েকজন বিখ্যাত গায়কগায়িকা সংগীত মহলে তারকা খ্যাতি পেয়েছেন ।

    বতর্মান প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন স্থানের শতাধিক প্রতিযোগী আধুনিক গান , পাশ্চাত্য স্টাইলের গান , লোকসংগীত ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের আদিবাসীর গান গেয়েছেন । প্রতিযোগীদের মধ্যে বেশির ভাগই চীনের সংগীত ইন্সটিটিউটেরছাত্রছাত্রী ও শিল্পী দলের সদস্য । চীনের সবচেয়ে বড় সংগীত প্রতিযোগিতা হিসেবে প্রতিবারের যুব গায়কগায়িতা প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকজন লোকসংগীত ও পাশ্চাত্য স্টাইলের গায়কগায়িকা জনপ্রিয় হয়ে সংগীত তারকায় পরিণত হন । এবার ৩০জন লোকসংগীত শিল্পী এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন । ওয়াং চু চিয়ে হচ্ছেন যুব গায়কগায়িকা প্রতিযোগিতার যাচাই কমিটির সদস্য । তিনি বলেছেন , আগের প্রতিযোগিতায় বেশির ভাগ লোকসংগীত শিল্পীদের গাওয়া গানগুলোতে আগের কষ্টকর জীবন বণর্না করা হত , তাই তাদের গান বেদনাদায়ক । গত কয়েক বছরে তাদের গানের বিষয়ের বিরাট পরিবতর্ন হয়েছে । তাদের গানে অধিবাসীদের নতুন সুখী জীবনের জয়গান করেন । গত শতাব্দীর পঞ্চাশের দশক থেকে আজ পর্যন্ত চীনের অনেক শ্রেষ্ঠ লোকসংগীত শিল্পীর দেখা মিলেছে। তাদের প্রত্যেকের নিজস্ব শৈলী আছে , তাদের গাওয়া অনেক গান এখনও চীনাদের মুখে মুখে ।

    বতর্মান যুব গায়কগায়িকা প্রতিযোগিতার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতির আদিবাসীর গায়কগায়িকারাও এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন । কোনো কোনো গায়কগায়িকার গান গাওয়ার সময় কোনো বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার নেই । তারা তাদের অধ্যুষিত অঞ্চলে বহুল প্রচলিত গান গেয়েছেন । তাই এই সব গান বৈশিষ্ট্যপূর্ণ। তারা তাদের গানে সংখ্যালঘুদের জীবন , শ্রম , প্রেম ও রীতিনীতির প্রশংসা করেন। সি ছুয়াং প্রদেশের আ পা অঞ্চলের ছিয়ান জাতির দুই ভাই গায়ক এক পাত্র মদ নিয়ে মঞ্চে উঠেন । গান গাওয়ার আগে তারা শিস দিয়ে পাত্রের মদ খান , তার পর গান করতে শুরু করেন । আধা-নেশা আধা-জাগা অবস্থায় তাদের গাওয়া গানগুলো দশর্ক ও যাচাই কমিটির আন্তরিক প্রশংসা পেয়েছে । চীনের বিখ্যাত সংগীত তত্ত্ববিদ থিয়েন ছিং সাংবাদিকদের বলেছেন , সংখ্যালঘু জাতিগুলোরগানগুলো আসলে আমাদের লোকসংগীতের মূল । চীন একটি বহুজাতিক দেশ । চীনের ৯৬ লাখ বগর্কিলোমিটার ভূমিতে ৫৬টি জাতি বাস করে । প্রতিটি জাতির নিজস্ব ঐতিহ্য আছে । অন্তর্মঙ্গলীয়ার লম্বা সুর ও তিব্বতের লোকসংগীতসহ প্রতিটি জাতির বৈশিষ্ট্য আছে ।

    চীনের অষ্টম যুব গায়কগায়িকা প্রতিযোগিতায় কন্ঠশিল্পীর গান পরিবেশনের পর সংস্কৃতি ও সংগীত বিষয়ক দু-একটি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয় ।

    কোনো কোনো প্রতিযোগী , বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সংখ্যালঘু জাতির গায়কগায়িকাদের গান পরিবেশন চমত্কার হলেও তারা সাধারণ জ্ঞান সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন না । প্রতি প্রশ্নের পর যাচাই কমিটির একজন বিশেষজ্ঞ এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেন এবং এই প্রশ্ন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য ব্যাখ্যা করেন । গায়কগায়িকা ও দশর্করা প্রতিযোগিতা উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে নিজের অনেক অজানা জ্ঞান পান ।

    এ বছরের প্রতিযোগিতায় শ্রোতা ও দশর্করা মোবাইল ফোনে সংক্ষিপ্ত তথ্য পাঠানো বা ইন্টারনেটে ই-মেল পাঠানোর মাধ্যমে নিজের প্রিয় কন্ঠশিল্পী নির্বাচন করেছেন । পশ্চিম চীনের তোং জাতির কিশোরী গায়িকা দলের গাওয়া ' ঝিঁঝিঁ পোকার গান ' এই ইভেন্টের চ্যাম্পীয়ন হয়েছে ।