চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিনথাও ২২ সেপ্টেম্বর পেইচিংয়ে বলেছেন, চীন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিতভাবে দু'পক্ষের অভিন্ন স্বার্থ বাড়াতে, পারস্পরিকভাবে সম্মান দেখাতে সার্বিকভাবে চীন ও মার্কিন গঠনমূলক সহযোগিতা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে এবং স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধিশীল ও সম্প্রীতিমূলক বিশ্ব প্রতিষ্ঠার যৌথপ্রচেষ্টা চালাতে ইচ্ছুক।
হু চিনথাও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি, অর্থমন্ত্রী হেনরি এম.পলসনের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে এ কথা বলেছেন।
পলসনের চীন সফরকালে, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ব্যবস্থা শুরু করেছে। হু চিনথাও আশা করেন, দু'পক্ষ পুরোপুরিভাবে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে দু'দেশের উচ্চপদস্থ পর্যায়ের জন্যে ভালো প্রস্তাব দেবে এবং দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা গভীরতর ও অভিন্ন উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার জন্যে পরিসেবা দেবে।
পলসন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কৌশলগত অথনৈতিক সংলাপ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তা পারস্পরিক সমঝোতা বাড়ানো, অর্থনীতির সংকট নিরসন এবং আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা ও দু'দেশের গঠনমূলক সহযোগিতার সম্পর্কের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য অনুকূল হবে। তা হবে যুক্তরাষ্ট্র, চীনসহ বিশ্বের জন্যে খুবই কল্যাণকর।
চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েং চিয়াপাও একইদিন হেনরি এম.পলসনের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন। তিনি বলেছেন, চীন ও মার্কিন আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থিতিশীল ও নিরন্তর হওয়া উচিত।
চীনের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে পলসন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ প্রতিষ্ঠা করা দু'দেশসহ বিশ্বের জন্যে কল্যাণকর হবে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের অর্থনীতির উন্নয়ন খুব দ্রুত। এর মধ্যে কিছু কিছু ব্যত্যয় থাকা খুব স্বাভাবিক। যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে এসব ভুলের সমাধানের উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে ইচ্ছুক।
চার দিনব্যাপী চীন সফর শেষ করে একইদিন বিকেলে পলসন পেইচিং ত্যাগ করেছেন।
|