v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-22 16:40:26    
বাংলাদেশ আলোকচিত্র সমিতির চেয়ারম্যান বুলবুলের দেয়ার সাক্ষাত্কারর(এক)

cri

 চীনের আলোকচিত্র সমিতির আমন্ত্রণে সম্প্রতি বাংলাদেশের আলোকচিত্র সমিতির চেয়াম্যান বুলবুল আহমেদ চীন সফর করেছেন। সফরকালে তিনি চীন আন্তর্জাতিক বেতারে এলে বাংলা বিভাগের সংবাদকর্মী ইয়াং ওয়ে মিং তাঁর সাক্ষাত্কার দিয়েছেন।

 প্রশ্নঃ আচ্ছা, এই কয়েক দিন কোথায় বেড়াতে গিয়েছিলেন?

 উঃ হ্যাঁ, অনেক জায়গায় বেড়িয়েছি। প্রথমেই আমাকে নিয়ে গেলো বেহাই। সেখানে আমরা ছিলাম বেশ কয়েক দিন। বেহাই এর একটি দ্বীপে আমাদের নিয়ে যায় ফটোগ্রাফী করার জন্য। সেই দ্বীপটি আগ্নেয়গীরির দ্বীপ। আগ্নেয়গীরির সেই দ্বীপটিতে আমরা কয়েকজন ফটোগ্রাফার ছিলাম। ওখানে আমরা ফটোগ্রাফী করার জন্য বড় জাহাজে করে যাচ্ছিলাম। সঙ্গে আরো কয়েকটা জাহাজও ছিল। যেতে বেশ কয়েক ঘন্টা সময় লেগেছিল। ওখানে গিয়ে আমরা যখন ছবি তুলছি তখন খবর পেলাম টাইফুন আসছে। ওখানে আমরা মাত্র ২/৩ ঘন্টা ফটোগ্রাফী করতে পেরেছি। তারপরে আবার জাহাজে উঠে বেইহাইতে ফিরে আসলাম।

 প্রশ্নঃ এই টাইফুন আপনাদের ওপর কোন প্রভাব ফেলেছে?

 উঃ না প্রভাব ফেলতে পারে নি। যখন সিগন্যালটা এসেছে যে টাইফুন আসছে, তখন আমাদের সতর্ক করে দিয়ে আমাদেরকে ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু আমরা যে দ্বীপে ছবি তুলতে গিয়েছি , সেই আইল্যান্ডটা অনেক বড় একটা আইল্যান্ড। আমরা ৩/৪ ঘন্টা সময় পেয়েছিলাম ছবি তোলার জন্য। আসলে কিছুই করতে পারি নি। আমরা যারা ফটোগ্রাফী করি মূলতঃ আমাদের একটা মানসিকভাবে ঘোরার যে প্রস্তুতি থাকে। ক্ষুধার্তরা যেমন ভাত খায় , তেমনি ফটো প্রেমীক যারা ফটোগ্রাফী করে , তাদেরকেও এই ক্ষুধার্তের মতই মনে হয়। যেন আরো ছবি তুলি আরো আরো ছবি তুলি। কিন্তু সেই দিক থেকে আমি তৃপ্তি পাই নি। টাইফুন আমাদের আশাটা নষ্ট করে দিয়েছে।

 প্রশ্নঃ বেহাই ছাড়া আর কোথাও বেড়াতে গিয়েছেন?

 উঃ ভু ইয়াং গিয়েছি এই শহরে তারা তৃতীয় আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও প্রতিযোগিতার ব্যবস্থা করেছছিল। সেইখানে আমাকে ওরা সম্মান দিয়েছে, এর জন্যে আমি চীনের ফটোগ্রাফিক এসোসিয়েশন এবং চীনের জনগণের কাছে আমি খুব কৃতজ্ঞ যে আমাকে তারা প্রধান অতিথি করেছে , যারা প্রধান পুরস্কার পেয়েছে তাদের মধ্যে যারা প্রথম পুরস্কার পেয়েছে , কর্তৃপক্ষ আমার হাত দিয়ে পুরস্কার প্রদান করিয়েছে । এ সম্মানটা আমাকে দিয়েছে চীন ফটোগ্রাফী এসোসিয়েশন । আমি এ জন্য নিজেকে খুব গর্বিত মনে করছি এবং পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি চীনের ফটোগ্রাফিক এসোসিয়েশনের বন্ধুদের প্রতি।

 প্রশ্নঃ কোন সালে আপনি চীনে পুরস্কার পেয়েছেন?

 উঃ আমি চীনে পুরস্কার পেয়েছি ২০০৪-এ।

 প্রশ্নঃ সেটা কি বিষয়ের ওপর প্রতিযোগিতা ছিল?

 উঃ প্রতিযোগিতাটা ছিল উন্মুক্ত বিষয়ের ওপর। সারা বিশ্ব থেকে ছবি জমা পড়ে। নির্দিষ্ট কোন সাবজেক্ট ছিল না। প্রতিযোগিতায় আমি ছবি দিয়েছিলাম বাংলাদেশের ওপর ৫টি ছবি। ৫টি ছবিই ছিল পরিবেশের ওপর। কেন না আমি একজন পরিবেশ সাংবাদিকও বটে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশে পরিবেশের ওপর যে কাজগুলো হয় সে কাজগুলোই করছিলাম। একটি পাহাড় কেটে লাঙ্গন দিয়ে চাষ করছে ফসল ফলানোর জন্যে এবং পাশে একটি ছোট্ট নদী। ছড়া বলে ওটাকে।আমার ছবিটার বিষয়বস্তু ছিল ওপর থেকে যখন লাঙ্গল দিয়ে চাষ করছে পাহাড়ের মাটি আলগা হয়ে যাচ্ছে, বৃষ্টি হলে পরে ঐ মাটি ধূয়ে এই নদীটায় পড়ছে। তাতে নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। পাহাড়ের উচ্চতা হারাচ্ছে এবং নদীর গভীরতা হ্রাস পাচ্ছে। এতে দু'দিক থেকে পরিবেশের হুমকী আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করে এই কাজটি আমি করার চেষ্টা করেছি এবং আমি যে পুরস্কার পাবো এই চিন্তা করে আমি ছবি তুলি নি এবং এখানে জমাও দেই নি। এখানকার যারা জাজ ছিলেন সেই বিচারকরা আমার ছবিটি দেখে দ্বিতীয় পুরস্কার দিয়ে আমাকে সম্মানিত করেছে। আমার আরেকটি ছবি সেটাও পুরস্কার পায়। এই কম্পিটিশনে আমি দুটি পুরস্কার পাই। আরেকটি পুরস্কার ছিল জুরি এওয়ার্ড। যারা জাজ ছিলেন তারা পছন্দ করে আমাকে পুরস্কারটি দিয়েছিলেন। একটি কম্পিটিশনে আমি দু'টো পুরস্কার পেয়েছি, সে জন্য আমি খুবই গর্বিত।

 প্রশ্নঃ এবারকার চীন সফরে আপনার প্রধান বিষয় কি?

 উঃ বিষয়টি ছিল, আমাকে বলা হয়েছে যে, তুমি বাংলাদেশের ফটোগ্রাফির ওপরে একটি লেকচার দেবে এখানকার দুটি শহরে। সে জন্য আমাকে লেকচারের দুটো কপি নিয়ে আসতে বলেছে এবং সেভাবেই প্রিপারেশন নিয়ে আসলাম। এবং বাংলাদেশের কিছু ছবিও সিডি করে নিয়ে এসেছি। অথচ এখানে আসার পর আমাকে ৫/৬টার মত লেকচার দিতে হয়েছে। টাইফুনের জন্যে ফটোগ্রাফী করতে পারি নি। অনেক জায়গায় মুভ করতে পারি নি। কিন্তু বেহাই এবং সু ইয়া এর যারা ফটোগ্রাফার ছিলেন তাদের একটি কক্ষে সংকুলান না হওয়ায় তাদেরকে ভাগ ভাগ করে বসানো হয়েছে। আমাকে সে জন্য বেশ কয়েকবার লেকচার দিতে হয়েছে।