v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-22 16:36:57    
চীন-মার্কিন কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপের ইতিবাচক প্রভাব

cri

 মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ প্রতিনিধি, অর্থমন্ত্রী হ্যারি পলসন ২২ সেপ্টেম্বর চীনে তাঁর চার দিনব্যাপী সফর শেষ করেছেন। চীন সফরকালে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এক যুক্ত বিবৃতি প্রকাশ করে দু'দেশের কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ব্যবস্থা চালু করেছে। অর্থনীতির বিশ্বায়নে গভীরভাবে উন্নয়নের ক্ষেত্রেআজকাল একটি বৃহত্তম উন্নয়নশীল দেশ ও একটি বৃহত্তম শিল্পোন্নত দেশের মধ্যে সংলাপ বিনিময় হলে দু'দেশ তথা সারা বিশ্বের অর্থনীতির উপর কি প্রভাব ফেলবে? এই বিষয়টি জানানোর জন্য আমাদের সংবাদদাতা চীনের আধুনিক আন্তর্জাতিক সম্পর্ক এ্যাকাডেমির অর্থনীতি ও নিরাপত্তা গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক রেন চিয়াং ইয়োর সাক্ষাত্কার নিয়েছেন।

 গত জুলাই মাসে মার্কিন অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর পলসন এই প্রথম বার চীন সফর করেন। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি চীনের উপ-প্রধানমন্ত্রী উ ই এর সঙ্গে বৈঠক করার সময় বলেছেন, দু'দেশের অর্থনৈতিক আদান-প্রদান খুবই ঘনিষ্ঠ। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে দু'দেশের উচিত কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ এবং সহযোগিতা করা, মিলিতভাবে নানা ঝুঁকি এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বিশ্ব অর্থনৈতিক টেকসই প্রবৃদ্ধি ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা উচিত। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বুশ ২০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিবৃতিতে মার্কিন-চীন কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ব্যবস্থা আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করার জন্য স্বাগত জানিয়েছেন। এই সংলাপ ব্যবস্থা দু'দেশের সুসংবদ্ধ ও পারস্পরিক সুবিধাজনক দ্বিপক্ষীয় অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন করার সহায়ক হবে বলে তিনি প্রশংসা করেছেন।

 অর্থনীতির বিশ্বায়নের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরিয় অঞ্চল এবং বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুরুত্পূর্ণ উপাদানে পরিণত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীনতা সংক্রান্ত সমস্যারও সম্মুখীন হচ্ছে। চিয়াং ইয়োং মনে করেন, "বিশ্ব অর্থনীতির ভারসাম্যহীনতা প্রধানতঃ চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ওপর। এই সমস্যা সমাধান করতে চাইলে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ। কেবল চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নয়, এটা প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল , এমনকি গোটা পূর্ব এশিয়া ও উত্তর আমেরিকার সম্পর্কের সঙ্গে জড়িত। পূর্ব এশিয়া আর উত্তর আমেরিকার অর্থনীতি নিঃসন্দেহে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির উপর প্রভাব বিস্তার করে আছে। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভারসাম্যহীনতা সমস্যার সমাধান হলে স্পষ্টভাবে বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে।"

 এবার মার্কিন পক্ষের উদ্যোগে আয়োজিত চীন-মার্কিন কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্ত ছিলো দু'বছরে এক বার আলোচনার মাধ্যমে পৃথিবীর কৌশলগত অর্থনৈতিক সংলাপ জোরদার করা, যাতে আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে দু'দেশ আরো ভালোভাবে পারস্পরিক উপকারিতামূলক ব্যবস্থা নেবে যা উভয় পক্ষের জন্যেই কল্যাণ বয়ে আনবে। চিয়াং ইয়োং উল্লেখ করেছেন, এ ধরণের সংলাপ বিশ্ব অর্থনীতির শৃঙ্খলা রক্ষা এবং স্থিতিশীলতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 দীর্ঘকাল ধরে রেনমিনপির বিনিময় হার হচ্ছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সহযোগিতার মধ্যে অমীমাংসিত এক বড় সমস্যা। মার্কিন গোল্ডম্যান স্যাচেস কোম্পানির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও চীন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হিসেবে পলসন এবারের সফরের আগে দেয়া এক ভাষণে বলেছেন, এককভাবে রেনমিনপির বিনিময় হার সমস্যা বিবেচনা করা উচিত না। তাকে চীনের বাজারায়ন অর্থনৈতিক পরিচালনার রূপান্তর পরিবেশে রেখে বিবেচনা করা উচিত। চিয়াং ইয়োং বিশ্লেষণ করে বলেছেন যে, "যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে জানে , অর্থনীতিবিদরাও স্পষ্টভাবে জানেন যে, রেনমিনপির বিনিময় হার যে ভাবে সুবিন্যস্ত করা হোক না কেন, চীন ও মার্কিন বাণিজ্যের অবস্থার পরিবর্তনের ক্ষেত্রে তেমন সহায়ক হবে। কারণ বিংশ শতাব্দীর ৮০, ৯০ দশকে ইয়েনের বিরাট মাত্রায় মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার পরও জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক ঘাটতি সমস্রা সমাধান হয় নি। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেও এই পদ্ধতিতে এই সমস্যা সমাধান হবে না।"

 অবশেষে চিয়াং ইয়োং বলেছেন, মার্কিন সরকারের কেন্দ্রীয় ব্যক্তির অন্যতম অর্থমন্ত্রী পলসনের ভাষা ও আচরণ মার্কিন সরকারের প্রতিনিধিত্ব করে। মানে মার্কিন সরকার চীনের অভিমতকে সংগতিপূর্ণ দৃষ্টিকোণ থেকে সমস্যার বিবেচনা এবং আলোচনা করতে শুরু করেছে, যাতে সমস্যা সমাধান করা যায়।