v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-22 15:57:53    
থাইল্যান্ডের রাজা ভুমিবোল আবুলয়াদেজ

cri

    থাইল্যান্ডের রাজা ভুমিবোল আদুলয়াদেজ ব্যাংকক রাজ-বংশের নবম রাজা। তাঁকে রামা নবম রাজা নাম ডাকা হয়।

    তাঁর নামের অর্থ থাইল্যান্ডের ভাষায়, 'ভূমির শক্তি—সবচেয়ে প্রবল শক্তি'। ১৯২৭ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচূসেটস রাজ্যে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্রিটনের ইটোন সরকারী স্কুলে লেখাপড়া করেন, তারপর তিনি লাউস্যান বিশ্ববিদ্যালয় ও হার্ভর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকল্প বিজ্ঞান ও মেডিক্যালে লেখাপড়া করেন। ১৯৪৬ সালের ৯ জুন তাঁর বড়ভাই রামা অষ্ঠম রাজাকে হত্যা করা হয়। তখন ১৯ বছর বয়সী ভুমিবোল আবুলয়াদেজ থাইল্যান্ডে ফিরে এসে নবম রাজার পদে নিযুক্ত হন। ৬০ বছর ধরে তিনি থাইল্যান্ডের রাজা হন।

    যুব বয়স থেকেই তিনি সংগীত খুবই পছন্দ করেন, বিশেষ করে পিয়ানো ও স্যাক্সোফোনবাজানো পছন্দ করেন। তিনি অস্ট্রিয়া সংগীত বিশ্ববিদ্যালয়ের ডক্টরের ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি সাতটি বিদেশী ভাষা বলতে পারেন। তাঁর চিত্রকলা ও ছবি তোলার পেশাগত মান আছে। গত শতাব্দীর শেষ দিকে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৩৬টি ডিগ্রী অর্জন করেন।

প্রতি বছরে, তিনি রাজ পরিবারের পূঁজির এক বড় ভাগ দিয়ে জলসেচ, বিদ্যুত্ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন এবং কৃষি শিল্পের উন্নয়ন করেন। তিনি নিজের পরিবারে পরীক্ষা ও গবেষণা করেন, কৃষি শিল্পে উত্কৃষ্ট অবদান রাখেন। সেজন্যে গত ২৬ মে জাতিসংগ মহাসচিব কফি আনান থাইল্যান্ডে তাঁকে বিশ্বের প্রথম 'জাতিসংঘ উন্নয়ন পরিকল্পনা কার্যলয়ের মানবজাতি উন্নয়নের পুরস্কার' প্রদান করেন।

    থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী, রাজা হল দেশ ঐক্যের প্রতিনিধি। তাঁর সংবিধান অনুমোদন করার ক্ষমতা আছে। থাইল্যান্ডের সংবিধান অনুযায়ী, রাজা হল দেশের নেতা এবং ধর্মের সর্বোচ্চ রক্ষী ব্যক্তি। রাজাকে সম্মান না করা হল আইন লংঘন করা।

    ভুমিবোল আদুলয়াদেজ অব্যাহতভাবে থাইল্যান্ডের উন্নয়ন খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। গত শতাব্দীর শেষ দিকে থাইল্যান্ডে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ছিলো। তখন থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুংখান, অর্থনৈতিক সংঘর্ষ ও গণতন্ত্রিক সংস্কার নিয়ে আন্দালন লেগে ছিল।

(রাজা ভুমিবোল আবুলয়াদেজ আর তাঁর স্ত্রী)

  ১৯৪৭ সালে থাইল্যান্ডের সেনা বাহিনী সামরিক অভ্যুংখান ঘটায়। এটা যুবক ভুমিবোল আদুলয়াদেজের দেখা প্রথম অভ্যুংখান। ৬০ বছরে থাইল্যান্ডে মোট ১৯টি সামরিক অভ্যুংখান ঘটে। ২০জন প্রধানমন্ত্রী পর পর ৪৮টি মন্ত্রীসভা সাংগঠন করেন। রাজা ভুমিবোল আদুলয়াদেজ সবসময় রাজনীতিতে নিরপেক্ষ স্থান বজায় রাখেন। শুধু বিশেষ পরিস্থিতিতে সমঝোতা করেন। যাতে দেশে বিশৃঙ্খলা ঘটা প্রতিরোধ করা যায়। সেজন্যে থাইল্যান্ডের জনগণ তাঁকে সম্মান এবং সমর্থন করেন। তাঁকে শেষ ন্যায্য ব্যক্তি হিসেবে মনে করেন।