v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-22 14:53:31    
আপনার জীবনে কে আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ  লোক ?

cri
    আমি এক গল্প শুনেছিলাম ।একদিন, যুক্তরাষ্ট্রের এক ইউনিভাস্টিতে ক্লাস শেষ হওয়ার আগে প্রফেসর নিজের ছাত্রছাত্রীদের বললেন , এখন আমরা একটি খেলা খেলি ,কে আমাকে সহযোগিতা করতে চান? এসময়ে এক ছাত্রী উঠে মঞ্চের দিকে যায় ।প্রফেসর বললেন, এখন আপনি ব্ল্যাকবোর্ডে ২০জনের নাম লিখুন ,যারা আপনার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, করছেন বা করবেন বলে আপনি তাদের মধ্যে কাউকে হারাতে চান না ।মেয়েটি প্রফেসরের অনুরোধক্রমে ব্ল্যাকবোর্ডে অনেক নাম লিখলেন , নামগুলোর মধ্যে তার প্রতিবেশী, বন্ধুবান্ধব আর পরিবারপরিজনদের নাম ছিল ।

    প্রফেসর বললেন , নামগুলোর মধ্যে যে নাম আপনার মতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় সে নাম কেটে ফেলে দেন , মেয়েটি তার প্রতিবেশীর নাম কেটে ফেলে দিল ।

    প্রফেসর আবার বললেন, আর একটি নাম বাদ দেন , মেয়েটি তার এক সহকর্মীর নাম কেটে দিল ।

    প্রফেসর আবার বললেন , আর একজনের নাম কাটুন, মেয়েটি আর একটি নাম কাটল ।অবশেষে ব্ল্যাকবোর্ডে মাত্র চারজনের নাম অর্থাত তার বাবামা, স্বামী আর বাচ্চার নাম রয়ে গেল ।ক্লাসে তখন পিন-পতন নিস্তব্ধতা বিরাজ ছিলো ।ছাত্রছাত্রীরা নিরবে প্রফেসরের দিকে তাকাল । তারা মনে করে , এটা আর কোনো খেলা নয় ।

    প্রফেসর শান্তস্বরে বললেন , আরেকটি নাম কেটে দিন , মেয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হল, সে অত্যন্ত কষ্টের সংগে বিকল্প বেছে নিচ্ছিলো , সে চক অথাত চা-খড়ি দিয়ে বাবামার নাম কেটে দিল।

    আরেকটি নাম ফেলে দিন , প্রফেসরের কন্ঠস্বর আবার ভেসে আসে , মেয়ে বিস্মিত হল ।সে কেঁপে কেঁপে চক তুলে ধীরেধীরে নিজের ছেলের নাম কেটে দিল , হঠাত সে হু-হু করে কেঁদে উঠল , তার দুঃখ দেখে অত্যন্ত মায়া লাগে ।

    মেয়ে কিছু শান্ত হওয়ার পর প্রফেসর তাকে জিজ্ঞেস করেন, বাবামা আর ছেলে আপনার সবচেয়ে নিকটের লোক হওয়া উচিত, বাবামা আপনাকে জন্ম দিয়েছেন, আপনাকে মানুষ করেছেন, আর ছেলের জন্ম দিয়েছেন আপনি নিজেই, পক্ষান্তরে স্বামী না থাকলে নতুন বিয়ে করতে পাবেন, তিন্তু কেন আপনি স্বামীকে সবচেয়ে হারাতে চান না ?

    সহপাঠিরা চুপচাপ বসে নিজেদের মেয়ে-ক্লাসমেটের দিকে তাকাল , তার উতরের অপেক্ষা করল । মেয়েটি ধীরেধীরে দৃঢ়কন্ঠে বলল , সময়ের তালে তালে বাবামা আমাকে ছেড়ে আগে চলে যাবেন , ছেলে বড় হয়ে মানুষ হওয়ার পর নিশ্চয়ই আমার কাছ থেকে আলাদাভাবে নিজের সংসার চালাবে ।সত্যিকারভাবে আমার সংগে সারা জীবন কাটাবেন মাত্র একজন লোক , তিনি আমার স্বামী ।

    আসলে ক্লাসটির প্রধান বিষয় হল কে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লোক ?

    বন্ধুরা , আপনারা নিজের চাওয়া ,নিজের মনের ভিতরের আশা বুঝেন? অথার্ত আপনি নিজের কাছে কে সবচেয়ে গুরুত্বপূণর্ণ জানেন ? পুরুষ হোক নারী হোক, আপনার শেষসময়ে কে আপনার পাশে থাকবেন?ঘনিষ্ঠ বান্ধববান্ধবি না আপনার বাবামা, ছেলেমেয়ে না আপনার স্বামী থাকবেন বলে আপনি আশা করেন ?

    মা ও মেয়ে কিভাবে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারে

    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন নারী মনোবিজ্ঞানী বিশেষভাবে মা আর মেয়ের সম্পর্ক গবেষণা করেন , তিনি আলাদা-আলাদাভাবে মা আর মেয়ের কাছে ১০টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন ।

    মেয়েদের কাছে তার ১০টি প্রস্তাব হল :

    এক, মাকে ঈর্ষা করবেন না ।

    দু্ই, অর্থনৈতিক দিক থেকে মায়ের সমর্থনের উপর বেশি আশা করবেন না ।

    তিন, মায়ের উপর বেশী দাবী করবেন না ।

    চার, মাকে অবহেলা করবেন না ।

    পাঁচ, মায়ের কাছ থেকে যেভাবে স্নেহ-মমতা চান, একই মাকেও সম্মান করতে হবে ।

    ছয়, মাকে আপনার বাচ্চাদের দেখতে দিতে অস্বীকার করবেন না ।

    সাত, মায়ের জন্মদিন ভুলবেন না ।

    আট, মাঝেমাঝে মায়ের সংগে থাকবেন, অসুস্থ সময়ে তাকে বিশেষভাবে দেখাশোনা করা প্রয়োজন ।

    নয়, মায়ের অনুভুতি ও মনোভাব আপনি ভাল করে জানেন ,এমন ধারনা পোষন করবেন না

    দশ,মায়ের জীবনযাপনের স্টাইল, অভ্যাস, ব্যয় আর খাদ্যের অভ্যাসের সমালোচনা করবেন না ।

    মায়ের কাছে তার ১০টি প্রস্তাব হল:

    এক,মেয়ের আচরনের সমালোচনা করবেন না ,মূল্যায়নও করবেন না ।

    দুই,মেয়ের পারিবারিক কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে , যদিও আপনি তাকে তা করতে দিতে চান না ।

    তিন,মেয়েকে ঠিক আপনার মতোই জীবনযাপন করার দাবী করবেন না ,মেয়ের প্রেম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করবেন না ।

    চার,যদিও আপনার প্রকৃতির সঙ্গে মেয়ের প্রকৃতি একেবারে ভিন্ন, তবু মেয়েকে বিনাশর্তে ভালবাসা উচিত ।

    পাঁচ, মেয়ের কাছ থেকে যে সম্মান পেতে চান তারমতোই মেয়ের প্রতি আপনার সম্মান প্রদর্শন করতে হবে ।

    ছয়, আপনাকে মেয়ে যে গোপন কথা বলেছেন , তা অন্য কাউকে বলবেন না ।

    সাত, মেয়ের প্রতি আপনাকে চিরকালই বিশ্বস্ত থাকতে হবে ,এবং নিজেকে বুদ্ধিমতি মানুষ হিসেবে দেখতে হবে।

    আট, মেয়ে যে লোককে ভালবাসে সেই লোক সম্বন্ধে খারাপ কথা বলবেন না ।

    নয়, যে কাজ করার সামর্থ্য নেই , মেয়েকে তা করার প্রতিশ্রুতি দিতে বারণ করবেন ।

    দশ, এমন ভাবতে হবে যে , নিজের সব সম্পদের মতো মেয়ের সাথে আচরণ করা উচিত নয় , বরং তাকে অধিকার ও দায়িত্বসম্পন্ন বয়স্ক নারী হিসেবে তার সংগে আচরণ করতে হবে।