v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-22 10:56:29    
এশিয়া ও ইউরোপের শীর্ষ সম্মেলন

cri
    ১৯৯৬ সালের মার্চ মাসে প্রথম এশিয়া ও ইউরোপের শীর্ষ সম্মেলন থাইল্যান্ডের ব্যাঙ্ককে অনুষ্ঠিত হয় । অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে আসিয়ানের সাতটি সদস্য দেশ আর চীন , জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ই.ইউ.'র ১৫টি সদস্য দেশ এবং ই.ইউ.'র কমিটি মোটসহ ২৬টি দেশ ও সংস্থা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে । সম্মেলনে গৃহিত 'চেয়ারম্যান ঘোষণায়' নির্ধারিত সম্মেলনের উদ্দেশ্য হল এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে নতুন ধরনের অংশীদারী সম্পর্ক স্থাপন করা, পারস্পরিক সংলাপ, সমঝোতা ও সহযোগিতা জোরদার করা, অর্থনীতি ও সমাজের উন্নয়নে ইতিবাচক শর্ত সৃষ্টি করা এবং বিশ্বের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সুরক্ষা করা । চীনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী লি পেং সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং এশিয়া ও ইউরোপের নতুন অংশীদারী সম্পর্ক স্থাপন করা, অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদার করা নিয়ে চীনের মতামত ব্যাখ্যা করেছিলেন ।

    ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসে তৃতীয় এশিয়া ও ইউরোপের শীর্ষ সম্মেলন বৃটেনের রাজধানী লন্ডনে অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে 'চেয়ারম্যান বিবৃতি','বাণিজ্যের সুবিধা দেয়া সম্পর্কে কার্যক্রম', 'পুঁজি বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করার কার্যক্রম' এবং "এশিয়া ও ইউরোপের সহযোগিতার কাঠামো' ইত্যাদি দলিল গৃহীত হয়েছে । সম্মেলনে 'এশিয়া ও ইউরোপের পরিকল্পনা গ্রহণকারী গ্রুপ এবং ধারাবাহিক কার্যকর পরিকল্পনা নির্ধারিত হয় । চীনের তত্কালীন প্রধানমন্ত্রী চু রোংচি সম্মেলনে ভাষণ দেয়ার সময়ে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে আর্থ-বাণিজ্যের আদান প্রদান ও সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রের সহযোগিতা আরো জোরদার করা , অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আরো ঘনিষ্ঠ করা এবং রাজনৈতিক সংলাপ ও পরামর্শ ত্বরান্বিত করা ইত্যাদি চারটি মতামত উপস্থাপন করেছিলেন ।

    ২০০০ সালের অক্টোবর মাসে তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে 'চেয়ারাম্যান বিবৃতি', '২০০০ সালে এশিয়া ও ইউরোপের সহযোগিতার কাঠামো' এবং 'কোরিয় উপদ্বীপের শান্তিপূর্ণ সিউল ঘোষণা' তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র গৃহীত হয় । প্রধানমন্ত্রী চু রোংচি সম্মেলনে এশিয়া ও ইউরোপের আর্থ-বাণিজ্য, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রের সহযোগিতাকে আরো সম্প্রসারণ করা নিয়ে চীনের মতামতের ব্যাখ্যা করেছিলেন । চীন উত্থাপিত মিলিতভাবে আন্তঃদেশীয় অপরাধ রোধের ব্যবস্থা গ্রহন , দূর্নীতি বিরোধীতা করা এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণ ও বনের টেকসই উন্নয়নের সহযোগিতা জোরদার করা ইত্যাদি তিনটি প্রস্তাব অংশগ্রহণকারীদের মতৈক্য অর্জন করেছে এবং সেসব মতামত '২০০০ সালের এশিয়া ও ইউরোপের সহযোগিতার কাঠামোয়' লিপিবদ্ধ হয়েছে ।

    ২০০২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে চতুর্থ শীর্ষ সম্মেলন ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে 'চেয়ারম্যান বিবৃতি', 'আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের সহযোগিতা বিরোধীতা করা সম্পর্কে ঘোষণা ও পরিকল্পনা' এবং 'কোরিয় উপদ্বীপের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক ঘোষণা'ইত্যাদি দলিলপত্র গৃহীত হয় । প্রধানমন্ত্রী চু রোংচি সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন এবং এশিয়া ও ইউরোপের সহযোগিতা আরো জোরদার করা সম্পর্কে ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করেছিলেন ।

    ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে পঞ্চম শীর্ষ সম্মেলন ভিয়েত্নামের রাজধানী হ্যানয় অনুষ্ঠিত হয় । সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা একমত হয়ে ,ক্যাম্বোডিয়া , মিয়ানমার ,লাওস এবং ই.ইউ.'র দশটি নতুন সদস্য দেশ আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়া-ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলনের সদস্য হিসেবে নির্বাচন করেছে । এবারের শীর্ষ সম্মেলনে মোট তিনটি দলিল গৃহীত হয় : 'পঞ্চম এশিয়া ও ইউরোপ শীর্ষ সম্মেলনের চেয়ারম্যান বিবৃতি', 'শীর্ষ সম্মেলনের আরো ঘনিষ্ঠ অর্থনৈতিক অংশীদারী সম্পর্ক সম্পর্কে হ্যানয় ঘোষণা', এবং চীন ও ফ্রান্স উত্থাপিত 'এশিয়া ও ইউরোপের সম্মেলনের সংস্কৃতি আর সংলাপ ঘোষণা'। চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং 'সংলাপের সহযোগিতা জোরদার করা, অংশীদারী সম্পর্ককে আরো গভীর করা'ওপর ভাষণ দিয়েছিলেন ।