v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-21 17:00:41    
আই এম এফ ও বিশ্ব ব্যাঙ্কের বার্ষিক সম্মেলনে অর্জিত ইতিবাচক সাফল্য

cri

 আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল এবং বিশ্ব ব্যাঙ্কের দু'দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন ২০ সেপ্টেম্বর সিঙ্গাপুরে শেষ হয়েছে। এবারের বার্ষিক সম্মেলনে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের ১৮৪টি সদস্য দেশ ভোটদানের মাধ্যমে কোটার সংস্কার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে এবং চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, মেক্সিকো ও তুরস্ক এই চারটি নতুন সমৃদ্ধ দেশকে এই সংস্থার ভোটদানের অধিকার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সংস্কারকে গত ৬০ বছরে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল অর্থাত্ আই এম এফ এর বৃহত্তম সংস্কার বলে অভিহিত হয়। এই সংস্কার থেকে কেবল সদস্য দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিবর্তন প্রতিফলিত হয়েছে তা নয়, বরং উন্নয়নশীল দেশগুলোকে আরো বেশি বক্তব্য রাখার অধিকার দেয়া হয়েছে। আই এম এফ এর প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দে রাটো বলেছেন, বিশ্বের অর্থনৈতিক ভারসাম্যহীতা প্রভৃতি নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য এই সংস্থার সংস্কার চলতে থাকবে, যাতে বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই সংস্থার প্রভাব বরাবরই বজায় রাখা যায়।

 এই দুটি আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার ১৬ হাজারের বেশি প্রতিনিধি এবারের বার্ষিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। তাঁরা গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ভবিষ্যত সম্ভাবনা এবং ঝুঁকি নিয়ে আলোচনা করেছেন। অংশগ্রহণকারীরা আই এম এফ এর অনুমোদিত প্রথম বহুপক্ষীয় আলোচনার স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁরা মনে করেন, সারা বিশ্বের উত্পাদনের হার প্রবৃদ্ধির প্রেক্ষিতে ২০০৬ সালে বিশ্ব অর্থনীতির অব্যাহত বৃদ্ধি হবে। অনুমান অনুযায়ী, ২০০৭ সালে এই প্রবৃদ্ধির প্রবণতা বজায় থাকবে।

 এবারের বার্ষিক সম্মেলনে "বিশ্বের এশিয়া ও এশিয়ার বিশ্ব" নামে ধারাবাহিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রায় ১৫০জন বক্তা আঞ্চলিক সুবিন্যস্ত, চীন ও ভারতের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার, বিশ্বায়নের প্রভাব, দুর্নীতি সমস্যা, জ্বালানি সম্পদ সমস্যা এবং এশিয়ার জনসংখ্যার বয়োবৃদ্ধি সমস্যা ইত্যাদি ৩৭টি বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন। অংশগ্রহণকারীরা মনে করেন, এশিয় অঞ্চল হচ্ছে বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে প্রাণবন্ত জায়গা। চীন ও ভারতের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এই অঞ্চলের জন্য প্রাণশক্তি যুগিয়েছে। এশিয়ার অর্থনীতি বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে মিশছে। এর সঙ্গে সঙ্গে এশিয় দেশগুলো আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। যেমন দারিদ্র্য, সংক্রামক রোগ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, জনসংখ্যার বয়োবৃদ্ধি সমস্যা ইত্যাদি। এশিয় দেশগুলোর উচিত দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য ব্যবস্থা চালানো , শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন করা, অর্থ শিল্পের বিকাশ ত্বরান্বিত করা, সম্পদ কৃষি থেকে শিল্প ও পরিসেবা ক্ষেত্রে স্থানান্তরিত করা।

 অংশগ্রহণকারীরা দোহা আলোচনা পুনরায় শুরু করার জন্য বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে তাগিদ দিয়েছেন এবং আশা করেন এই আলোচনা চলতি বছরের শেষ হওয়ার আগে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে। দোহা আলোচনার উদ্দেশ্য হচ্ছে বাণিজ্য বিধি-নিষেধ কমানো, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলো অবাধ বাণিজ্যের সুফল উপভোগ করতে পারে। কিন্তু বহু বছর ধরে বিভিন্ন দেশ এই বিষয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে নি, ফলে বিশ্ব অর্থনৈতিক টেকসই উন্নয়নের ভবিষ্যত সম্ভাবনার উপরও এর জন্য কুপ্রভাব ফেলেছে। বিশ্ব ব্যাঙ্কের গর্ভণর পল উলফোভিচ এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক করেছেন। তিনি বিভিন্ন দেশের সরকারের প্রতি দোহা আলোচনা পুনরায় শুরু করার দাবি জানিয়েছেন।

 চীনের গণ ব্যাঙ্কের গর্ভণর চৌ সিয়াও ছুয়েন ও চীনের অর্থমন্ত্রী চিন রেন ছিংয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল এবারের বার্ষিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনে তাঁরা বর্তমান বিশ্বের অর্থনীতি ও মুদ্রা সমস্যায় চীনের অভিমত ব্যাখ্যা করেছেন। বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি প্রসঙ্গে চৌ সিয়াও ছুয়েন বিভিন্ন পক্ষের প্রতি বিশ্বায়নের ফলে সৃষ্ট ভালো সুযোগকে মূল্য দেয়া, বাণিজ্যিক সংরক্ষণবাদ বিরোধীতা করা, ন্যায়সংগত ও পারস্পরিক উপকারিতামূলক নতুন ধরনের বাণিজ্যিক ব্যবস্থা এবং বিভিন্ন দেশ সমানভাবে সাফল্য উপভোগ করতে পারে এমন একটি পরিবেশন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।