v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-20 11:45:05    
গর্ভবতীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করার পদ্ধতি

cri
    নারীদের জীবনে গর্ভাবস্থা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ সময় । গর্ভকালে ভালোভাবে গর্ভবতীদের স্বাস্থ্য বজায় রাখা গর্ভবতী আর তাঁদের বাচ্চাদের জন্য অনেক সহায়ক । আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ বিষয় নিয়ে কয়েকটি টিপস ব্যাখ্যা করবো। গর্ভবতীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করলে গর্ভবতী ও বাচ্চা উভয়েই সুস্থ থাকবে । যত তাড়াতাড়ি এ কাজ শুরু করবেন ততই ভালো হবে । কারণ গর্ভবতীদের স্বাস্থ্য তাঁদের বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরাসরি প্রভাব ফেলে থাকে । গর্ভবতীরা তাঁদের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে এবং জোরদার করতে চাইলে, কিছু নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ।

    ১. ঘুমানো ও জেগে উঠার সময় সুশৃঙ্খল হতে হবে

    গর্ভকালে গর্ভবতীদের সহজভাবেই ক্লান্তি লাগে, এর জন্যে তাঁদের ঘুমানো ও জেগে উঠার সময় সুশৃঙ্খল হতে হবে এবং যথেষ্ঠ ঘুম প্রয়োজন । প্রতিদিন ৮ ,৯ ঘন্টার বেশি ঘুমানো ভালো । কিন্তু অতি দীর্ঘ ঘুম আবার ক্ষতির কারণও হতে পারে । নইলে শিশু জন্মানোকালে কষ্ট হবে ।

    ২. যুক্তিযুক্ত শরীর চর্চা প্রয়োজন

    গর্ভবতীরা যুক্তিযুক্তভাবে তাঁদের শরীর চর্চা করলে শরীরের রক্তসংবহন ত্বরান্বিত করবে এবং শিশুদের ক্রমবৃদ্ধি আর গর্ভবতীদের বাচ্চা জন্মানোতে সহায়ক হবে ।

    ৩. যথাযথ খাবার খেতে হবে

    গর্ভবতীদের খাবার শিশুদের উন্নতির ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে থাকে । এর জন্যে গর্ভবতীদের বেশি প্রোটিন, সবজী ও ফল খাওয়া ভাল এবং যত বেশি সম্ভব নানা ধরণের খাবার খাওয়া ভাল । মনে করুন, হাল্কা খাবার খান, অল্প পরিমাণ লবণযুক্ত খাবার খান । ঠাণ্ডা, কাঁচা, বেশি ঝাল খাবার খাবেন না , যেমন আইসক্রিম, কাঁচামরিচ, রসুণ ইত্যাদি , যাতে গর্ভপাত এড়ানো যায় । তাছাড়া , মদ আর ধুমপান করলে বা গর্ভবতীদের কাছাকাছি ধুমপান করলে সহজভাবেই শিশুদের বিকৃত চেহারা সৃষ্টি হতে পারে । এর জন্যে গর্ভবতীদের স্বামীর এ সময় ধুমপান করা উচিত নয় ।

    বৃটেনের গবেষণা কর্মীরা বলেছেন, গর্ভকালে যদি গর্ভবতীদের শরীর যুক্তিযুক্তভাবে ভিটামিন ই গ্রহণ করেন, তাহলে তাঁদের শিশু হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে । যারা গর্ভকালে কম ভিটামিন ই খান সেই সব গর্ভবতীদের শিশুদের হাঁপানিতে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি ভিটামিন ই খাওয়ার গর্ভবতীদের শিশুদের চেয়ে ৫ গুণ বেশি ।

    স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা গেছে, বিশেষজ্ঞরা ৫ বছরের মধ্যে ২০০০ জন গর্ভবতী আর তাঁদের শিশুদের ওপর তদন্ত করেছিলেন । পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ভিটামিন ই শিশুদের ফুসফুসের উন্নতির জন্য সহায়ক ।গর্ভকালের প্রথম চার মাস হল একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় । কারণ শিশুদের স্বাসনালী তাঁদের প্রথম চার মাসের মধ্যে পূর্ণ উন্নতি হয় । বিশেষজ্ঞরা মনে করেন , গর্ভবতীদের এ সময়ে যুক্তিযুক্তভাবে ভিটামিন ই খাওয়া উচিত । জানা গেছে, বৃক্ষের তেল ও বাদামের মধ্যে প্রচন্ড ভিটামিন ই রয়েছে ।

    ৫.নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে হবে এবং সাবধানে ঔষুধ খেতে হবে ।

    গর্ভকালে যদি গর্ভবতীরা রোগে আক্রান্ত হয়, তাহলে ভালভাবে চিকিত্সা করা উচিত । যদি ঔষধ খেতে হয় , তাহলে অবশ্যই ডাক্তরকে জিজ্ঞেস করুন কোন ধরনের ঔষধ শিশুদের কম ক্ষতি করবে । নইলে সহজভাবে শিশুদের বিকৃত চেহারার সৃষ্টি হবে ।

    ৬. সুখী ও ভালো মন বজায় রাখুন । সবসময় গোসল করে শরীরের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা উচিত ।

    আশা করি, প্রত্যেক নারী এসব টিপস মনে রাখবেন এবং ভালভাবে নিজেদের শিশু জন্মাতে নিজেরাই সাহায্য করবেন ।