v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-15 17:16:34    
চীনের সংস্কৃতি উন্নয়নের কার্যক্রম কর্মসূচি সম্পর্কে

cri
    চীন সরকার যে পরবর্তী ৫ বছরে চীনের সংস্কৃতি উন্নয়নের কার্যক্রম-কর্মসূচী প্রকাশ করেছে , ১৪ সেপ্টেম্বরচীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের তথ্য বিভাগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ,বেতার , চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ব্যুরো এবং জাতীয় গ্রন্থসত্ত্ব প্রশাসনেরদায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এ সম্পর্কে দেশী-বিদেশী সংবাদদাতাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ।

    ১৩ সেপ্টেম্বর চীন সরকার " রাষ্ট্রের একাদশ পাঁচ শালা পরিকল্পনায়সংস্কৃতি উন্নয়নের কার্যক্রম-কর্মসূচী" প্রকাশ করেছে । এতে পরবর্তী ৫ বছরে চীনের সংস্কৃতি নির্মাণকাজের পথনির্দেশক চিন্তাধারা , উন্নয়নের লক্ষ্য ও প্রধান বিষয়গুলো সম্পর্কে স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যাকরা হয়েছে । সংস্কার ও উন্মুক্ত হওয়ার বিশাধিক বছর ধরে চীনের সংস্কৃতি নির্মাণে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিতহয়েছে । কিন্তু সংস্কৃতি উন্নয়নের মান উন্নত নয় । বর্তমানে সংস্কৃতিজাত দ্রব্যের পরিমাণ , গুণমান ও আকার অভ্যন্তরের চাহিদাকে মেটাতে  পারছে না এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেপ্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তেমন সক্ষমও নয় । চীনের সংস্কৃতিমন্ত্রী সুন চিয়াচেন মনে করেন যে , চীনের পরবর্তী সমাজের সার্বিক উন্নয়নে " কর্মসূচী" গুরুত্বপূর্ণ তাত্পর্যসম্পন্ন । তিনি বলেছেন , এটা নয়া চীন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর সংস্কৃতি নির্মাণের জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রণিত প্রথম কার্যক্রম-কর্মসূচী । এটা চীনের নতুন শতাব্দীর নতুন সময়পর্বের অর্থনীতি , রাজনীতি , সংস্কৃতি ও সমাজের সুষম উন্নয়নের বাস্তবচাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। এটা সুষম সমাজ ত্বরান্বিত ,সার্বিকভাবে স্বচ্ছল সমাজ গড়ে তোলার লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ।

    " কর্মসূচী"র প্রকাশ চীন সরকারের মানুষকে গুরুত্ব দেয়ার ভিত্তিতে সুষম সমাজ গড়ে তোলা নীতির পরিচায়ক ।

সাম্প্রতিক কয়েক বছরে চীনের অর্থনীতি উন্নয়ন দ্রুত হওয়ায় বড়বড় শহরে সাংস্কৃতিক পরিসেবা ও সংস্কৃতিজাত দ্রব্যেরসরবরাহ শিল্পোন্নতদেশগুলোর সঙ্গে কোনো পার্থক্য নেই বলা যায় । কিন্তু প্রত্যন্ত পাহাড়ী অঞ্চল অথবা পশ্চিমাঞ্চলের প্রাকৃতিক কারণে অর্থনীতির উন্নয়ন পশ্চাদপদ বলে সেখানকার মানুষ যে সাংস্কৃতিক পরিসেবা ও দ্রব্যভোগ করতে পারে তা অত্যন্ত সীমিত । এ সম্পর্কে চীনের বেতার , চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন প্রশাসনের উপ-মহাপরিচালক মাদাম চাও সি বলেছেন , গ্রামাঞ্চলে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়িত করে গ্রামবাসীদের রেডিও শোনা , টিভি ও চলচ্চিত্র দেখার সমস্যার সমাধান করতে হবে । পশ্চিমাঞ্চলের ও প্রত্যন্ত সংখ্যালঘূজাতি অধ্যূষিত এলাকার বেতার ও টেলিভিশনের বুনিয়াদী ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে । ২০১০ সাল নাগাদ যে ২০টিরও বেশি পরিবারবিশিষ্ট গ্রামে বিদ্যুত ব্যবস্থাচালুর কথা রয়েছে সেই সব গ্রামে ৪টি বেতার অনুষ্ঠানশোনা ও ৮ চ্যানেল টেলিভিশন প্রোগ্রাম দেখা এবং এক গ্রামে এক মাসে এক বার সিনেমা দেখানোর লক্ষ্য বাস্তবায়িত করতে হবে ।

    সংস্কৃতি উন্নয়নে নতুন প্রকৌশলের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে গুরুত্ব দেয়া এবং উন্নয়ন ও উদ্ভাবণের কথা জোর দিয়ে উল্লেখ করা " কর্মসূচী"র এক বৈশিষ্ট্য । সুন চিয়াচেন মনে করেন , উন্নত অঞ্চল ও অনুন্নত অঞ্চলের মধ্যকার ডিজিট্যাল-পার্থক্য কমিয়ে দেয়া পাব্লিক সংস্কৃতি নির্মাণের এক গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা । এ ব্যাপারে চীন সরকার ইতোমধ্যে কিছু সাফল্য অর্জন করেছে । তিনি বলেছেন , ডিজিট্যাল যুগে ডিজিট্যাল পার্থক্য নির্মূল করা বিশ্বে এক বড় সমস্যায় পরিণত হয়েছে । তথ্য সম্পদ প্রকল্পের নির্মাণ ১৩০ কোটি লোকসংখ্যার বড় দেশে ডিজিট্যাল পার্থক্য দূর করার পক্ষে সহায়ক হবে । যাতে প্রতিটি মানুষ সংস্কৃতির নতুন সাফল্য উপভোগ করতে পারবেন ।

    সংস্কৃতিমন্ত্রী সুন চিয়াচেন উল্লেখ করেছেন, "কর্মসূচী" অনুযায়ী ২০১০ সালের আগে গোটা চীনের প্রতিটি থানায় এক বহুমুখী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ও প্রতিটি গ্রামে একটি সাংস্কৃতিক কক্ষ প্রতিষ্ঠিত হবে । কিন্তু বিশাল পশুচারুন এলাকায় এক থানায় এক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা গোটা পরিসেবামূলক সমস্যার সমাধান করতে পারে না । এর পরিপ্রেক্ষিতে সাংস্কৃতিক সংস্থাকে " সাংস্কৃতিক যান"-এর পদ্ধতির মাধ্যমে ভ্রাম্যমান পরিসেবা দিয়ে পশুপালক ও প্রত্যন্ত এলাকার জনসাধারণের কাছে সংস্কৃতিজাত দ্রব্য পৌঁছে দিতে হবে ।