v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-13 16:21:55    
চীনের সঙ্গে এক নেপালী পরিবারের গল্প

cri
    আগস্ট মাসে নেপালের বিখ্যাত চীনা ঐতিহ্যিক চিকিত্সা ডাক্তার হারিসের পরিবার খুবই আনন্দিত , কারণ তারা অনেক সুখবর পেয়েছেন । এসব খবর চীনের সঙ্গে সম্পর্কিত--হারিস নেপাল ও চীনের মৈত্রী বিশেষজ্ঞ কমিশনের চেয়ারম্যানের পদে নির্বাচিত হয়েছেন । হারিসের স্ত্রীর ছোট ভাই উমিস চীনের উ হান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছে । তিনি উ হান বিশ্ববিদ্যালয়ে আই টি বিষয়ক মাস্টার কোর্স পড়বেন । হারিসের মেয়ে হানসা ও ছেলে লোহাই পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ইন্সটিটিউটে লেখাপড়া করেন । হারিসের স্ত্রী খুব ভালো চীনা খাবার রান্না করতে পারেন । বাসায় সবাই সবসময় একসঙ্গে বসে চীনা খাবার খেয়ে খেয়ে চীনের কথা বলেন , খুব সুখী লাগে ।

    গত শতাব্দীর ৮০ দশকে হারিস চীনের ভেষজ ওষুধ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক হওয়ার পর দেশে ফিরে গিয়েছেন এবং নেপালে একজন ভেষজ বিষয়ক ডাক্তার হয়েছে । তিনি চিকিত্সা করার পাশে পাশে চীনের টি ভি নাটককে নেপালী ভাষায় অনুবাদ করেছেন । প্রথম চীনা টি ভি নাটক হিসেবে "সিং চাং সু" নেপালের টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে এবং স্থানীয় লোকজনের প্রশংসা পেয়েছে ।

    মৈত্রী বিশেষজ্ঞ কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার পর হারিস আরো ব্যস্ত হয়েছেন । নেপালের কূটনীতিকরা চীনে সফর করলে তিনি সঙ্গে গিয়ে অনুবাদ করবেন ।

    ২৪ বয়সী উমিস চীনে আসার আগে হারিসের পরিবারের অন্য তিন জন চীন সফর করেছেন । বর্তমানে হারিসের স্ত্রী ছাড়া এই পরিবারে সবাই চীনা ভাষা বলতে পারে । বিশেষ করে হারিস , তিনি নিজেই বলেছেন যে , ইংরেজি ভাষার চেয়ে তিনি আরো ভালোভাবে চীনা ভাষা ব্যবহার করতে পারেন । যখন নিজের আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলেন , মাঝে মাঝে তিনি কিছু চীনা ভাষা বলবেন । হারিস বলেছেন , তিনি তিনটি ভাষা জানেন । এর মধ্যে অবশ্যই নেপালী ভাষা সবচেয়ে ভালো । তারপর চীনা ভাষা , এর পরে ইংরেজি ভাষা । তিনি বলেন , তিনি চীনা ভাষা শুনতে এবং বলতে পছন্দ করেন । বলতে বলতে চীনের কথা মনে করবেন ।

    তিন বছরের আগে , হারিসের মেয়ে হানসা হাই স্কুলে লেখাপড়া শেষ করার পর শ্রেষ্ঠ ফলাফলে চীনের বৃত্তি পেয়েছেন । ফলে তিনি পেইচিং বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল ইন্সটিটিউটে ভর্তি হয়েছেন । তিনি এই ইন্সটিটিউটে খুব পরিশ্রম করে লেখাপড়া করেন , প্রত্যেক পরীক্ষায় তিনি প্রথম হচ্ছেন। তিনি বলেছেন , চীনে এসে যেন জ্ঞাণের সমুদ্রে এসেছি । তিনি এখানে অনেক মেডিকেল সম্পর্কিত বিষয় শিখতে পারেন । চীনে তিনি অনেক ভালো বন্ধুও পেয়েছেন । তাঁরা সবসময় মেডিকেল বিষয় নিয়ে আলাপ এবং লেখাপড়া করেন । তাঁর শিক্ষক বলেন , তাঁর লেখাপড়া অনেক ভালো । ভবিষ্যতে মাস্টার ডিগ্রী পড়তে পারবেন ।

    বাবা ও বোড় বোন লোহাইয়ের কাছে দৃষ্টান্ত । চীনে লেখাপড়া করা হল তাঁর স্বপ্ন । এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য লোহাই আগে থেকেই চীনা ভাষা শিখতে শুরু করেছেন । যদি কোনো অনুষ্ঠানে দেখেন চীনা মানুষ আছে , তিনি অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলাপ করবেন । যাতে চীনা ভাষার মান উন্নত করা যায় ।

    নিজের ছেলেকে ইউরোপীয় দেশে লেখাপড়া করানোর পরিকল্পনা হারিসের আছে । তবে লোহাই চীন দেশ ছাড়া কোথায় যাবেন না । এর জন্য তিনি কেঁদেছেনও । কারণ তিনি চীনকে অতি পছন্দ করেন ।

    চীনে লেখাপড়া করতে চাইলে পরীক্ষা দিতে হবে । ৫ শোরও বেশি লেপালী ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে শুধু ২০ জন চীনে লেখাপড়া করার সুযোগ পাবেন । অবশেষে লোহাই চীনে যাওয়ার স্বপ্ব বাস্তবায়ন করেছেন । তাঁর চীনা ভাষার মান দ্রুত উন্নত হয়েছে । চীনে আসার এক বছরের পর তিনি চীনা বন্ধুদের সঙ্গে ভালোভাবে যোগাযোগ করতে পারেন । তিনি বলেছেন , চীনা বন্ধুরা আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন । চীনে আসার পর চীনের সঙ্গে তাঁর ভালোবাসা আরো বেড়েছে ।

এ    ই বড় পরিবারের চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ এবং গভীর যোগাযোগ আছে । তাঁরা চীন ও নেপালের মৈত্রী প্রসারণের জন্যও ভূমিকা পালন করেছেন । আশা করি তাদের জীবন আরো সুখী হবে এবং চীনের সঙ্গে আরো গভীর সম্পর্ক স্থাপন করবেন ।