v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-12 16:58:47    
সামরিক বিষয়ক লেখক ছেন শিয়াও তুং

cri
    সামরিক বিষয়ক লেখক ছেন শিয়াও তুং একজন বিশেষ লেখক। তিনি চীনের পারমাণবিক বোমা, নভযান এবং হাই-টেক সামরিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রের গবেষক নিয়ে প্রবন্ধ লেখেন।

    যে গান আপনারা শুনেছেন তা হলো "উটের গান"। এই গানটি উটের যে চুপে চুপে কাজে করার মর্ম প্রশংসা করে। এই গানটি ছেন শিয়াও তুংয়ের লেখা।

    ৬০ বছর বয়স্ক ছেন শিয়াও তুং হলেন একজন অসাধারণ ব্যক্তি। কবিতা, গান ,নাটক, প্রবন্ধ, উপন্নাস তিনি সব কিছু লিখতে পারেন। কিন্তু এর মধ্যে তার সবচেয়ে বেশি পছন্দের বিষয় হলো নভোমন্ডল সম্পর্কিত বিজ্ঞানীদের লেখা।

    এখন ছেন শিয়াও তুংয়ের চিন্তা হলো তার লেখা "মহান বিজ্ঞানী ছিয়েন শুয়ে সেন" যত তাড়াতাড়ি সম্ভব টি.ভি নাটকের শুটিং করা। ৯৫ বছর বয়স্ক ছিয়েন শুয়ে সেন হলেন চীনের বিখ্যাত রকেট বিজ্ঞানী ও বায়ুগতিবিদ। তার চীনের মহাশূন্য ব্রতের বিতা ও রকেট রাজা হিসেবে সুনাম আছে। বিশ বছর ধরে ছেন শিয়াও তুং তার তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছেন। তিনি বলেছেন:

    "ছিয়ান শুয়ে সেন হলেন চীনের একজন খুব গুরুত্বপূর্ণ বিজ্ঞানী। আমি বিশ বছর ধরে তার তথ্য সংগ্রহ করতে এসেছি। এবং তার সম্পর্কে ৬টি বই লিখেছি। এখন আমি তার সম্পর্কে টি.ভি নাটক লিখছি। এবং তা শুটিং করার চেষ্টা চালাচ্ছি।"

    একজন সৈন্য হওয়ার পর ছেন শিয়াও তুংয়ের কাজ হলো সৈন্যদের জীবনী লেখা। এ পর্যন্ত তার বহু উপন্যাস ও প্রবন্ধ জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছেন। তিনিও মনে করেন তিনি এই কাজে উপযোগী। তিনি বলেছেন:

    " আসলে বাহিনীতে ভর্তি হওয়ার আগে আমি সাহিত্য ক্ষেত্রে কাজ করতাম। আমি কয়েকটি বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারি। পরে আমি কবিতা ও গান লিখতে শুরু করেছি।"

    ১৯৮৪ সালে তিনি লেখা সংক্রান্ত একটি কোচিং ক্লাস নিয়েছেন। এই সময় তিনি দেশী-বিদেশী অনেক বিখ্যাত লেখকের লেখা পড়েছেন। বিশেষ করে বিশ্বের দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ সংক্রান্ত বইয়ের উপর তিনি বেশি দৃষ্টি রেখেছেন। একজন সৈন্য হিসেবে তিনি সব সময় চিন্তা করেন কিভাবে চীনের সামরিক বিষয়ক সাহিত্য উন্নত করা যায়। তার লেখা "এনেস্টেনের শিষ্য" এ ক্ষেত্রের একটি সকল দৃষ্টান্ত। এই উপন্যাস একজন রকেট গবেষক বিজ্ঞানের জন্য প্রাণ বিসর্জনের গল্প বলা হয়েছে। চীনের বিখ্যাত সামরিক বিষয়ক লেখক লিউ বাই ইয়ু এ উপন্যাসের গভীর প্রশংসা করেছেন। ছেন শিয়াও তুং বলেছেন:

    "আমার লেখা সাধারণত সামরিক ক্ষেত্রের বিজ্ঞানীদের নিয়ে রচনা করি। প্রধাণত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের বৈজ্ঞানিকরা। "এনেস্টেনের শিষ্য" প্রথমবার সামরিক সাহিত্যের জন্য একটি দৃষ্টান্ত রেখেছে। লিউ বাই ইয়ুও এই উপন্যাস দেখে কিছুটা সম্পাদনা করেছেন। এতে আমি খুব উত্সাহ পাই।"

    ছেন শিয়াও তুং সব সময় নিজকে চ্যালেঞ্জ করার প্রচেষ্টা চালান। তিনি সব সময়ে চীনের নভো ক্ষেত্রের সবচেয়ে নতুন উদ্ভাবনার উপর দৃষ্টি রাখেন। দশ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি মানব-বাহী মহাশূন্যযান ক্ষেত্রের সকল বিভাগে সম্পৃক্ত ছিলেন। গিয়েছিলেন। কর্তৃপক্ষ থেকে সাধারণ সৈন্য পর্যন্ত তিনি সবার কাছে খুবই পরিচিত। এই ক্ষেত্রে তিনি কয়েক বিলিয়ন অক্ষর লিখেছেন। তার একটি প্রবন্ধ "আকাশের স্বপ্নে" মানব-বাহী নভোযান পরিকল্পনার কিছু অজানা গল্প লেখা আছে। প্রবন্ধে মহাশূন্য, পৃথিবী এবং মানব জাতির সম্পর্ক নিয়ে গভীর চিন্তা করা হয়। তা একটি সংক্ষিপ্ত নভোযানের ইতিহাস বলা যায়। কিন্তু ছেন শিয়াও তুং এ নিয়েও সন্তোষজনক নন। তার মাথায় অসংখ্য লোক ও ঘটনা লেখার পরিকল্পনা আছে। তিনি বলেছেন:

    "আমাকে দেখে একজন বৈশিষ্ট্যময় সামরিক ব্যক্তি মনে করবেন। সৈন্যের স্বরূপ আমার আচরণ থেকে স্পষ্ট বোঝা যায়। আমাদের বাহিনী একটি খুব প্রীতিকর বাহিনী। আমি হাজার হাজার সৈন্যদের উপর চোখ রাখি। যে সব সাহিত্য আমি লিখেছি সেগুলো সব দেশ ও জাতীয় মর্ম প্রশংসা করেছি।"

    তিনি বলেছেন, সামরিক বিষয় দেখতে খুব মরমি, আসলে অনেক সাধারণ মানুষ নীরবে তাদের অবদান রাখছেন। তিনি নিজের কলমের মাধ্যমের তাদের প্রশংসা করতে চান।