v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-11 12:30:12    
ষষ্ঠ এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন শুরু

cri
    ষষ্ঠ এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন গত রোববার বিকেলে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিনকিতে যথাযোগ্য মর্যাদার সংগে শুরু হয়েছে । এ বছর এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন চালু হওয়ার দশম বার্ষিকী । দুদিনব্যাপী এই সম্মেলনে চীন সহ এশিয়-ইউরোপীয় সম্মেলনের ৩৯টি সদস্য দেশের নেতৃবৃন্দ বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ- সম্মিলিত মোকাবিলা - এই মূল প্রতিপাদ্য নিয়ে ব্যাপকভাবে আলোচনা করবেন । এখন শুনুন হেলসিনকি থেকে আমাদের নিজস্ব সংবাদদাতার পাঠানো এই সম্মেলনের উদ্বোধনের ওপর রেকর্ডিং সম্বলিত একটি প্রতিবেদন ।

    গত রোববার বিকেলে হেলসিনকির সম্মেলন কেন্দ্রের সভাকক্ষে এক আন্তরিক পরিবেশ বিরাজমান ছিল । আশিয়ানের ১০টি সদস্য দেশ , ইইউ'র ২৫টি সদস্য দেশ এবং চীন , জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানরা আর ইইউ কমিটির নেতারা ষষ্ঠ এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । ইইউ'র পালাক্রমিক চেয়ারম্যান দেশ ও এবারের সম্মেলনের স্বাগতিক দেশ - ফিরল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট তারজা হালোনেন প্রথমে ভাষণ দেন । তিনি তার ভাষণে এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন চালু হওয়ার পর দশ বছরের মধ্যে পাওয়া বিরাট অগ্রগতির পর্যালোচনা করেছেন । তিনি বলেন ,

    ১৯৯৬ সালে ফিনল্যান্ডের তত্কালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমি ব্যাংককে প্রথম এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছি । তখন সকলে পরস্পরের সংগে মেলামেশা করতে লজ্জা করতেন । কারণ সে সময় সবকিছু সবেমাত্র শুরু হয়েছিল । তবে সেবারের সম্মেলন সাফল হয়েছিল এবং আজকের গভীর ও সত্যিকার উন্মুক্ততা ও সহযোগিতার জন্যে পথের সূচনা করেছে । দশ বছর পার হয়ে গেছে । বর্তমানে এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সহযোগিতা ও সংলাপ চালানোর একটি কেন্দ্রীয় মঞ্চে পরিণত হয়েছে । উভয় পক্ষের রাজনৈতিক সংলাপ আরো ব্যাপক হয়েছে , অর্থনৈতিক যোগাযোগ আরো জোরদার হয়েছে এবং সামাজিক ও সাংসকৃতিক ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের সহযোগিতা আরো গভীর হয়েছে । উভয় পক্ষ সবসময় মনখোলা ও আন্তরিক পরিবেশে মত বিনিময় করতে পারে । আমি আশি করি যে, হেলসিনকিতেও এই রকম পরিবেশ বজায় থাকবে । এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে সংলাপের এক গুরুত্বপূর্ণ ব্যবস্থা হিসেবে এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনের লক্ষ্য হচ্ছে আন্তর্জাতিক বহুপাক্ষিকব্যবস্থা আরো দৃঢ় ও সুসংহত করা ,আর্থ-সামাজিক বিকাশের জন্যে অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়ন রক্ষা করা । বর্তমানে সারা পৃথিবী সন্ত্রাসবাদ, বহুজাতিক অপরাধ , প্রাকৃতিক পরিবেশের দূষণ ও শক্তি সম্পদের ঘাটতির মত নানা ধরণের হুমকী ও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে । এমন কঠোর পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এবারের সম্মেলনে প্রধানত নিরাপত্তা মোকাবিলায় বহুপাক্ষিক ব্যবস্থা সুদৃঢ়করণ , বিশ্বায়ন ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার সামর্থ্য , শক্তি সম্পদের নিরাপত্তা ও আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং ভিন্ন সংস্কৃতি ও সভ্যতার মধ্যকার সংলাপ নিয়ে আলোচনা করা হবে ।

    বর্তমানে এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনের সদস্য দেশগুলোর লোকসংখ্যা পৃথিবীর মোট লোকসংখ্যার এক তৃতীয়াংশেরও বেশি এবং সেই দেশগুলোর মোট উত্পাদন মূল্য সারা বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি । বিশ্বায়ন এশিয়া ও ইউরোপের সহযোগিতার জন্যে সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি নতুন চ্যালেঞ্জও এনে দিয়েছে ।

    এখন আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির ধারাবাহিক পরিবর্তন ঘটছে । এমন পটভূমিকায় এ বছরের এশিয়-ইউরোপীয় শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে । তাই এবারের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয় আগের চেয়ে আরো ব্যাপক হয়েছে । আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে রাজনীতি , নিরাপত্তা , অর্থনীতি ও বাণিজ্য , সমাজ, সংস্কৃতি প্রভৃতি ঐতিহ্যিক ক্ষেত্রের পাশাপাশি শক্তি সম্পদের নিরাপত্তা , রোগ নিবারণ ও নিয়ন্ত্রণ , প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের মত নতুন বিষয়ও অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে । এশিয়া ও ইউরোপের নেতারা উপলব্ধি করতে পেরেছেন , তারা পারস্পরিক সম্মান প্রদর্শন এবং সমতা ও পারস্পরিক কল্যাণের ভিত্তিতে সার্বিকভাবে সংলাপ ও সহযোগিতা জোরদার করলেই কেবল শক্তি ও সম্পদের সদ্ব্যবহার করে কার্যকরীভাবে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে পারবে । ইইউ কমিটির চেয়ারম্যান জোসে ম্যানুয়েল বারোসো তার ভাষণে বলেছেন ,

    এশিয়-ইরোপীয় শীর্ষ সম্মেলনের দশম বার্ষিকী উদযাপনের সময় আমাদের সামনের দিকে তাকাতে হবে । সাফল্যের পুষ্পমাল্যের ওপর শুয়ে থাকলে চলবে না । আমি আশি করি , এবারের সম্মেলন এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে আরো শক্তিশালী সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন পথের সূচনা করবে ।