চীন ও ইউরোপের নেতাদের নবম সম্মেলন৯ সেপ্টেম্বর ফিনল্যান্ডের হেলসিন্কিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে । চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়াপাও ই.ইউ.'র পালাক্রমিক চেয়ারম্যান দেশ, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাট্টি ভানহানেন, ই.ইউ. কমিটির চেয়ারম্যান জোস মানুয়েল দুরাও বারোসোর সঙ্গে একমত হয়েছেন যে, 'চীন-ইউরোপ নতুন অংশীদারী সহযোগিতামূলক চুক্তি'সম্পর্কে আলোচনা শুরু করা হবে, যাতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে দু'পক্ষের সংলাপ ও সহযোগিতাকে জোরদার করা যায় ।
দু'পক্ষ একমত হয়েছে যে , রাজনৈতিক ক্ষেত্রে কৌলশগত সংলাপ আরো ঘনিষ্ঠ হবে এবং অথ-বাণিজ্য, টেকসই উন্নয়ন, পরিবেশের সংরক্ষণ ও সামাজিক নিশ্চিয়তা ইত্যাদি ক্ষেত্রের সহযোগিতাকে জোরদার করা হবে , যাতে মানুষের যোগাযোগ ও যুবকদের আদান-প্রদান ত্বরান্বিত করা যায়, আন্তর্জাতিক বিষয়ের সমন্বয় ও সহযোগিতা ঘনিষ্ঠ হওয়া যায় এবং বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দোহা আলোচনা আবার শুরু করা যায় ।
সম্মেলনের পর অনুষ্ঠিত যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে চীন ও ইউরোপের কিছু মতভেদ সম্পর্কে ওয়েন চিয়াপাও জোর দিয়ে বলেছেন, চীনের কাছে সামরিক অস্ত্র বিক্রি করার নিষেধাজ্ঞা বাতিল করা এবং চীনের সম্পূর্ণ বাজার অর্থনীতি স্বীকার করা চীন ও ইউরোপের জন্য সহায়ক হবে । ইউরোপের এ সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত , যাতে চীন ও ইউরোপের সম্পর্কের উন্নয়নের বাধা দূর করা যায় । তিনি আরো বলেছেন, চীন যে কোনো দেশের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়ক সংলাপ জোরদার করতে ইচ্ছুক, কিন্তু আর্থ-বাণিজ্যিক সমস্যাকে মানবাধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত করা সমর্থন করবে না ।
সম্মেলনের পর চীন ও ইউরোপের প্রকাশিত যৌথ বিবৃতি অনুযায়ী দু'পক্ষ লেবানন পরিস্থিতি, কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা, ইরানের পারমাণবিক সমস্যা ও আফ্রিকা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে অনেক মতৈক্য হয়েছে ।
|