v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-08 15:01:02    
কাজাকস্তান প্রজাতন

cri
    কাজাকস্তান হচ্ছে আয়তনের দিক থেকে মধ্য এশিয়ায় বৃহত্তম দেশ। এর আয়তন ২৭ লাখ ২৪ হাজার ৯শ বর্গকিলোমিটার। "ইউরো-এশিয়া মহাদেশ সেতু" হিসেবে কাজাকস্তান পরিচিত। বর্তমানে কাজাকস্তানের লোকসংখ্যা ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার। মোট ১৩১টি জাতি আছে। এর মধ্যে কাজাকস্তান জাতির লোকসংখ্যা মোট লোকের ৫৩ শতাংশ।

    কাজাকস্তানের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। ৬ থেকে ৮ শতাব্দী পর্যন্ত তুর্ক হান দেশসহ অতীত সামন্ততান্ত্রিক দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৫ শতাব্দী নাগাদ কাজাখ হান দেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময় পর্যন্ত কাজাখস্তান রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে ছিল। ১৯৩৬ সালের ডিসেম্বর কাজাক সোভিয়োট সমাজতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র নাম নির্ধারিত হয় এবং প্রাক্তন সোভিয়েট ইউনিয়নে যোগ দেয়। ১৯৯১ সালের ১০ ডিসেম্বর কাজাকস্তান প্রজাতন্ত্রের নাম পরিবর্তিত হয়। ১৬ ডিস্মেবর আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করে।

    কাজাকস্তানের খনিজ সম্পদ খুব বৈচিত্র্যময়। এখানে কৃষি ও পশুপালন শিল্পও খুব উন্নত।

    ১৯৯৮ সালের জুন মাসে আস্তানাকে কাজাখস্তানের রাজধানী ঘোষণা করা হয়। এই শহরটি কাজাকস্তানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত। এখান থেকে এক হাজার তিনশ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভূতপূর্ব রাজধানী আলমাতি। ঐতিহাসিকভাবে আসতানা হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক শহর। ২০ শতাব্দীর ৫০ দশক থেকে আসতানা ধাপে ধাপে কাজাকস্তানের উত্তরাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ পরিবহন সংযোগস্থলে পরিণত হয়। বর্তমানে আসতানা হচ্ছে ৫ লাখ ১০ হাজার লোকসম্পন্ন একটি আধুনিক শহর।

    কাজাখস্তান স্বাধীন হওয়ার পর অর্থনৈতিক সংস্কার শুরু করে এবং পর্যায়ক্রমে বাজার অর্থনীতি ও ব্যক্তিগত মালিকানা জারি করে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কাজাকস্তান সরকার বহুমুখী নিয়ন্ত্রণ জোরদার করে, বৈদিশিক পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে প্রধানত তেল, গ্যাস ও খনি উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে অর্থনীতি বৈচিত্র্যময় করার উদ্যোগে নিয়েছে। কাজকস্তানের সরকার ২০০৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত শিল্পের সৃজনশীলতাসম্পন্ন কর্মসূচী চালু করেছে। এই কর্মসূচী বাস্তবায়নের জন্যে সরকার যথাক্রমে শুল্ক আইন, পুঁজি বিনিয়োগ আইন প্রভৃতি আইনের সংশোধন এবং পরিমার্জন করেছে। প্রায় পাঁচ বছরের মধ্যে কাজাকস্তানের জি.ডি.পি'র বৃদ্ধি হার প্রায় ৪৫ শতাংশ।

    ১৯৯২ সালের জানুয়ারী মাসে চীন এবং কাজাকস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের স্থিতিশীলভাবে উন্নয়ন হচ্ছে। চীন এবং কাজাখস্তানের মোট ১ হাজার সাত'শতাধিক কিলোমিটার অভিন্ন সীমান্ত আছে। ইতিহাসে অমীমাংসিত সমস্যা ১৯৯৯ সালে সার্বিকভাবে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'দেশের নেতাদের সফরবিনিময় খুব ঘন ঘন, রাজনৈতিক পারস্পরিক আস্থা অব্যাহতভাবে জোরদার করা হচ্ছে। চীন ও কাজাকস্তানের আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতার উন্নয়ন প্রবণতা খুব ভাল। কাজাকস্তান হচ্ছে কমনওয়েলথের সদস্যদেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বাণিজ্যিক অংশীদার। রাশিয়া হচ্ছে প্রথম। ২০০৪ সালে দু'দেশের বাণিজ্য মূল্য ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলারের কাছাকাছি হয়। ২০০৪ সালের মে মাসে কাজাকস্তানের প্রেসিডেন্ট (Nazarbayev) নাজার্বায়েভের চীন সফরকালে দু'পক্ষ আর্থ-বাণিজ্য, শক্তিসম্পদ, পরিবহন প্রভৃতি ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং চীন ও কাজাখস্তান সহযোগিতামূলক কমিটি ও শিল্পপতি পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেছে। এটি দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার করার জন্যে মজবুত ভিত্তি স্থাপন করেছে।