v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-07 18:32:08    
উ পান কোঃ চীন আশা করে  চিলির সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতা নতুন পর্যায়ে উন্নীত হবে

cri
    চিলি সফররত চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান উ পান কো ৬ সেপ্টেম্বর সেন্টিয়াগোতে অনুষ্ঠিত চীন-চিলি আর্থ-বাণিজ্যিক সহযোগিতা ফোরামে অংশ নিয়েছেন । তিনি ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় বলেছেন , দু দেশের আর্থ- বাণিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য চীন ও চিলিকে পারস্পরিক কল্যাণের নীতি অনুসারে নিজের প্রাধান্য কাজে লাগিয়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র বাড়াতে হবে এবং দু'দেশের আর্থ- বাণিজ্যিক সহযোগিতাকে এক নতুন পর্যায়ে উন্নীত করতে হবে ।

    ১৯৭০ সালে চীন ও চিলির মধ্যে কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। চীন-চিলি সম্পর্ক সম্বন্ধে উ পান কো বলেছেন , দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে চিলির প্রথম চারটি বিষয় চীনা জনগণের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে । এই চারটি হলো , দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে চিলি সর্বপ্রথমে চীনের সঙ্গে কুটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করেছে । লাতিন আমেরিকা দেশগুলোর মধ্যে চিলি সর্বপ্রথমে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থায় চীনের অন্তর্ভুক্তি সম্বন্ধে চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে চিলি সর্বপ্রথমে চীনের পূর্ণ বাজার অর্থনীতির অবস্থানের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং সর্বপ্রথমে চীনের সঙ্গে অবাধ বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । এই চারটে বিষয় প্রমাণ করেছে যে চীন ও চিলি পরস্পরের নির্ভরযোগ্য বন্ধু এবং সহযোগিতার ভালো অংশিদার ।

     কিছু দিন আগে চিলির প্রেসিডেন্ট মিশেলে বাছেলেট ১০ বছর ধরে আলোচনার পর স্বাক্ষরিত দু' দেশের অবাধ বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদন করেছেন , এই চুক্তি আগামী ১ অক্টোবর থেকে চালু হবে । এই চুক্তির কার্যকর করায় দু দেশের সার্বিক সহযোগিতামূলক অংশিদারী সম্পর্কের প্রসারে নতুন চালিকা শক্তি দেবে ।

    উ পান কো আরো বলেছেন , উভয় পক্ষের উচিত অবাধ বাণিজ্য চুক্তির অনুকুল শর্তগুলো কাজে লাগিয়ে আমদানি ও রপ্তানি পণ্যের প্রজাতির সংখ্যা বাড়ানো , বাজার ও বাণিজ্য ক্ষেত্রের তথ্য বিনিময় জোরদার করা এবং দু' দেশের বাণিজ্যের আকার আরো বাড়ানো । উ পান কো বলেছেন , দুটি দেশের সহযোগিতায় তামা সম্পদের সহযোগিতা উল্লেখযোগ্য । পরবর্তীকালে এ ক্ষেত্রে দু' দেশের সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে এবং সহযোগিতার নতুন পদ্ধতি অন্বেষণ করা হবে ।

    উ পান কো তার ভাষণে চীনের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন সম্বন্ধে বলেছেন , চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথ বেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে । পৃথিবীর দেশগুলোর জন্য চীনের উন্নয়ন হুমকি হয়ে দাঁড়াবে না , বরং তাদেরকে উন্নয়নের সুযোগ ও বাজার যোগাবে । তিনি বলেছেন , বিশ্ব পরিস্থিতি যতই পরিবর্তন হোক না কেন , চীন আগের মত ভবিষ্যতেও স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণ পররাষ্ট্র নীতিতে অটল থাকবে । চীনের কুটনীতির মূল উদ্দেশ্য হলো বিশ্বশান্তি রক্ষা আর অভিন্ন উন্নয়ন তরান্বিত করা । চীন ন্যায়পরায়ণ , স্বচ্ছ ও উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা, অর্থনীতির বিশ্বায়ন বাস্তবায়ন আর শান্তিপূর্ণ ও সুসংহত আন্তর্জাতিক পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করছে । চীনের স্থিতিশীল সামাজিক পরিবেশ , উন্নয়নের প্রবণতা আর বিরাট সুপ্তশক্তি সম্পন্ন বড় বাজার চিলিসহ লাতিন আমেরিকার দেশগুলোকে আরো বেশি সুযোগ এনে দেবে ।

    চিলির সংসদের স্পীকার এডুয়ার্ডো ফ্রেই চেয়ারম্যান উ পান কোর ভাষণের গভীর মূল্যায়ন করেছেন । তিনি বলেছেন , আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছে । চিলির বিভিন্ন মহল চীনের সঙ্গে সম্পর্ক প্রসারকে সমর্থন করে । তিনি বলেছেন , চিলি চীনের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেয় এবং এই সম্পর্ক আরো প্রসার করতে আগ্রহী । দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক প্রসারের একটি ফল হিসেবে ২০০৫ সালে দু'দেশের একটি শিল্পপতি কমিটি গঠিত হয়েছে । এখন দু'দেশের মোট ২৪০জন শিল্পপতি এই কমিটির সদস্য হয়েছেন । তারা দুদেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর আদান-প্রদান ও সহযোগিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ।