v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-06 16:37:21    
গ্রীষ্মকাল ও শরত্কালের সন্ধিক্ষণে কি কি খাবার ভাল ?

cri
    সময় দ্রুতভাবে চলছে । সেপ্টেম্বর মাস এসে গেছে । গ্রীষ্মকাল ও শরত্কাল শেষে আমরা কিভাবে আমাদের খাবার সমন্বয় করবো ? বিশেষজ্ঞরা বলেন, গ্রীষ্মকালে আমরা সাধারণত হাল্কা খাবার খাই এটা ভালো। শরত্কালে আবহাওয়া শুষ্ক হয়ে যাবে । তখন প্রতিদিন সকালে বড় এক পেয়ালা সিদ্ধ ভাত খাওয়া ভাল । আজকের অনুষ্ঠানে আমি আপনাদের জন্য গ্রীষ্মকাল ও শরত্কালে শরীর ঠিক রাখার জন্য খাবারের কয়েকটি টিপস জানাবো ।

    এক. গ্রীষ্মকাল ও শরত্কালের সন্ধিক্ষণে কি কি খাবার ভাল ?

    এ সময় বেশি মাছ বা মাংস খাওয়া ভাল নয় । আবহাওয়া শুল্ক হওয়ার কারণে কিছু হাল্কা তৈলাক্ত খাবার খাওয়া ভাল । যেমন মধু,নাশপাতির রস ইত্যাদি । সবজি ও মাংস খাওয়ার পরিমাণ কমপক্ষে সমান হওয়া উচিত । ঠাণ্ডা ও কাঁচা ফল আর তৈলাক্ত খাবার কম খাওয়া ভাল । বয়ো বৃদ্ধ লোকেরা পাকস্থলীর সামর্থ্য কমে যাওয়ার কারণে সহজভাবে খাবার হজম হয় না । তাদের জন্য প্রত্যেক বার কম করে খাবার খাওয়া এবং বার বার খাবার খাওয়া ভাল হবে ।

    দুই.হৃদরোগীদের কি কি খাবার খাওয়া ভালো ?

    বেশি মাংস খাবেন না, মাছ ও মুরগীর মাংস বেশি খান । কারণ গরু ও ছাগলের মাংসের চেয়ে তাতে মেদের পরিমাণ কম এবং নরম ।

    তিন. এই সময়ে বাচ্চারা ভালোভাবে না খেলে কি করা যাবে এবং কি কি খাবার ভাল ?

    বাচ্চাদের নরম খাবার খাওয়া ভালো। কারণ বাচ্চাদের পাকস্থলী খুব দুর্বল। শক্ত খাবার খেলে, তাদের পাকস্থলীর ক্রিয়া ঠিক মত হয় না । এর জন্যে বাবা মার বাচ্চাদের খাবারের পরিমাণ এবং খাবারের মান সম্পর্কে ভালভাবে হিসাব করা উচিত । বেশি খেলেও তাদের স্বাস্থ্যের ক্ষতি হবে । তা ছাড়া, কাঁচা , ঠাণ্ডা ও ঝাল খাবার খাবে না, তিল, মধু ইত্যাদি খাবার খাওয়াও ভাল ।

    চার. এ সময়ে কিভাবে শরীরের ক্যালসিয়াম বাড়ানো যায় ?

    বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের শরীরের ক্যালসিয়াম কমে যেতে থাকে । এর জন্যে যৌবন থেকেই ক্যালসিয়াম বাড়ানোর চেষ্টা করা উচিত । সাধারণত আমরা দূধ খাওয়ার মাধ্যমে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে পারি । কারণ দূধের মধ্যে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে এবং সহজভাবে মানুষের শরীর তা গ্রহণ করতে পারে । কিন্তু দূধ খাওয়ার আগে অবশ্যই কিছু খাবার খান, নইলে দূধের ক্যালসিয়াম আমাদের শরীর গ্রহণ করতে পারে না । গবেষণা থেকে জানা গেছে, অম্ল খাবারের সঙ্গে ক্যালসিয়াম আরো সহজভাবে শরীরটা গ্রহণ করতে পারে । এর জন্যে দূধ খাওয়ার সময়ে কিছু কমলার রস খেলে শরীরের ক্যালসিয়াম গ্রহণের জন্য সহায়ক হবে । এবং ঘুমের আগে দূধ খাওয়া ভাল । কয়েক ধরনের ক্যালসিয়ামের বড়ির মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে, ম্যাগনেশিয়াম শরীরকে ক্যালসিয়াম গ্রহণ করতে ত্বরান্বিত করবে এবং মানুষের স্নায়ুকে স্থিতিশীল রাখবে । ঘুমের আগে তা খেলে লোকেরা ভালোভাবে ঘুমাতে পারবেন ।

    পাঁচ. চেহারায় অনেক মেচেতা আছে, কি খাবার তার চিকিত্সা করতে পারবে ?

    যাদের মুখমণ্ডল ও গলায় ফূস্কুড়ি ও কালো আঁচিল দেখা যায় , তাদের ছাগলের মাংস, কাঁকড়া, চিংড়ি মাছ এবং ঝাল খাবার খাওয়া ঠিক নয় । গ্রীষ্মকালে করলা, সবুজ সীমসহ আঁশ জাতীয় খাবার ইত্যাদি খাওয়া ভাল । শরত্কালে ছাগলের মাংস খাওয়া ভাল নয় এবং দৈনন্দিনজীবনে ভূট্টার মতো খাবার বেশি খাওয়া ভাল ।