v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-06 16:23:19    
খাতামির মার্কিন সফর বিশ্বের দিকে মনোযোগ দেয়

cri
    ইরানের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টমোহামদ খাতামি মার্কিন সফর শুরু করছেন। ১৯৭৯ সালে ইরানে ইসলামী বিপ্লব থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে কূটনৈতিক সর্ম্পক বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর এটা হল ইরানের কোন প্রভাবশালী ব্যক্তির প্রথম মার্কিন যুক্তরাস্ট্র সফর । ইরানের পরমাণু ইস্যু কোনঠাসা পড়ার মুহুর্তে খাতামির মতো ব্যক্তির মার্কিন সফর বিশ্বে ব্যাপী আকর্ষন না করার কারন নেই।

    বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রথম মনোযোগ হল, মার্কিন সরকার কেন খাতামির সফর অনুমোদন দিল? সবাই জানে যে, দু'দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক বিছিন্ন হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের কর্মকর্তাদের মার্কিন সফর সর্বাদাই কড়াকড়িভাবে নিষিদ্ধ করে এসেছে। কিন্তু ইরানের পরমাণু ইস্যুতে দু'দেশের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দেয়ার সময় খাতামি যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন বলে মার্কিন মুল্লুকের কোন কোন রাজনীতিবিদ খেঁপে উঠেছেন। মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের কয়েক জন সংসদ সদস্য বলেছেন, ঠিক খাতামি ক্ষমতাসীন থাকার সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে ' শয়তান দেশগুলোতে' তালিকাভুক্ত করেছিল। যুক্তরাষ্ট্র ইরানের এ ধরনের একজন সাবেক নেতাকে সফরের অনুমিত দেয়া মার্কিন সরকারের নিজস্ব নীতির পরীপন্থী।কিন্তু মার্কিন সরকার এ সব আপত্তি উপেক্ষা করে খতামিকে এই সফরের অনুমতি দিয়েছে। এর কারণ কি? বিশ্লেষকরা বলেছেন, নিজের স্বার্থের বিবেচনায় মার্কিন সরকার খাতামির সফর অনুমোদন দিয়েছে। খাতামি ১৯৯৭ সাল থেকে ২০০৫ সাল পযর্ন্ত প্রেসিডেন্টের পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তাকে একজন উদারপন্থী নেতা বলে মনে করা হয়। যখন ইরানের প্রেসিডেন্টের পদে ছিলেন তখন তিনি মনে করতেন গণ মাধ্যমকে আরও অবাধ প্রচারের সুযোগ দেয়া উচিত। তিনি মনে করেন, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আরও উন্মুক্ত হতে হবে এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ে সঙ্গে সংলাপ জোরদার করতে হবে। যদিও তিনি ইরানের পরমাণু উন্নয়নের পরিকল্পনা সমর্থন করেন তবু তিনি পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সংলাপ চালানোর পক্ষপাতী। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, ইরানকে যুক্তরাষ্ট্রেরসঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। যখন তিনি ক্ষমাতাসীন তখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে সভ্যতার সংলাপ চালানোর আহ্বান জানিয়েছিলেন। এক সময় জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে যুক্তরাষ্ট্রের তত্কালীণ পররাষ্ট্র মন্ত্রী আলব্রাইট আর খাতামির মধ্যে সৌজনূ কথাবর্তাহয়ে ছিল। বতর্মানে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক উত্তেজনাসংকুল থাকার পরিপ্রেক্ষিতে বুশ সরকার খাতামির মার্কিন সফর অনুমোদন দেয়ার অর্থ এই যে, যুক্তরাষ্ট্রইরানের সংস্কারপন্থীদের সঙ্গে সংলাপ চালানোর দরজা বন্ধ করে নি।

    বিশ্ব সম্প্রদায়ের আরেকটি বিষয়ে মনোযোগ হল, তার এবারের মার্কিন সফরের কারন না কি শুধু তার ঘোষিত ' সারা পৃথীবির সভ্যতার সংলাপ ত্বরান্বিত করার ' জন্য ? বিশ্লেষকরা বলেছেন, খাতামি ৩১ আগস্ট নিউইয়াক পৌঁছে তার দু'সপ্তাহব্যাপী সফর শুরু করেছেন। অন্য দিকে , ৩১ আগস্ট দিল জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের ১৬৯৬ নম্বর সিদ্ধান্ত বলবত থাকার চূড়ান্ত সময়সীমা। ইরান এই চূড়ান্ত সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের দাবি অনুযায়ী ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করাকে স্বীকার করেছে। সুতরাং সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ইরানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। এ কথা বলা যায় যে, ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে দু'দেশের মধ্যে যে কোন সময় সংঘর্ষ ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। সময় স্থগিত রাখার জন্যে এই পরিস্থিতিতে ইরানের কতৃর্পক্ষ খাতামিকে মার্কিন সফর অনুমোদন দিয়েছে।