v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-05 16:35:39    
অষ্টম এশিয়া সাংস্কৃতি উত্সব সম্পর্কে বিশেষ অনুষ্ঠান

cri
    ফেই , ছাও , ইয়াং : প্রিয় শ্রোতা বন্ধুরা , সূদূর পেইচিং থেকে আপনাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের অনুষ্ঠানে পরিবেশ করছি আমি শুয়ে ফেই ফেই, ছাও ইয়েন হুয়া এবং ইয়াং ওয়েই মিং।

    ইয়াং : শ্রোতা বন্ধুরা , ৩১ আগস্ট অষ্টম এশিয়া সাংস্কৃতিক উত্সব পেইচিংয়ে উদ্বোধন হয়েছে । এটা শুধু এশিয় দেশের জনগণের জন্য দেশের সংস্কৃতি প্রদর্শন করা এবং পরস্পরকে শেখার এক মঞ্চ নয় , তাও আমাদেরক এশিয় বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি উপলব্ধি করার সুযোগও দিয়েছে । আজ আমরা তিন জন আপনাদেরকে এই সাংস্কৃতিক উত্সব সম্পর্কে কিছু বলবো ।

    (রি ১ : বিভিন্ন স্থানে তিন জনের কথা )

    ইয়াং : শ্রোতা বন্ধুরা আপনারা যে কথা শুনছেন , তা হল সাংস্কৃতিক উত্সবের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রিপোর্ট করার শব্দ । এশিয়া সাংস্কৃতিক উত্সব সাফল্যের সঙ্গে সাত বার অনুষ্ঠিত হয়েছে । এই অষ্টম উত্সব আমাদেরকে কি নতুন ধারণা দিয়েছে ?

    ফেই : অবশ্যই , প্রত্যেক বারের সাংস্কৃতিক উত্সবের নিজের বৈশিষ্ঠ্য আছে । চলতি বছর হল চীন-আসিয়ান সংলাপ সম্পর্ক স্থাপনের ১৫তম বার্ষিকী । গত ডিসেম্বর মাসে চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও মালইসিয়ায় নবম আসিয়ান ও চীন , জাপান এবং দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার সময় ২০০৬ সালে চীনে অষ্টম এশিয়া সাংস্কৃতিক উত্সব আয়োজন করার আহ্বান জানিয়েছেন । এবারকার উত্সবের কেন্দ্রীয় বিষয় হল "আসিয়ানের জন্য আনন্দবহ" ।

    ছাও : হ্যাঁ , এবারকার উত্সবের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হল উত্সবের জন্য একটি গান লেখা হয়েছে । চীনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপ মন্ত্রী ছেন সিয়াও কুয়াং বিশেষ করে এই উত্সবের জন্য "গীতধর্মী এশিয়া" নামক একটি গান লিখেছেন ।

    ফেই : এই তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হল প্রথমবার এশিয়া শিল্প গ্যালারির প্রধানদের ফোরাম আয়োজিত হয়েছে । এই সুযোগে এশিয়া শিল্পকলা একাডেমীর গ্যালারির প্রধানদের মিলিত হয়েছেন । ওয়েই মিং , তুমি তো এবারকার ফোরামের সাক্ষাত্কার নিয়েছো। আমাদেরকে কিছু সংশ্লিষ্ট তথ্য জানাও কেমন ?

    ইয়াং : আচ্ছা , তাহলে এখন শ্রোতা বন্ধুরা আমার সঙ্গে চীনের জাতীয় শিল্পকলা জাদুঘর গিয়ে একটু দেখি ।

    (রি ২: ইয়াং কথা )

    (শ্রোতা বন্ধুরা আমি এখন গ্যালারিতে আছি ……)

    (রি ৩: উদ্বোধনী অনুষ্ঠান , ইয়া কথা )

    ( ফোরাম উদ্বোধন হয়েছে ……)

    (রি ৪ সংস্কৃতি মন্ত্রী সুন চিয়াচেনের কথা )

    যে কোনো চমত্কার শিল্পকর্ম হল মানবজাতির অনুভূতির প্রকাশ । এই প্রকাশে রয়েছে বৈচিত্র্য , রয়েছে বিভিন্ন জাতি ও দেশের পার্থক্য , এই প্রকাশের সৌন্দর্যের মানবাজাতির ভালোবাসাও আছে । শিল্প গ্যালারি মানবজাতির হৃদয়ের যোগাযোগ ত্বরান্বিত করেছে । এশিয় দেশগুলোর সুদীর্ঘ ইতিহাস আছে , এই সব দেশের সংস্কৃতিও আলাদা আলাদা । বিশ্বায়নের সঙ্গে সঙ্গে এশিয়া ও বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের সংস্কৃতির আদান-প্রদান জোরদার হয়েছে । এতে এশিয় সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য আরো স্পষ্ট হয়েছে । এই ফোরামের মাধ্যমে এশিয়ার সংস্কৃতি মহলের বিখ্যাত ব্যক্তিরা একসঙ্গে এশিয়ার সাংস্কৃতিক উন্নয়ন নিয়ে পরামর্শ করতে পারেন । এই ফোরাম একটি সুচনা , আশা করি এশিয়া সংস্কৃতির ভবিষ্যত আরো উজ্জ্বল হবে ।

    (রি ৫ ইয়াং )

    (ফোরাম তিন দিন স্থায়ী হবে……)

    চীনের শিল্প গ্যালারির প্রধান ফান তি আন বলেন :

    ( রি ৬: ফান তি আন )

    এশিয়া বিভিন্ন দেশের শিল্প সম্পদ অনেক বেশি । তবে আগে শিল্প গ্যালারির মধ্যে যোগাযোগ কম ছিল বলে এশিয় জনগণ এসব শিল্প সম্পদ ভাগাভাগি করতে পারত না । আমার মনে হয় এই ফোরামের মাধ্যমে , এমন আঞ্চলিক আদান-প্রদান , দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক যোগাযোগের মাধ্যমে এশিয় জনগণ এসব শিল্প সম্পদ উপলব্ধি করতে পারবেন ।

    (রি ৭ ইয়াং )

    (রি ৮: বাংলাদেশের শিল্প গ্যালারির কথা )

    ছাও : তাঁর কথা থেকে বুঝতে পারি যে , এবারকার সাংস্কৃতিক উত্সবে সবাই এক সমস্যার ওপর মনোযোগ দিয়েছে : তা হল : বিশ্বায়নের যুগে পরিস্থিতিতে কিভাবে এশিয়ার সংস্কৃতি সুরক্ষা করা ।

    ইয়াং : হ্যাঁ , তা তো এক সমস্যা । সমাজ উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে ঐতিহ্যিক সংস্কৃতিও উন্নয়ন করতে হবে । যাতে আরো বেশি যুবক তা গ্রহণ করতে পারে ।

    ফেই : সঙ্গে সঙ্গে তরুণ তরুণীকে আরো বেশি সুযোগ দিতে হবে , যাতে তারা ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি উপলব্ধি করতে পারে । আসলে আমরা আসিয়ান শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে এশিয়ার সংস্কৃতি সম্পর্কে অনেক জেনেছি ।

    ছাও : হ্যাঁ , অষ্টম সাংস্কৃতি উত্সবের এক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে আসিয়ান শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে আমরা আসিয়ান দেশের সংস্কৃতি উপলব্ধি করেছি ।

    ইয়াং : হ্যাঁ , তাহলে শ্রোতা বন্ধুদেরকে এই সম্পর্কে কিছু বলুন , আমরা এই সম্পর্কে খুব জানতে চাই ।

    ছাও , ফেই : তাহলে আমরা এখন ইয়া হুয়াং শিল্প গ্যালারিতে প্রবেশ করি ।

    (রি ৯ ছাও , ফেই )

    ছাও : শ্রোতা বন্ধুরা , আমরা এখন ইয়া হুয়া শিল্প গ্যালারিতে আছি ।

    ফেই : হ্যাঁ, এখানে প্রবেশ করলে যেন সত্যি সত্যি ইন্দোনেশিয়ায় গিয়েছি ।

    ছাও : আমরা জানি , ইন্দোনেশিয়া দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্যাসিফিক ও ভারত মহাসাগরের মধ্যে অবস্থিত । তার রাজধানী জাকার্দা । জাভার বাতেইক খুবই বিখ্যাত ।

    ফেই : এবং জাভা ও বালীর leather-silhouette show প্রধানত ভারতের "রামায়ানা" ও মহাভারত" বর্ণনা করে । খুবই চমত্কার ।

    ছাও : আমরা একন দেখছি ইন্দোনেশিয়ার একটি wood carving m ask , ফেই ফেই , তোমার কেমন লাগে ?

    ফেই : বা , ভূতের মত । লম্বা লম্বা দাড়ি । তবে খুব বৈশিষ্টপূর্ণ।

    ছাও : হ্যাঁ , দেখি , এখানে অনেক শিল্পকর্ম আছে । এটা হল ওয়াইয়াং নামে একটি পুতুল । দেখতে খুবই মজা ।

    ফেই : হ্যাঁ , নানা রকমের পুতুল আছে । আমি দেখেছি "পুরুষ ও ফল বিক্রেতা । খুব সুন্দর এবং মজা ।

    হুয়া : বন্ধুরা, এখন আমরা থাইল্যান্ডের প্রদর্শনী ঘরে প্রবেশ করছি । আমাদের চোখে অনেক সুন্দর সুন্দর পুতুল রয়েছে, তাদের মাথার উপর সাদা ১০০% স্বর্ণ দিয়ে তৈরী করা হয়, এর মাধ্যমে থাইল্যান্ডের লোকদের চমত্কার হস্তশিল্পজ্ঞানের প্রতিফলিত ঘটে।

    ফেই: হ্যাঁ, ঠিকই বলেছ । থাইল্যান্ডের বন্ধুর আমন্ত্রণে আমরা নিজ নিজভাবে কয়েকটি পুতুল খেলা খেলেছি । তাদের আচরণ খুবই ক্ষিপ্রগামী। তারা থাইল্যান্ডের জাতীয় পোশাক পরে, অতি সুন্দর লাগে ।

    ফেই: আপনারা হয়তো জানেন মালয়েশিয়া হচ্ছে একটি খুবই সুন্দর দেশ, প্রত্যেক বছরে অনেক পর্যটক সেখানে ভ্রমণ করেন ।

    (রে,হুয়া )

    মিং: চমত্কার, আমি প্রত্যেক শিল্পকলার স্মরণীয় দ্রব্য নিতে চাই ।

    হুয়া : এবারকার প্রদর্শনীতে আমরা বাংলাদেশ থেকে আসা একজন পর্যটকের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি । তাঁর নাম আসিফ, একজন স্থাপ্যতী, তিনি পেইচিং পৌঁছার পর এ প্রদর্শনী দেখার জন্যে এসেছেন ।

    (রে, আসিফের কথা)

    হুয়া : সংস্কৃতির বিশেষ জাদুতে অন্য কোনো জিনিজ পরিবর্তিত হবে না । আমি মনে করি সংস্কৃতি আমাদের মন সুখী করে ।

    ফেই : হ্যাঁ, এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতির যদিও ভিন্ন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, কিন্তু এই সংস্কৃতিএশিয়ার জনগণের যোগাযোগ করার জন্যে একটি সুযোগ সৃষ্টি করে । প্রদর্শনীতে আমরা একজন দাদা এবং তাঁর নাতী সাক্ষাত্ নিয়েছি, তিনি বলেছেন,

    (রে, দাদা)

    "আসিয়ানের সদস্য দেশগুলো হচ্ছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ, তাদের সংস্কৃতির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আছে । বিশেষ করে তাদের জীবনযাত্রার ঠরন দক্ষিণপশ্চিম চীনের সংখ্যালঘু জাতি অঞ্চলের লোকদের মতোই। এটা থেকে জানা যায়, আমাদের সংস্কৃতির তাদের গভীর সম্পর্ক আছে ।

    মিং : চমত্কার,এবারকার প্রদর্শনী সত্যি সত্যি এক আসিয়ানের সংস্কৃতির ভ্রমণ ।

    হুয়া: এসব শিল্পকলা পণ্যদ্রব্যের ঠরন আমাদের আকর্ষণ করেছে, তখন মজার জন্যে একটি বিশেষ যন্ত্রের বাজনা শুনেছি ।

    মিং : তাই নাকি ? কেমন লাগে ?

    হুয়া: হ্যাঁ, অনেক মজা লাগে ।

    (রে, যন্ত্রপাতি)

    ফেই : এবারকার সংস্কৃতি উত্সবে সংস্কৃতি চিন্তধারার যোগাযোগ, শিল্পকলাত প্রদর্শনী ছাড়া, আরেকটি চমত্কার এশিয়া সংস্কৃতি উত্সবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান রয়েছে ।

    মিং : হ্যাঁ, ওটা হচ্ছে এবারের উত্সবের গুরুত্বপূর্ণ অংশ । শ্রোতাবন্ধুরা অব্যশই আমার মতো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের তথ্য জানতে চেয়েছেন ।

    (রে, উদ্বোধনী অনুষ্ঠান, হুয়া আর ফেই'র কথা)

    হুয়া : ইন্দোনেশিয়ায় দু'জন বিখ্যাত সংগীত শিল্পী হারি ও ই'ইন । ১৯৯৬ সালে তাঁরা "ইন্দোনেশিয়ার কন্ঠ শিল্পকলা গ্রুপের" সাংহাইতে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছিলেন । তাঁদের গাওয়া অতি সুন্দর এবং জাতীয় বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন।তখন থেকে তাঁরা "ইন্দোনেশিয়ার প্রেমের গায়কের"সুনাম পেয়ে অনেক দেশের আমন্ত্রণে বিদেশে গান গাইচ্ছেন ।

    রে.হুয়া : এখন লাওসের শিল্পীরা পিন্কি কাপড় পরে প্রাণচঞ্চল নাচ করছেন ।

    রে.ফেই: এখন আমাদের সামনে নাচ ও গানের সমুদ্রে পরিণত হয়েছে । আপনারা এখন শুনতে পাচ্ছেন "দূরদূরান্তের থেকে আসা অতিথিরা এখানে থাকুন !"

    মিং: বহুমুখী ও প্রচুর বিষয়ক এশিয়ার সংস্কৃতি উত্সবে এসে আমাদের এশিয়ার সংস্কৃতির জাদু আরো বোঝা যায় ।আমরা এশিয়ার সংস্কৃতি পছন্দ করি এবং আমাদের সংস্কৃতির জন্য গর্ব লাগে । এবারের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলো দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সংস্কৃতি আরো বেশি জানতে পেরেছে । আসিয়ানের মহাসচিব ওয়োং কেংইয়োং বলেছেন,

    (রে. ওয়োং'র কথা ,পুরুষ)

    "আসিয়ানের বিভিন্ন দেশগুলোর অনেক ধরনের চমত্কার সংস্কৃতি আছে, এবারের পেইচিংয়ে আমরা আমাদের শিল্পকলা ও সংস্কৃতি প্রদর্শনী করার সুযোগ পেয়ে খুব খুশি । আমরা আশা করি,এবারের প্রদর্শনীর মাধ্যমে আরো বেশি যুবকদের আমাদের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি ও শিল্পকলা বোঝতে পেরেছি । আর এটা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতি উন্নত করার শক্তি, এদের মাধ্যমে আমরা ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি বজায় রাখা ও উন্নত করতে পারব । আসিয়ানের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ও সহযোগিতা ত্বরান্বিত করায় চীন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । এবারের আসিয়ান সংস্কৃতি সপ্তাহ বিভিন্ন দেশের জনগণের পারস্পরিক বোঝা ও মৈত্রীকে আরো ত্বরান্বিত করবে। একিই সঙ্গেঁ আসিয়ান ও চীনের সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ করা এবং আসিয়ান ও চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়ার সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ত্বরান্বিত করার জন্যে স্থিতিশীল ভিত্তি স্থাপন করবে ।"

    হুয়া :যদিও এবারকার সংস্কৃতি সপ্তাহের শিরোনাম হচ্ছে আসিয়ানের সংস্কৃতি, কিন্তু তা গোটা এশিয়ার সংস্কৃতির জন্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে । এবারের অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ভারতের নয়াদিল্লী জাতীয় আধুনিক শিল্পকলা গ্যালারির পরিচালক রাজীভ লোছান বলেছেন,

    (রে. লোছানের কথা ,পুরুষ)

    সংস্কৃতি বিভিন্ন দেশের জনগণের সেতু বদ্ধন । এটা রাজনীতি ও অর্থনীতির চেয়ে আরো গুরুত্বপূর্ণ । এবারের সংস্কৃতি উত্সব আমাদের যোগাযোগের জন্যে একটি প্ল্যাটফর্ম সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে আমাদের সহযোগিতার জন্যে পরস্পরকে বোঝা ও যোগাযোগের ভিত্তি স্থাপন করেছে ।"

    ফেই : বিশ্বায়নের তুমুল প্রভাবে আমাদের অনেক বিষয় চিন্তা করা উচিত । বিশ্বায়নে যোগ দেয়ার পাশা পাশি কিভাবে বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি বজায় রাখবে এবং নতুন যুগে কিভাবে আমাদের ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি আরো সুন্দর হবে, এসব বিষয় আমাদের চিন্তা করা উচিত ।"

    হুয়া : এশিয় সংস্কৃতি উত্সব আমাদের একটি যোগাযোগের প্ল্যাটফোর্ম তৈরী করে দিয়েছে । পারস্পরিক বোঝা ও যোগাযোগ সম্প্রসারণ করার মাধ্যমে গোটা অঞ্চলের ঐক্য ও সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করা যায় ।

    মিং: বর্তমানে এশিয়া নতুন চেহারা ও দ্রত পদক্ষেপের মাধ্যমে বিশ্ব মঞ্চে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে যাচ্ছে । এশিয়ার নাগরিক হিসেবে আমরা এশিয়ার সংস্কৃতি উত্তোরাধিকার ও উন্নত করার দায়িত্ব পালন করবো । আমরা একসঙ্গে এশিয়ার আরো উন্নয়নে প্রচেষ্টা চালাবো।

    তিন জন : প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আজের সংস্কৃতি সভার বিশেষ অনুষ্ঠান এখানে শেষ হল ,শোনার জন্য ধন্যবাদ, আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে ।