v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-04 18:43:16    
চীন সামুদ্রিক বিজ্ঞানের গবেষণা জোরদার করবে

cri
    চীনের প্রথম জাতীয় সামুদ্রিক প্রযুক্তি সম্মেলন ৪ সেপ্টেম্বর পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে । চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগ ও সমুদ্র বিভাগের কর্মকর্তারা এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন । তারা বলেছেন , পরবর্তীকালে চীন সামুদ্রিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির গবেষণা জোরদার করবে , সামুদ্রিক সম্পদ অনুসন্ধান ও সমুদ্র শিল্পের প্রসার তরান্বিত করবে ।

    চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী লি সুয়ে ইয়োন বলেছেন , চীনের সমুদ্রউপকুল লাইনের দৈর্ঘ্য দশ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি । কাজেই সমুদ্র প্রযুক্তি সম্পর্কিত গবেষণা জোরদার করা ও সামুদ্রিক স্বার্থ ও অধিকার রক্ষা করা অত্যন্ত প্রয়োজীয় । তিনি আরো বলেছেন , সামুদ্রিক প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একটি দেশের শক্তি প্রতিফলিত হয় । একটি দেশের সমুদ্র সম্পর্কিত প্রযুক্তি উন্নত হওয়ার পর শুধু নিজ দেশের সামুদ্রিক সার্বভৌমত্ব , স্বার্থ ও অধিকার রক্ষা করা যায় এবং সামুদ্রিক অর্থনীতির প্রসার , সমুদ্রের নিরাপত্তা ও সামুদ্রিক পরিবেশ রক্ষা করা যায় ।

    চীন বরাবরই সামুদ্রিক প্রযুক্তির গবেষণাকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে। চীন সমুদ্র প্রযুক্তির ব্যবহারে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছে । কিন্তু এ ক্ষেত্রে শিল্পোন্নত দেশগুলোর সঙ্গে চীনের ব্যবধান এখনো অনেক বেশি । সমুদ্র ক্ষেত্রে চীনের বুনিয়াদি গবেষণার শক্তি এখনও দুর্বল , সমুদ্র সম্পদের ব্যবহার ও অর্থবিনিয়োগ এখনো যথেষ্ট নয় ।

    এই অবস্থার পরিবর্তনের জন্য চীন পরবর্তীকালে সামুদ্রিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়াবে । চীনের জাতীয় সমুদ্র ব্যুরোর প্রধান সুন চি হুই বলেছেন , সামুদ্রিক প্রযুক্তি প্রসার এক ঝুঁকিপূর্ণ কাজ । এতে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করতে হবে । অর্থ যোগাড় করার জন্য সরকার ব্যবস্থা নেবে । পরবর্তী পাঁচ বছরে সামুদ্রিক প্রযুক্তি প্রসারে অর্থবিনিয়োগের পরিমান বিগত পাঁচ বছরের চেয়ে অনেক বাড়বে ।

    জানা গেছে , চীন সরকার নিকট সমুদ্রের সম্পদ ও পরিবেশের অনুসন্ধান ও মূল্যায়ন করবে , সমুদ্র উপগ্রহ নিক্ষেপ করে সমুদ্র পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করবে এবং সমুদ্রের পানির সদ্ব্যবহারের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে ।

    পরবর্তীকালে চীন সমুদ্র সম্পর্কিত নতুন গবেষণা শুরু করবে । চীন দক্ষিণ মেরুতে তৃতিয় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করবে । চীনের জাতীয় সমুদ্র ব্যুরোর আয়িত্বশীল ব্যক্তি ওয়াং ইয়োন আমাদের সংবাদদাতার সঙ্গে সাক্ষাত্কালে বলেছেন , বর্তমানে দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে চীনের দুটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র আছে , এই দুটি কেন্দ্রের নাম হলো মহাপ্রাচীন কেন্দ্র ও চুনসান কেন্দ্র । এই দুটি কেন্দ্র দক্ষিণ মেরু মহাদেশের উপকুলে অবস্থিত । চীনের তৃতীয় দক্ষিণ মেরু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র দক্ষিণ মেরু মহাদেশের কেন্দ্রস্থলে প্রতিষ্ঠিত হবে । তিনি বলেছেন , দক্ষিণ মেরু এক বরফ আচ্ছাদিত মহাদেশ । বেশির ভাগ বৈজ্ঞানিক পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র মহাদেশের উপকুল অঞ্চলে অবস্থিত । বর্তমানে অনেক দেশ দক্ষিণ মেরু মহাদেশের কেন্দ্রস্থলে পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে । কারণ মহাদেশের ভিতরে প্রবেশ করেই কেবল গোটা দক্ষিণ মেরু মহাদেশের তথ্য পাওয়া যায় । এই কেন্দ্র চীনের দক্ষিণ মেরু গবেষণার মান উন্নত করবে ।

    চীনের তৃতীয় দক্ষিণ মেরু পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র সমুদ্র সমতল চার হাজার মিটার উচু বরফের উপর স্থাপন করা হবে । সেখানকার আবহাওয়া ও প্রাকৃতিক অবস্থা জটিল । ২০০৭ সাল থেকে ২০০৮ সালের মধ্যে চীন সেখানে একটি গ্রীষ্মকালীন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করবে এবং কিছু বৈজ্ঞানিক তত্পরতা চালাবে । চীনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো পাঁচ বছরের মধ্যে এমন একটি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করবে যাতে বিজ্ঞানীরা সারা বছর সেখানে কাজ করতে পারেন ।

    জানা গেছে , পরবর্তীকালে চীন বিদেশের সঙ্গে সমুদ্র সম্পর্কিত সহযোগিতা ও আদান-প্রদানও জোরদার করবে এবং আন্তর্জাতিক সমুদ্র পরিকল্পনা প্রণয়নে অংশ নেবে ।