v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
পর্যটনসংস্কৃতিবিজ্ঞানখেলাধুলাকৃষিসমাজঅর্থ-বাণিজ্যশিক্ষার আলো
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2006-09-04 15:59:00    
ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনার জন্য কোফি আনানের উদ্যোগ

cri

    জাতি সংঘ মহা সচিব কোফি আনান ৩ সেপ্টেম্বর তাঁর ইরানের দু'দিনব্যাপী সফর শেষ করেছেন। ৩১ অক্টোবরের আগে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কাযর্ক্রম সাময়িকভাবে বন্ধের জন্যে ইরানের জন্যে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্ধারিতচূড়ান্ত সময়সীমা পার হওয়ার পর কোফি আনান ইরান সফর করেছেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা বাস্তবায়িত হওয়া এবং এই সমস্যার আরও জটিলতা ও অবনতি এড়ানো তাঁর এবারকার ইরানের সফরের প্রধান উদ্দেশ্য।

    সফরকালে কোফি আনান পর পর ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী মানোছেনের মোত্তাকি, ইরানের প্রধান পরমাণু আলোচনার প্রতিনিধি , সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কমিশনের সচিব আলি লারিজানি, ইরানের রাষ্ট্রীয় কল্যাণ কমিশনের চেয়ারম্যান আকবার হাসেমি রাফসানজানি এবং প্রেসিডেন্ট মাহোমদ আহমাদিনেজাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দু'পক্ষ মনে করে, আলোচনা হল ইরানের পরমাণু সমস্যার সমাধানের সবচেয়ে ভাল পদ্ধতি।

    কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ব সম্প্রদায় লক্ষ্য করেছে, ইরান এখনও পরমাণু ইস্যুতে তাঁর মৌলিক অবস্থান মেনে চলছে। ইরানের উপ পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও ইরানে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার প্রতিনিধি ২ সেপ্টেম্বর কঠোর ভাষায় জোর দিয়ে বলেছেন, যদি ইরান জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আরোপিত শাস্তির শিকার হয় তাহলে বিশ্বের তেলের দাম বাড়বে এবং আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার সঙ্গে ইরানের সহযোগিতা বন্ধ হবে। ৩ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট আহমেদ নেজাদে কোফি আনানের সঙ্গে বৈঠককালে বলেছেন, ইরান বিশ্ব সম্প্রদায়ের সঙ্গে পরমাণু ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। কিন্তু তিনি সঙ্গে সঙ্গে জোর দিয়ে বলেছেন, আলোচনার আগে ইরান সাময়িকভাবে ইউরেনিয়াম মসৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে না।

    গণ মাধ্যম মনে করে, বতর্মানে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ইরানের পরমাণু সমস্যার কঠোর পরীক্ষার সম্মুখীন হচ্ছে। ইরানের পরমাণু ইস্যুতো যুক্তরাষ্ট্র আর ইরানের মধ্যে বিরোধ সুদীর্ঘকালের। সুতরাং কোফি আনানের একবার ইরান সফর এ ব্যাপারে কোন বাস্তব সমস্যা নিষ্পত্তি করতে পারবে না। এর আগে যদিও কোফি আনান যুক্তরাষ্ট্রকে শান্তিভাবে ইরানের পরমাণু ইস্যু মোকাবেলার করার দাবি জানিয়েছেন এবং ইরানকে তার উপর

    বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা বুঝতে চেয়েছিলেন।তবে এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আর ইরান যার যার অবস্থান পোষন করতে থাকে। এখন পযর্ন্ত তারা কোনোআপোষের আভাস দেয়নি। ইরান শুধু যে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সাময়িকভাবে তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধের সিদ্ধান্ত অস্বীকার করেছে তাই নয়, বিরাটাকারের সামরিক সহড়া আয়োজনের মাধ্যমে ইরান পারমাণবিক প্রযুক্তি উন্নয়নের দৃঢ়সংকল্প দেখিয়েছে। ভারী পানি প্রত্রিয়াকরণ কারখানায় আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময় প্রেসিডেন্ট আমোদিনেজাদজোর দিয়ে বলেছেন, ইরানীরা বলপ্রয়োগেহলেও নিজেদের পরমাণু প্রযুক্তি উন্নয়নের অধিকার রক্ষা করবেন। যুক্তরাষ্ট্র বারবার বলেছে, জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের নির্ধারিত চূড়ান্ত সময়সীমার পর যদি ইরান সাময়িকভাবে ইউরেনিয়ান সমৃদ্ধকরণ বন্ধ না করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্রইরানের বিরুদ্ধে শাস্তি দেয়ার জন্যে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের উপর চাপ দেবে।

    বিশ্লেষকরা মনে করেন, যদিও কোফি আনানের এবারের ইরান সফর মৌলিকভাবে ইরান-মার্কিন দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তি করতে পারেনি, তবুও এই সফরে কিছুটা সাফল্যও অর্জিত হয়েছে। তার এবারের সফরের মাধ্যমে বুঝা যায়, ইরানের গ্রহণযোগ্য আলোচনার শর্ত কি? আজকের প্রতিবেদন এখানে শেষ হল। শোনার জন্য ধন্যবাদ।